পুণ্য করলেন স্ত্রীর হাত ধরে, সেই হাতেই রাতে হোটেলের ঘরে...ছিঃ! এ কী ভয়ঙ্কর 'পাপ' স্বামীর! দরজা খুলতেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য

মহাপুণ্যের আশায় মহাপাপ! কুম্ভে এসে পাপ মুক্তির বদলে নারকীয় কাণ্ড ঘটাল এক ব্যক্তি। প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে স্নান করলেন, ঈশ্বরের নামে স্ত্রীর হাত ধরলেন, তারপর রাতের অন্ধকারে সেই হাতেই করল ভয়ঙ্কর অপরাধ! হোটেল রুমের দরজা খুলতেই যা দেখা গেল, স্তম্ভিত পুলিশও…!

অশোক কুমার নামের এক ব্যক্তি স্ত্রী মীনাক্ষীকে নিয়ে দিল্লির ত্রিলোকপুরি থেকে প্রয়াগরাজে এসেছিলেন মহাকুম্ভের পুণ্যস্নানের জন্য। কিন্তু প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল অন্য কিছু!

তারা দিল্লির ত্রিলোকপুরি থেকে মহাকুম্ভে এসেছিল। ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে পুলিশ খবর পায় যে, এক হোমস্টের বাথরুমে এক মহিলার মৃতদেহ পড়ে আছে। তদন্তে উঠে আসে, আগের রাতে দম্পতি ওই হোমস্টেতে উঠেছিলেন, কিন্তু পরিচয়পত্র ছাড়াই তাঁদের ঘর দেওয়া হয়েছিল। পরদিন সকালে ম্যানেজার ঘটনাস্থলে এসে পুলিশকে খবর দেন।

মহিলার পরিচয় শনাক্ত করতে পুলিশ তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদপত্রে প্রকাশ করে। ২১ ফেব্রুয়ারি, মীনাক্ষীর পরিবার ছবিটি দেখে তাঁকে শনাক্ত করে। তাঁর ভাই প্রবেশ কুমার এবং দুই ছেলে প্রয়াগরাজে এসে ঝুঁসি থানায় তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করেন।

পরিবারকে বিভ্রান্ত করতে অশোক ছেলে আশীষকে ফোন করে মিথ্যে বলেন যে, তীর্থযাত্রীদের ভিড়ে মীনাক্ষী হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাঁর আরেক ছেলে অশ্বিন সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং ২০ ফেব্রুয়ারি পরিবারের সঙ্গে মহাকুম্ভে গিয়ে মাকে খুঁজতে শুরু করেন। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, সিসিটিভি ফুটেজ ও ফরেনসিক বিশ্লেষণে অশোকের বয়ানে গরমিল রয়েছে।

অভিযোগ, ১৮ ফেব্রুয়ারির রাতে ঝুঁসি এলাকার এক হোমস্টের বাথরুমে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেন তিনি। সকালে পুলিশ খবর পায়, হোমস্টের বাথরুমে এক মহিলার নিথর দেহ পড়ে আছে।

জেরায় অশোক স্বীকার করেন, গত তিন মাস ধরে তিনি স্ত্রীকে খুন করার ছক কষছিলেন। অন্য এক মহিলার সঙ্গে তাঁর অবৈধ সম্পর্ক ছিল, যা বজায় রাখতে স্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।

এরপর সিসিটিভি ও ফরেনসিক বিশ্লেষণে উঠে আসে সত্য। হত্যার আগের দিনই অশোক কুম্ভস্নানের একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন, যেখানে স্ত্রীকে নিয়ে ধর্মের নামে পুণ্য অর্জনের কথা বলছিলেন! কিন্তু রাত পোহাতেই সেই পুণ্যযাত্রা পরিণত হল নারকীয় হত্যাকাণ্ডে!