স্বামী-স্ত্রী ছেঁড়া জামা পরতেন, হঠাৎ বদলে গেল সব...! দামি গাড়ি, ঝকঝকে বাড়ি! কী ভাবে? যা জানা গেল, শিউরে উঠবেন!
- Published by:Tias Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
Husband-Wife Secret Earning: পুরনো, ছেঁড়া জামাকাপড় গায়ে জড়িয়ে উৎসবের দিনেও স্বামী-স্ত্রী তাকিয়ে থাকতেন অন্যদের জৌলুসের দিকে। কেউ যখন নতুন শাড়ি বা দামি পাঞ্জাবি কিনত, তখন তাঁরা পুরনো পোশাকে লজ্জা লুকিয়ে হাসতেন। কিন্তু হঠাৎ একদিন সব বদলে গেল! কী করে সম্ভব?
প্রতিবেশীদের তুলনায় এই স্বামী-স্ত্রী ছিলেন অভাবী। পুরনো, ছেঁড়া জামাকাপড় গায়ে জড়িয়ে উৎসবের দিনেও তাকিয়ে থাকতেন অন্যদের জৌলুসের দিকে। কেউ যখন নতুন শাড়ি বা দামি পাঞ্জাবি কিনত, তখন তাঁরা পুরনো পোশাকে লজ্জা লুকিয়ে হাসতেন। কিন্তু হঠাৎ একদিন সব বদলে গেল! একসময় যাঁরা দু'বেলা খেতে পেলেও খুশি থাকতেন, তাঁরা হঠাৎ বিলাসবহুল জীবনযাপন শুরু করলেন। দামি গাড়ি, ঝকঝকে বাড়ি, নিত্যনতুন পোশাক—সবকিছুই যেন রাতারাতি বদলে গেল। কী করে? এর পর যা জানা গেল...শিউরে উঠবেন।
advertisement
advertisement
উত্তরপ্রদেশের বেরেলি থেকে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। সূত্রের খবর, স্বামী-স্ত্রী অত্যন্ত দরিদ্র অবস্থায় একটি বাড়িতে থাকতেন। দু'জনেই পুরনো, ছেঁড়া কাপড় পরে দিন কাটাতেন। কিন্তু হঠাৎ করেই একদিন এই দম্পতি বিলাসবহুল জীবনযাপন শুরু করেন। যখন তাঁদের আয়ের গোপন রহস্য ফাঁস হয়, তখন পুলিশ পর্যন্ত হতবাক হয়ে যায়।
advertisement
পুলিশ বহুবার চেষ্টা করেও এই পরিবারকে ধরতে পারেনি। কারণ এই চক্রটি এতটাই সুগঠিত ছিল যে, তাঁরা বারবার পুলিশের নজর এড়িয়ে যেত। বিভিন্ন পরিবহন ব্যবস্থাও ব্যবহার করত তাঁরা—কিছুটা ট্রেনে, কিছুটা বাসে ভ্রমণ করত, যাতে সহজে শনাক্ত না হয়। তবে এবার পুলিশ কৌশল বদলায়। পুরো পরিবারের মোবাইল নম্বর ট্র্যাকে রেখে নজরদারি চালায় পুলিশ।
advertisement
advertisement
advertisement
এই আফিম পাচারকারী পরিবারটি কোটওয়ালি ফরিদপুর এলাকার গৌসপুর গ্রামের বাসিন্দা। এখানকার বাসিন্দারা বেশ সম্পন্ন। এই গ্রামেরই এক ব্যক্তি, সর্দার খান, প্রতিবেশীদের সঙ্গে পাল্লা দিতে বেআইনি আফিম পাচারের পথ বেছে নেন। তিনি শুধু নিজে এই ব্যবসায় জড়াননি, স্ত্রী নাসরিন, ভাই গওস মোহাম্মদ ও পেয়ার মোহাম্মদকেও এই চক্রে টেনে নেন।
advertisement
এই গোটা পরিবার খুব চতুরতার সঙ্গে ঝাড়খণ্ড থেকে আফিম নিয়ে এসে বেশি দামে বিক্রি করত। তাঁদের পাচার পদ্ধতিও ছিল বেশ নিখুঁত। পুরো পরিবার বিভিন্ন জায়গায় ভাগ হয়ে যেত পাচারের সময়। প্রথমে একজন ঝাড়খণ্ড থেকে আফিম নিয়ে আসত, এরপর তা অন্য একজনের হাতে তুলে দিত। এভাবে ধাপে ধাপে পাচার চক্রটি চলত এবং আফিম পৌঁছে যেত বেরেলিতে।
advertisement
advertisement
advertisement
অবৈধ মাদক ব্যবসার টাকায় এই পরিবার সম্পত্তি গড়ার পরিকল্পনা করছিল। আপাতত পুলিশ ধৃত তিন পাচারকারীকে জেলে পাঠিয়েছে এবং এই পরিবারের সম্পত্তির উৎস নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশ খতিয়ে দেখছে, এই পাচারকারী চক্র ঠিক কতটা বিস্তৃত এবং আর কে কে এতে জড়িত। **এসপি অংশিকা ভার্মা এই ঘটনায় একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন।