ট্রেনে হাসিমুখে সহযাত্রীদের সঙ্গে টিফিন ভাগ করে নিতেন মহিলা, আচমকাই ধরে নিয়ে গেল পুলিশ! সামনে এল বড় রহস্য
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Indian Railway: একনজরে দেখলে মনে হবে আদর্শ পরিবার। সবাই মিলে বেড়াতে যাচ্ছেন। সিটের নীচে বড় বড় লাগেজ। হাসি, খুনসুটিতে কামরা সরগরম। টিফিন বাক্স খুলে খাওয়াদাওয়া চলছে। সেই খাবার আবার সহযাত্রীদের সঙ্গে ভাগ করেও নিতেন তাঁরা।
advertisement
একনজরে দেখলে মনে হবে আদর্শ পরিবার। সবাই মিলে বেড়াতে যাচ্ছেন। সিটের নীচে বড় বড় লাগেজ। হাসি, খুনসুটিতে কামরা সরগরম। টিফিন বাক্স খুলে খাওয়াদাওয়া চলছে। সেই খাবার আবার সহযাত্রীদের সঙ্গে ভাগ করেও নিতেন তাঁরা। কিন্তু এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে এক ভয়ানক সত্য। প্রায়ই ট্রেনে সফর করতেন ৪৫ বছর বয়সী অনিতা ওরফে মানো, ২৬ বছরের যুবক আমন রানা এবং ১৬ বছরের এক নাবালিকা কন্যা। Representative Image
advertisement
টিফিন ভাগ করে নিতেন সহযাত্রীদের সঙ্গে। দেখলে মনে হবে, এমনটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু এর পিছনে রয়েছে মাদক চোরাচালান চক্র। মাদক পাচারকারীদের ধরতে বিশেষ পুলিশ কমিশনার দেবেশ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বে ‘কবচ কোড’ নামে অপারেশ্ন শুরু হয়। তখনই সামনে আসে এই পরিবারের কথা। দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ গ্রেফতার করেছে এই তিন জনকে। Representative Image
advertisement
ফাঁস হয় পুরো চক্রের কথা। এরপর বিভিন্ন জায়গা থেকে মোট ৪০০ কেজি মাদক উদ্ধার হয়। শুধু তাই নয়, চোরাচালান চক্রের আরও ৪ জনকেও পাকড়াও করে পুলিশ। অতিরিক্ত সিপি সঞ্জয় ভাটিয়া এবং ডিসিপি সতীশ কুমারের নেতৃত্বে একটি দল চোরাকারবারিদের মোডাস অপারেন্ডি, তাদের নেওয়া রুট এবং মাদক সরবরাহের উৎস খুঁজে বের করে। জানা গিয়েছে, সাপ্লাই চেনের একদম শেষে থাকত স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রীদের। তাদের হাত দিয়েই গন্তব্যে পৌঁছে যেত মাদক। Representative Image
advertisement
জানা গিয়েছে, অনিতা, আমনরা পরিবারের ছদ্মবেশে ট্রেনে মাদক পাচার করে বলে গোয়েন্দাদের কাছে প্রথম খবর আসে। এরপর ফাঁদ পাতেন এসপি নরেন্দ্র বেনিওয়াল এবং ক্রাইম ব্রাঞ্চের সন্দীপ তুশির। এরপর সিনেমার কায়দায় তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে ৪১.৫ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত হয়। যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা। Representative Image