মালাবদল শেষ, সাত পাক ঘুরলেন বর-কনে, রাত পেরোতেই জানা গেল গোপন 'সত্যি'...! বিয়ে ভেঙে গেল

ধুমধাম করে বিয়ে হল, মালাবদলও হয়ে গেল, সাতপাকও ঘোরা হল, কিন্তু কন্যাকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যাওয়ার ঠিক আগে ঘটে গেল এমন কিছু, যা কেউ ভাবতেই পারেনি।

মুহূর্তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, বিষয়টি গড়ায় থানায়। পঞ্চায়েত বসে, আলোচনা চলে দীর্ঘক্ষণ, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়ে ভেঙে যায়। কী ঘটেছিল? জানলে চমকাবেন।

ধুমধাম করে অনুষ্ঠিত হয় আশীষ কুমার ও রঞ্জনার বিয়ে। বিয়ের জন্য টেলমা মাজরা পারা ইব্রাহিম গ্রামের বাসিন্দা আশীষ কুমারের বরযাত্রী রওনা দিয়েছিল রুদাউলি গ্রামে। কনের পরিবার রাজকীয়ভাবে বরযাত্রীদের আপ্যায়ন করে।

বর-কনে একে অপরকে মালা পরায়, সাতপাকও ঘোরা হয়। বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল রাতে। সকালে বিদায়ের সময় হঠাৎই আলোচনায় উঠে আসে সেই প্রসঙ্গ, যা এত দিন গোপন ছিল। কারও মাথাতেও আসেনি।

বিদায়ের সময় হঠাৎই আলোচনায় উঠে আসে কুলদেবতার প্রসঙ্গ। জানা যায়, বর ও কনের কুলদেবতা আলাদা। কনের পরিবার দাবি করে, এই বিয়ে চলবে না, কারণ দুই পরিবার ভিন্ন কুলদেবতাকে মানে। কনের মামা রাম নবাজ অভিযোগ তোলেন যে, বরপক্ষ এই তথ্য গোপন করেছিল এবং প্রতারণা করেছে। কনের পরিবার ক্ষুব্ধ হয়ে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

উত্তরপ্রদেশের বরাবাঁকি থেকে সামনে এল এমনই এক চমকপ্রদ ঘটনা। কনের পরিবার দাবি করল, বর ও কনের কুলদেবতা আলাদা, তাই এই বিয়ে হতে পারে না! ষয়টি গড়ায় থানায়। বরপক্ষ কনের পরিবারের বিরুদ্ধে গয়না আত্মসাতের অভিযোগ তোলে, আর কনের পরিবার দাবি করে, বিয়েতে যে খরচ হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পঞ্চায়েত বসে, দীর্ঘ আলোচনার পর শেষমেশ দুই পরিবার সমঝোতায় পৌঁছয় এবং বিয়ে বাতিল হয়ে যায়।

ব্যান্ড-বাজা, বরযাত্রীর আনন্দ সব এক নিমেষে শেষ হয়ে যায়। কনে ছাড়া বরযাত্রীকে ফিরে যেতে হয়। এই ঘটনা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।