GK Diamond Village of India: ভারতের এই রাজ্যে বৃষ্টি নামলেই মাটির নিচ থেকে উঠে আসে হীরে! ৯৯% মানুষই জানেন না ঘটনাটি...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
GK Diamond Village of India: অন্ধ্রপ্রদেশের কুরনুল ও অনন্তপুর জেলার কিছু গ্রামে বর্ষা এলেই মাটির নিচ থেকে উঠে আসে দামি হীরে। স্থানীয় কৃষক, শ্রমিক থেকে বাইরের মানুষও জমিতে খুঁড়ে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে ছুটে আসেন এই হীরে গ্রামে...
প্রতি বছর যখন জুন-জুলাই মাসে বর্ষা আসে, তখন দেশের অধিকাংশ গ্রামে কৃষকেরা চাষের জন্য মাটি চাষে ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুর এবং কুরনুল জেলার কিছু গ্রামে এই সময়টা একেবারে আলাদা। এখানকার বজ্রকরুর, জোন্নাগিরি, তুগলি ও মদ্দিকেরা গ্রামের মানুষজন হীরের খোঁজে মাঠে নামে।
advertisement
শুনতে সিনেমার গল্পের মতো হলেও এটি একেবারে সত্যি। বর্ষার প্রথম বৃষ্টির পর এই অঞ্চলের মাটির নিচে থাকা হীরে উপরের দিকে চলে আসে। মানুষদের দরকার হয় না কোনো মেশিন বা বড় যন্ত্রের। কেবল একটি কাঠি, ঝাঁঝরি দিয়ে মাটি সরালেই ভাগ্য ভালো হলে লাখ লাখ টাকার হীরে হাতে আসে।
advertisement
অনেক সময় এই হীরেগুলোকে সাধারণ ছোটো পাথর ভেবে অবহেলা করা হয়। কিন্তু সেগুলোই অনেকের জীবন বদলে দিয়েছে। ২০১৯ সালে, জোন্নাগিরিতে একজন শ্রমিক ১৪ লক্ষ টাকার হীরে পেয়েছিলেন, আর পাশের পেরাবালি গ্রামের এক কৃষক পেয়েছিলেন ২ লক্ষ টাকার হীরা। মাত্র তিন দিনের মধ্যে ওই এলাকায় প্রায় ১০ লক্ষ টাকার হীরে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।
advertisement
এই হীরেগুলো উপরে উঠে আসে কীভাবে? এর পেছনে কারণ হল প্রবল বৃষ্টিপাত। বর্ষার প্রথম জোর বৃষ্টিতে মাটির উপরের স্তর সরে যায়, আর নিচে থাকা হীরে বা খনিজ উপরের দিকে উঠে আসে। এই অঞ্চলের মাটিতে বিশেষভাবে হীরে পাওয়া যায় বলে বৃষ্টির পর ছোট পাথরের মতো হীরে চোখে পড়ে।
advertisement
মানুষজনকে খুব কষ্ট করতে হয় না। কেবল একটু মাটি খুঁড়ে বা ঝাঁঝরিতে ছেঁকে দেখলেই হীরের সন্ধান মিলতে পারে। অনেক সময় কয়েক মিনিটেই মানুষের ভাগ্য পুরোপুরি বদলে যায়।
advertisement
গত এক দশকে এই ঘটনাগুলো শুধুই কাকতালীয় ঘটনা নয়, বরং এটি এখন ‘হীরে সিজন’ হিসেবে পরিচিত। বর্ষা শুরু হলে তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং অন্যান্য রাজ্য থেকে মানুষজন এসে তাঁবু ফেলে হীরের সন্ধানে দিন কাটান। শিশুরাও এই খোঁজে অংশ নেয়।
advertisement
সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় হল—যেই মুহূর্তে কেউ হীরে পায়, কিছুক্ষণের মধ্যেই তা বিক্রি করে ফেলার সুযোগও আসে। মুম্বাই ও সুরত থেকে বড় বড় হীরের ব্যবসায়ীরা এখানে এসে সরাসরি হীরে কিনে নিয়ে যায়। ২০২১ সালে জোন্নাগিরির দুই শ্রমিক ৭০ লক্ষ ও ৫০ লক্ষ টাকায় হীরে বিক্রি করেছিলেন।
advertisement
তবে এই হীরার দৌড়ে কিছু সমস্যাও রয়েছে। যেসব জমিতে হীরা পাওয়া যায়, সেগুলো সাধারণত চাষযোগ্য জমি। বহিরাগতদের আগমনে চাষের জমি নষ্ট হয়, ফসল পিষ্ট হয় এবং কৃষকের মরশুম বিফলে যায়। ২০২৪ ও ২০২৫ সালেও এই হীরের খোঁজ থেমে থাকেনি। ২০২৫ সালের জুন মাসে, তুগলিতে এক মহিলার ছোট ধানক্ষেতে ১০ লক্ষ টাকার হীরে পাওয়া গিয়েছে।