রবিবার বিকেল ৪-৬ টার মধ্যে কাল ভৈরবের পুজো করুন, উন্নতি কেউ আটকাতে পারবে না
Last Updated:
advertisement
♦ কেউ সাধারণত কী কী কারণে দুখি থাকেন? বেশিরভাগই টাকা না থাকার কারণে চিন্তায়, তো অনেকে পরিবারিক অশান্তির কারণে দুঃখের ঘেরাটোপে বন্দি। কেউ কেউ মনের মতো জীবনসঙ্গী না পাওয়ার কারণে এখনও একাকিত্বে ভুগছেন... আরও কত যে কারণ রয়েছে দুখি হওয়ার! তবে আপনার দুঃখের কারণ যাই হোক না কেন, তা মিটে যেতে এক মুহূর্তও সময় লাগবে না যদি রবিবার রাহুকালে, অর্থাৎ বিকাল ৪-৬ টার মধ্যে শিব ঠাকুরর কাল ভৈরব রূপের অরাধনা করেন তো।
advertisement
♦ পুরাণ মতে একবার ভগবান ব্রহ্মা এতটাই দাম্ভিক হয়ে উঠেছিলেন যে নিজ দায়িত্ব পালন করা থেকে বেশিরভাগ সময়ই বিরত থাকতেন। তাঁর মনে হতে শুরু হয়েছিল যে তিনিই সর্বশক্তিমান। তাই যাই করুন না কেন কেউ তাঁর কিছু করতে পারবে না। ত্রিশক্তির অন্যতম, ভগবান ব্রহ্মার এমন দম্ভ দেখে অবাক দেবাদিদেব সিদ্ধান্ত নিলেন সময় থাকতে থাকতে যদি ব্রহ্মার দম্ভের বিনাশ করা না যায়, তাহলে সমূহ বিপদ। কিন্তু কীভাবে করবেন এই কাজটি? এমনটা ভাবতে ভাবতে নীলকষ্ঠ এতটাই রেগে গেলেন যে তাঁর নখ থেকে জন্ম নিল এক রুদ্র অবতার। কাল ভৈরব। দেবের এই রূপই অবশেষে ব্রহ্মার পাঁচ মাথার একটা মাথা চ্ছেদ করে তাঁকে শিক্ষা দিয়েছিলেন যে দম্ভের ফল কেবল বিনাশ হয়, কেবল বিনাশ!
advertisement
♦ কাল ভৈরবের হাত থাকে ব্রহ্মার সেই মুন্ডের খুলি। তাই তো কোনও কোনও প্রাচীন বইয়ে তাঁকে "ব্রহ্মা কল্পা" নামেও ডাকা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, দেবের কাল ভৈরব রূপের শরীরে কোনও বস্ত্র থাকে না আর তাঁর বাহন হল কালো কুকুর। তাই তো এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত কালো কুকুরকে খাবার খাওয়ালে কাল ভৈরব বেজায় খুশি হন এবং নানাবিধ সুফল মিলতে সময় লাগে না। এখন প্রশ্ন হল দেবাদিদেবের এই রুদ্র রূপকে প্রসন্ন করতে পারলে কী কী সুফল মেলে?
advertisement
♦ ধনী হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়: শাস্ত্র মতে দেব কাল ভৈরব বেজায় সরল মনের। তাই তো তাঁর মন জয় করাটা খুব সহজ। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নারকেল, ফুল, সিঁদুর, সরষের তেল এবং কালো তিল বীজ দিয়ে টানা আট সপ্তাহ, শনিবার বা রবিবার বিশেষ সময়ে দেবের অরাধনা করলে সর্বশক্তিমান এতটাই প্রসন্ন হন যে ভক্তের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, দেবের আশীর্বাদে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলা মিটে যেতেও সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, এ জীবনে যদি অনেকে অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে চান, তাহলে দেবের শরনাপন্ন হতে দেরি করবেন না যেন!
advertisement
♦ ছোট-বড় সব রোগ দূরে পালায়: একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধু! এমনটা বিশ্বাস করা হয় এক মনে দেবের অরাধনা করলে চারিপাশে পজেটিভ শক্তির বিকাশ এত মাত্রায় হয় যে শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয় দেবের শক্তিতে ছোট-বড় সব রোগ দূরে পালায়। ফলে আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে চোখে পরার মতো। খারাপ সময় কেটে যায়: দেব কাল ভৈরব হলেন সময়ের নিয়ন্ত্রক। তাই তো তাঁর আরাধনা শুরু করলে খারাপ সময় কেটে যেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, খারাপ সময়ের মেঘ কেটে যাওয়ার পর গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে ভক্তের মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, যারা বেজায় খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তারা একবার বিশ্বাস করে দেবের অরাধনা শুরু করুন। দেখবেন সুফল পাবেই পাবেন!
advertisement
♦ ব্ল্যাক ম্যাজিকের খপ্পর থেকে মুক্তি মেলে: আজও, এই ২১ শতকেও হিংসা এবং ঈর্ষার কারণে অনেক মানুষই কালো যাদুর সাহায্য়ে বহু মানুষের জীবন ধ্বংস করে চলেছে। এমনটা যে কেউ আপনার সঙ্গে করতে চাইছে না, সে সম্পর্কে আপনি কি নিশ্চিত? যদি না হন, তাহলে এই শনিবার থেকেই কাল ভৈরব দেবের আরাধনা শুরু করুন। দেখবেন সুফল পাবেই পাবেন। আসলে এমনটা করলে আমাদের আশেপাশে শুভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে খারাপ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে কুদৃষ্টির কারণে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমে। শুধু তাই নয়, দেবের শক্তির প্রভাবে মনের অন্দরে লুকিয়ে থাকা সব ভয়ও দূর হয়।
advertisement
advertisement
♦ শনির সাড়ে সাতির খপ্পরে পরার আশঙ্কা কমে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে দেবের শক্তিশালী এই রূপের পুজো শুরু করলে শনির সাড়ে সাতির খপ্পরে পরার আশঙ্কা হ্রাস পায়। ফলে জীবন নরকে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা যায় কমে। প্রসঙ্গত, এমনটাও অনেকে মানেন যে যারা শনির সাড়ে সাতির জালে ইতিমধ্য়েই ফেঁসে গেছেন, তারা যদি এই বিশেষ পুজোর আয়োজন করেন, তাহলে শনি দেবের খারাপ প্রভাব কেটে যেতে সময় লাগে না। ফলে টানা সাড়ে সাত বছর ধরে খারাপ সময়ের মার খাওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
advertisement
advertisement
♦ জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্ত মেলে: শাস্ত্র মতে দেবাদিদেবের এই রুদ্র রূপের অরাধনা করা শুরু করলে স্বর্গের দরজা খুলে যায়। মানেটা ঠিক বুঝলেন না, তাই তো? আসলে বন্ধু এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কাল ভৈরব দেবের অরাধনা করলে জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকেও মুক্তি মেলে। ফলে মোক্ষ লাভের পথ প্রশস্ত হতে সময় লাগে না।
advertisement
advertisement
♦ প্রতিপক্ষদের নিকেশ ঘটে: আজকের দুনিয়ায় যেখানে বেশিরভাগই নিজেদের ভাল ছাড়া আর কিছুই ভাবে না। সেখানে আমাদের ক্ষতি করতে চায়, এমন লোকের সংখ্যা যে নেহাতই কম নয়, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে! তাই তো বলি বন্ধু, নিজেকে যদি প্রতিপক্ষদের মার থেকে সুরক্ষিত রাখতে হয়, তাহলে দেবের শরণাপন্ন হতে ভুলবেন না যেন। আসলে শ্রাস্ত্র মতে শি ঠাকুরের এই রুদ্র আরাধনা করলে সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদে প্রতিপক্ষদের নিকেশ ঘটতে সময় লাগে না।
advertisement
♦ কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতার স্বাদ মেলে: ৩০ পেরতে না পেরতেই কি বাড়ি, গাড়ি এবং মোটা মাইনের চাকরি পেতে চান, তাহলে বন্ধু, শনি অথবা রবিবার কাল ভৈরব মন্ত্র জপ করতে করতে দেবের এই শক্তিশালী রূপের আরাধনা ককরতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এমনটা করলে সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদ লাভ হয়। ফলে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ তো হয়ই, সেই সঙ্গে কর্মজীবনে চরম সফলতার স্বাদ মিলতেও সময় লাগে না।