GK Nuclear Bombs: হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে ফেলা পারমাণবিক বোমার নাম ‘লিটল বয়’ ও ‘ফ্যাট ম্যান’ কেন ছিল? ৯৯% মানুষই জানেন না আসল কারণ...

Last Updated:
GK Nuclear Bombs: প্রায় ৮০ বছর আগে ১৯৪৫ সালে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে ফেলা দুটি পারমাণবিক বোমার নাম ছিল ‘লিটল বয়’ ও ‘ফ্যাট ম্যান’। এই ভয়ংকর অস্ত্রের এমন নামকরণের পেছনের ইতিহাস জানলে চমকে যাবেন। জেনে নিন সেই বিস্ময়কর কাহিনি...
1/8
১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট আমেরিকা জাপানের হিরোশিমায় এবং ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে দুটি পারমাণবিক বোমা ফেলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এই ভয়াবহ অধ্যায় আজও মানবজাতির জন্য এক ভয়ংকর স্মৃতি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো—এই দুটি বিধ্বংসী বোমার নাম ছিল ‘লিটল বয়’ (Little Boy) ও ‘ফ্যাট ম্যান’ (Fat Man)। এত ভয়াবহ অস্ত্রের এমন কৌতুকপূর্ণ নাম কেন রাখা হয়েছিল, তা অনেকের মনে প্রশ্ন জাগায়।
১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট আমেরিকা জাপানের হিরোশিমায় এবং ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে দুটি পারমাণবিক বোমা ফেলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এই ভয়াবহ অধ্যায় আজও মানবজাতির জন্য এক ভয়ংকর স্মৃতি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো—এই দুটি বিধ্বংসী বোমার নাম ছিল ‘লিটল বয়’ (Little Boy) ও ‘ফ্যাট ম্যান’ (Fat Man)। এত ভয়াবহ অস্ত্রের এমন কৌতুকপূর্ণ নাম কেন রাখা হয়েছিল, তা অনেকের মনে প্রশ্ন জাগায়।
advertisement
2/8
এই বোমা দুটি ম্যানহাটন প্রকল্পের (Manhattan Project) অধীনে তৈরি হয়েছিল। এই প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন বহু বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী। লিটল বয় ছিল ইউরেনিয়াম-২৩৫ ভিত্তিক বোমা এবং এর গঠন তুলনামূলকভাবে সরল ও সরু। এটি ছিল প্রায় ১০ ফুট লম্বা এবং ২৮ ইঞ্চি ব্যাস বিশিষ্ট, মানে দেখতে ছোট গাড়ির মতো, কিন্তু অনেক পাতলা। তাই এর নাম রাখা হয় ‘লিটল বয়’।
এই বোমা দুটি ম্যানহাটন প্রকল্পের (Manhattan Project) অধীনে তৈরি হয়েছিল। এই প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন বহু বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী। লিটল বয় ছিল ইউরেনিয়াম-২৩৫ ভিত্তিক বোমা এবং এর গঠন তুলনামূলকভাবে সরল ও সরু। এটি ছিল প্রায় ১০ ফুট লম্বা এবং ২৮ ইঞ্চি ব্যাস বিশিষ্ট, মানে দেখতে ছোট গাড়ির মতো, কিন্তু অনেক পাতলা। তাই এর নাম রাখা হয় ‘লিটল বয়’।
advertisement
3/8
অন্যদিকে ‘ফ্যাট ম্যান’ ছিল প্লুটোনিয়াম-২৩৯ ভিত্তিক পারমাণবিক বোমা। এটি ছিল জটিল নকশার এবং অনেক ভারী। এর ব্যাস ছিল প্রায় ৫ ফুট এবং দৈর্ঘ্য ১০.৬ ফুট। ওজন ছিল প্রায় ১০,৩০০ পাউন্ড। গোলাকার এবং বিশাল আকৃতির হওয়ায় নাম দেওয়া হয় ‘ফ্যাট ম্যান’। বোমার ডিজাইন এবং আকৃতিকে মাথায় রেখেই এই নামকরণ করা হয়েছিল।
অন্যদিকে ‘ফ্যাট ম্যান’ ছিল প্লুটোনিয়াম-২৩৯ ভিত্তিক পারমাণবিক বোমা। এটি ছিল জটিল নকশার এবং অনেক ভারী। এর ব্যাস ছিল প্রায় ৫ ফুট এবং দৈর্ঘ্য ১০.৬ ফুট। ওজন ছিল প্রায় ১০,৩০০ পাউন্ড। গোলাকার এবং বিশাল আকৃতির হওয়ায় নাম দেওয়া হয় ‘ফ্যাট ম্যান’। বোমার ডিজাইন এবং আকৃতিকে মাথায় রেখেই এই নামকরণ করা হয়েছিল।
advertisement
4/8
ম্যানহাটন প্রকল্পে তখনকার বিজ্ঞানীরা বোমাগুলোর নাম রাখার সময় হালকা-ফুলকা মেজাজে কাজ করতেন। গোপনীয়তা বজায় রাখতে সহজ, অ-প্রযুক্তিগত এবং স্মরণযোগ্য নাম প্রয়োজন ছিল। তাই ‘লিটল বয়’ ও ‘ফ্যাট ম্যান’ নামগুলো শুধুমাত্র কোডনেম হিসেবেই রাখা হয়েছিল, যার পেছনে কোনো গভীর দার্শনিক বা সামরিক ব্যাখ্যা ছিল না।
ম্যানহাটন প্রকল্পে তখনকার বিজ্ঞানীরা বোমাগুলোর নাম রাখার সময় হালকা-ফুলকা মেজাজে কাজ করতেন। গোপনীয়তা বজায় রাখতে সহজ, অ-প্রযুক্তিগত এবং স্মরণযোগ্য নাম প্রয়োজন ছিল। তাই ‘লিটল বয়’ ও ‘ফ্যাট ম্যান’ নামগুলো শুধুমাত্র কোডনেম হিসেবেই রাখা হয়েছিল, যার পেছনে কোনো গভীর দার্শনিক বা সামরিক ব্যাখ্যা ছিল না।
advertisement
5/8
কিছু ইতিহাসবিদ মনে করেন, এই নামগুলো তৎকালীন জনপ্রিয় সংস্কৃতি বা মজার চরিত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে রাখা হয়। যেমন—১৯৪২ সালের একটি হলিউড সিনেমা ‘দ্য থিন ম্যান’-এর নাম থেকেই সম্ভবত ‘লিটল বয়’ এবং ‘ফ্যাট ম্যান’ নামকরণে অনুপ্রেরণা পাওয়া গিয়েছিল।
কিছু ইতিহাসবিদ মনে করেন, এই নামগুলো তৎকালীন জনপ্রিয় সংস্কৃতি বা মজার চরিত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে রাখা হয়। যেমন—১৯৪২ সালের একটি হলিউড সিনেমা ‘দ্য থিন ম্যান’-এর নাম থেকেই সম্ভবত ‘লিটল বয়’ এবং ‘ফ্যাট ম্যান’ নামকরণে অনুপ্রেরণা পাওয়া গিয়েছিল।
advertisement
6/8
এই নামগুলোর মাধ্যমে দেখা যায়, বিজ্ঞানীরা এমন ভয়াবহ প্রকল্পের মধ্যেও নিজেদের মানসিক চাপ কমাতে রসবোধের আশ্রয় নিতেন। রবার্ট ওপেনহেইমার ও তাঁর সহকর্মীরা মজা করেই এই নাম দিয়েছিলেন। এটি ছিল একধরনের মানসিক ভার লাঘবের কৌশল।
এই নামগুলোর মাধ্যমে দেখা যায়, বিজ্ঞানীরা এমন ভয়াবহ প্রকল্পের মধ্যেও নিজেদের মানসিক চাপ কমাতে রসবোধের আশ্রয় নিতেন। রবার্ট ওপেনহেইমার ও তাঁর সহকর্মীরা মজা করেই এই নাম দিয়েছিলেন। এটি ছিল একধরনের মানসিক ভার লাঘবের কৌশল।
advertisement
7/8
রবার্ট সেরবার নামের এক পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি ম্যানহাটন প্রকল্পে ওপেনহেইমারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন, তিনিই এই নাম দুটি প্রস্তাব করেছিলেন বলে অনেক গবেষক মনে করেন। পরবর্তীতে আমেরিকার অন্যান্য পারমাণবিক অস্ত্রেরও আকর্ষণীয় নাম রাখা হয়, যেমন—‘রাউন্ডফিশ’, ‘হেল্ডা’ ইত্যাদি। সোভিয়েত ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় বোমার নাম ছিল ‘Tsar Bomba’—যা তাদের ইতিহাসে ‘জার’-এর প্রতীক।
রবার্ট সেরবার নামের এক পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি ম্যানহাটন প্রকল্পে ওপেনহেইমারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন, তিনিই এই নাম দুটি প্রস্তাব করেছিলেন বলে অনেক গবেষক মনে করেন। পরবর্তীতে আমেরিকার অন্যান্য পারমাণবিক অস্ত্রেরও আকর্ষণীয় নাম রাখা হয়, যেমন—‘রাউন্ডফিশ’, ‘হেল্ডা’ ইত্যাদি। সোভিয়েত ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় বোমার নাম ছিল ‘Tsar Bomba’—যা তাদের ইতিহাসে ‘জার’-এর প্রতীক।
advertisement
8/8
যদিও বর্তমানে পারমাণবিক অস্ত্রগুলোর নাম সাধারণত মডেল নম্বর বা প্রযুক্তিগত নাম হয় (যেমন: B61, W88), তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এ ধরনের নামকরণ ছিল নজিরবিহীন। ১৯৪৫ সালে আমেরিকা কেবল দুটি পারমাণবিক বোমা প্রস্তুত করেছিল। তৃতীয় বোমা তৈরির প্রক্রিয়া চলছিল, যা আগস্টের শেষ নাগাদ প্রস্তুত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। যদি জাপান আত্মসমর্পণ না করত, তবে আরও শহরের ওপর বোমা ফেলার পরিকল্পনা ছিল।
যদিও বর্তমানে পারমাণবিক অস্ত্রগুলোর নাম সাধারণত মডেল নম্বর বা প্রযুক্তিগত নাম হয় (যেমন: B61, W88), তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এ ধরনের নামকরণ ছিল নজিরবিহীন। ১৯৪৫ সালে আমেরিকা কেবল দুটি পারমাণবিক বোমা প্রস্তুত করেছিল। তৃতীয় বোমা তৈরির প্রক্রিয়া চলছিল, যা আগস্টের শেষ নাগাদ প্রস্তুত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। যদি জাপান আত্মসমর্পণ না করত, তবে আরও শহরের ওপর বোমা ফেলার পরিকল্পনা ছিল।
advertisement
advertisement
advertisement