Indian River: ভারতেই রয়েছে এমন এক নদী, যার জল ছুঁতেও ভয় পায় মানুষ! কোথায় সেই নদী, কী সেই ঘটনা?

Last Updated:
Indian River: ভারতে এমন একটি নদীও রয়েছে, যার জল পান করা তো দূরের কথা, মানুষ জল স্পর্শ করতেও ভয় পায়। এই নদীটির নাম হল কর্মনাশা নদী।
1/6
 ভারতবর্ষে গঙ্গা নদী ছাড়াও আরও অনেক নদী প্রবাহিত হয়। তাঁর মধ্যে কিছু নদীকে গঙ্গার মতো প্রবিত্র বলে মনে করা হয়। এই নদীগুলির জল যে কোনও শুভ কাজে ব্যবহার করা হয়।
ভারতবর্ষে গঙ্গা নদী ছাড়াও আরও অনেক নদী প্রবাহিত হয়। তাঁর মধ্যে কিছু নদীকে গঙ্গার মতো প্রবিত্র বলে মনে করা হয়। এই নদীগুলির জল যে কোনও শুভ কাজে ব্যবহার করা হয়।
advertisement
2/6
 কিন্তু ভারতে এমন একটি নদীও রয়েছে, যার জল পান করা তো দূরের কথা, মানুষ জল স্পর্শ করতেও ভয় পায়। এই নদীটির নাম হল কর্মনাশা নদী। এই নদীটিকে অভিশপ্ত নদীও বলা হয়ে থাকে এ দেশে।
কিন্তু ভারতে এমন একটি নদীও রয়েছে, যার জল পান করা তো দূরের কথা, মানুষ জল স্পর্শ করতেও ভয় পায়। এই নদীটির নাম হল কর্মনাশা নদী। এই নদীটিকে অভিশপ্ত নদীও বলা হয়ে থাকে এ দেশে।
advertisement
3/6
এই নদীটির উৎপত্তিস্থল বিহারের কাইমুর জেলা থেকে। এরপর নদীটি উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্র, চন্দউলি, বারানসি এবং গাজীপুরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিহারের বক্সারের কাছে গঙ্গার সাথে মিলিত হয়। কর্ম ও নাশা এই দুটি শব্দের সমন্বয়ে নদীটির নাম হয়েছে। যার অর্থ, এমন একটি নদী, যা ধ্বংস বা নষ্ট করে।
এই নদীটির উৎপত্তিস্থল বিহারের কাইমুর জেলা থেকে। এরপর নদীটি উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্র, চন্দউলি, বারানসি এবং গাজীপুরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিহারের বক্সারের কাছে গঙ্গার সাথে মিলিত হয়। কর্ম ও নাশা এই দুটি শব্দের সমন্বয়ে নদীটির নাম হয়েছে। যার অর্থ, এমন একটি নদী, যা ধ্বংস বা নষ্ট করে।
advertisement
4/6
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, রাজা হরিশচন্দ্র পিতা সত্যব্রত ছিলেন অত্যন্ত পরাক্রমশালী এবং পুরুষালী। তিনি বশিষ্ট মুনির শিষ্য ছিলেন। তিনি একবার তাঁর গুরুর কাছে একটি জিনিস চেয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন তাঁর গুরু বশিষ্টের সামনে তাঁর দেহ নিয়ে স্বর্গে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর গুরু এই ইচ্ছা প্রত্যাখ্যান করেছিল। এরপর রাজা সত্যব্রত তাঁর গুরুর প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে, তাঁর গুরুর শত্রু বিশ্বামিত্রের কাছে গিয়েছিলেন। যেহেতু বিশ্বামিত্র এবং বশিষ্ঠ মধ্যে আগে থেকেই সম্পর্ক ভাল ছিল না।
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, রাজা হরিশচন্দ্র পিতা সত্যব্রত ছিলেন অত্যন্ত পরাক্রমশালী এবং পুরুষালী। তিনি বশিষ্ট মুনির শিষ্য ছিলেন। তিনি একবার তাঁর গুরুর কাছে একটি জিনিস চেয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন তাঁর গুরু বশিষ্টের সামনে তাঁর দেহ নিয়ে স্বর্গে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর গুরু এই ইচ্ছা প্রত্যাখ্যান করেছিল। এরপর রাজা সত্যব্রত তাঁর গুরুর প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে, তাঁর গুরুর শত্রু বিশ্বামিত্রের কাছে গিয়েছিলেন। যেহেতু বিশ্বামিত্র এবং বশিষ্ঠ মধ্যে আগে থেকেই সম্পর্ক ভাল ছিল না।
advertisement
5/6
সেই কারণে বিশ্বামিত্র রাজা সত্যব্রতকে স্বর্গে পাঠাতে রাজি হন। কিন্তু ইন্দ্র বিশ্বামিত্রের কাজে খুবই ক্ষুব্ধ হন। তিনি সত্যব্রতকে মাথা উল্টো করে পৃথিবীতে ফেরত পাঠান। কিন্তু বিশ্বামিত্র সত্যব্রতকে পৃথিবী এবং স্বর্গের মাঝখানে থামিয়ে দেয়। তখন থেকেই বিশ্বামিত্রের নাম হয়ে যায় ত্রিশঙ্কু।
সেই কারণে বিশ্বামিত্র রাজা সত্যব্রতকে স্বর্গে পাঠাতে রাজি হন। কিন্তু ইন্দ্র বিশ্বামিত্রের কাজে খুবই ক্ষুব্ধ হন। তিনি সত্যব্রতকে মাথা উল্টো করে পৃথিবীতে ফেরত পাঠান। কিন্তু বিশ্বামিত্র সত্যব্রতকে পৃথিবী এবং স্বর্গের মাঝখানে থামিয়ে দেয়। তখন থেকেই বিশ্বামিত্রের নাম হয়ে যায় ত্রিশঙ্কু।
advertisement
6/6
এরপর ভগবান এবং বিশ্বামিত্রের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায়। সেই সময় ত্রিশঙ্কুর মুখ থেকে প্রবল বেগে লালা ঝরতে থাকে এবং এই লালা পৃথিবীতে নদীর আকারে আবির্ভূত হয়। এটাও মনে করা হয়, সত্যব্রতকে তাঁর গুরু বশিষ্ঠ চন্ডাল হওয়ার অভিশাপ দিয়েছিলেন। তাই কর্মনাশা নদীকে অভিশপ্ত নদী বলা হয়ে থাকে।
এরপর ভগবান এবং বিশ্বামিত্রের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায়। সেই সময় ত্রিশঙ্কুর মুখ থেকে প্রবল বেগে লালা ঝরতে থাকে এবং এই লালা পৃথিবীতে নদীর আকারে আবির্ভূত হয়। এটাও মনে করা হয়, সত্যব্রতকে তাঁর গুরু বশিষ্ঠ চন্ডাল হওয়ার অভিশাপ দিয়েছিলেন। তাই কর্মনাশা নদীকে অভিশপ্ত নদী বলা হয়ে থাকে।
advertisement
advertisement
advertisement