'জ্যারা রুকিয়ে তো'... ফোনের রিংটোন শুনতেই আচমকা থামিয়ে দিল GRP, পরক্ষণেই যা ঘটল, ছুটল ঘাম!

Last Updated:
Indian Railways: টহলের সময়, দুজন লোক হন্তদন্ত হয়ে কানে মোবাইল ফোন নিয়ে পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। জিআরপির জওয়ানরা প্রথমে বিষয়টি অতটা আমল দেননি। কিন্তু সেই সময়ই আচমকা ফোনের রিং বাজতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্যি।
1/11
যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করার জন্য ভারতীয় রেলের তরফে স্টেশন ও ট্রেনে দফায় দফায় টহল দেন রেল রক্ষী বাহিনীর পুলিশ ও জওয়ানরা। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের যাতায়াতের মধ্যেই ট্রেনের কামরা ও স্টেশনগুলোতে ঘটে যায় এমন অনেক ঘটনা যা মানুষের ভিড়ে অনেক সময়ই ধরা পরে না।
যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করার জন্য ভারতীয় রেলের তরফে স্টেশন ও ট্রেনে দফায় দফায় টহল দেন রেল রক্ষী বাহিনীর পুলিশ ও জওয়ানরা। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের যাতায়াতের মধ্যেই ট্রেনের কামরা ও স্টেশনগুলোতে ঘটে যায় এমন অনেক ঘটনা যা মানুষের ভিড়ে অনেক সময়ই ধরা পরে না।
advertisement
2/11
তবে এই ধরণের অপরাধমূলক ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে ও ট্রেনে বিনা টিকিটে যাত্রী নিয়ন্ত্রণে সর্বদা কড়া নজরদারি চালায় জিআরপি। সেদিনও স্টেশনে টহল দিচ্ছিল জিআরপি। বিশেষ করে যখন ট্রেনগুলি স্টেশনে ঢুকছে ও বেরোচ্ছে সেই সময় রেলকর্মীদের নজর থাকে তীক্ষ্ণ।
তবে এই ধরণের অপরাধমূলক ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে ও ট্রেনে বিনা টিকিটে যাত্রী নিয়ন্ত্রণে সর্বদা কড়া নজরদারি চালায় জিআরপি। সেদিনও স্টেশনে টহল দিচ্ছিল জিআরপি। বিশেষ করে যখন ট্রেনগুলি স্টেশনে ঢুকছে ও বেরোচ্ছে সেই সময় রেলকর্মীদের নজর থাকে তীক্ষ্ণ।
advertisement
3/11
এরকমই একটি টহলের সময়, দুজন লোক হন্তদন্ত হয়ে কানে মোবাইল ফোন নিয়ে পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। জিআরপির জওয়ানরা প্রথমে বিষয়টি অতটা আমল দেননি। কিন্তু সেই সময়ই আচমকা ফোনের রিং বাজতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্যি।
এরকমই একটি টহলের সময়, দুজন লোক হন্তদন্ত হয়ে কানে মোবাইল ফোন নিয়ে পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। জিআরপির জওয়ানরা প্রথমে বিষয়টি অতটা আমল দেননি। কিন্তু সেই সময়ই আচমকা ফোনের রিং বাজতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্যি।
advertisement
4/11
জিআরপি থেকে আরপিএফ, রেল কর্তৃপক্ষের কড়া নজরদারি সত্ত্বেও কিন্তু এই পথেই চলে এমন অনেক অসাধু কাজ-কারবার যা সহজে চোখে পড়ে না। এত বেশি সংখ্যক যাত্রী রোজ এই রেলপথে যাত্রা করেন যে সেই ভিড়ের আড়ালেই ঘটে যায় বড় বড় অপরাধ।
ঠিক কী ঘটেছিল?
শাহজাহানপুর স্টেশনে সেদিনও আর পাঁচদিনের মতোই জিআরপি টিম আসা-যাওয়া করা যাত্রীদের উপর নজর রাখছিল। ঠিক সেই সময় ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে, দু'জন ব্যক্তি কানে ফোন ধরে পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন।
advertisement
5/11
জিআরপি কর্মীরা প্রথমে ভেবেছিল তাঁরা হয়ত কারও সঙ্গে কথা বলছে, তাই তাঁরা তাঁদের দিকে তেমন মনোযোগ দেয়নি। কিন্তু এই সময় আচমকা এই যাত্রীদের মধ্যে একজনের ফোন বেজে উঠতে শুরু করে।
জিআরপি কর্মীরা প্রথমে ভেবেছিল তাঁরা হয়ত কারও সঙ্গে কথা বলছে, তাই তাঁরা তাঁদের দিকে তেমন মনোযোগ দেয়নি। কিন্তু এই সময় আচমকা এই যাত্রীদের মধ্যে একজনের ফোন বেজে উঠতে শুরু করে।
advertisement
6/11
আর তাতেই জিআরপির সন্দেহ জাগে--- লোকটা তো ফোনে কথা বলছিল, তাহলে ফোন কী ভাবে বাজতে পারে? তৎক্ষণাৎ তাঁদের দাঁড়াতে বলেন জিআরপি-র জওয়ানরা। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
আর তাতেই জিআরপির সন্দেহ জাগে--- লোকটা তো ফোনে কথা বলছিল, তাহলে ফোন কী ভাবে বাজতে পারে? তৎক্ষণাৎ তাঁদের দাঁড়াতে বলেন জিআরপি-র জওয়ানরা। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
advertisement
7/11
তবে এই জিজ্ঞাসাবাদের সময় দুই যাত্রীই নানা ভাবে জিআরপিকে বিভ্রান্ত করছিল। এরপর জিআরপি জওয়ানরা যখন তাদের ফোনগুলি নিয়ে ভাল করে পরীক্ষা করে দেখেন, তখনই তাঁরা দেখতে পান গত এক ঘণ্টায় তাদের ফোনে কোনও কথাই হয়নি।
তবে এই জিজ্ঞাসাবাদের সময় দুই যাত্রীই নানা ভাবে জিআরপিকে বিভ্রান্ত করছিল। এরপর জিআরপি জওয়ানরা যখন তাদের ফোনগুলি নিয়ে ভাল করে পরীক্ষা করে দেখেন, তখনই তাঁরা দেখতে পান গত এক ঘণ্টায় তাদের ফোনে কোনও কথাই হয়নি।
advertisement
8/11
দু'জনকে সার্চ করে দুটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এর পরেই সন্দেহ আরও দানা বাঁধে। কঠোর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই ফাঁস হয়ে যায় আসল সত্যি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের নাম আরিফ এবং কপিল বলে জানায়।
দু'জনকে সার্চ করে দুটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এর পরেই সন্দেহ আরও দানা বাঁধে। কঠোর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই ফাঁস হয়ে যায় আসল সত্যি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের নাম আরিফ এবং কপিল বলে জানায়।
advertisement
9/11
জানা যায় দুজনেই হায়াতপুরা থানার কোতোয়ালি চক জেলার শাহজাহানপুরের বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে ভিভো, রেডমি, স্যামসাং এবং রিয়েলমি কোম্পানির বেশ কিছু মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পুরো কীর্তি জানার পরে জিআরপি-র তরফে তাদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং তাদের দ্রুত জেলে পাঠানো হয়।
জানা যায় দুজনেই হায়াতপুরা থানার কোতোয়ালি চক জেলার শাহজাহানপুরের বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে ভিভো, রেডমি, স্যামসাং এবং রিয়েলমি কোম্পানির বেশ কিছু মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পুরো কীর্তি জানার পরে জিআরপি-র তরফে তাদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং তাদের দ্রুত জেলে পাঠানো হয়।
advertisement
10/11
দুজনেই স্বীকার করে যে তারা ট্রেন এবং স্টেশনে যাত্রীদের টার্গেট করত। এরপর চলন্ত ট্রেন থেকে মোবাইল ফোন বা অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে লাফিয়ে পালিয়ে যেত।
দুজনেই স্বীকার করে যে তারা ট্রেন এবং স্টেশনে যাত্রীদের টার্গেট করত। এরপর চলন্ত ট্রেন থেকে মোবাইল ফোন বা অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে লাফিয়ে পালিয়ে যেত।
advertisement
11/11
স্টেশনে, তারা ট্রেন ধরার জন্য তাড়াহুড়ো করা যাত্রীদেরই মূলত টার্গেট করত। কারণ তাদের টার্গেট করা সহজ। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসিল করত আসল কাজ।
স্টেশনে, তারা ট্রেন ধরার জন্য তাড়াহুড়ো করা যাত্রীদেরই মূলত টার্গেট করত। কারণ তাদের টার্গেট করা সহজ। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসিল করত আসল কাজ।
advertisement
advertisement
advertisement