গরিব রথে 'শেষ' যাত্রা...! ট্রেনে জীবনযুদ্ধে হেরে গেলেন ইঞ্জিনিয়ার শ্রাবণ, দিল্লি এবং বিহারের মধ্যে কী এমন ঘটেছিল? ঘাম ছুটবে শুনলেই!

Last Updated:
Garib Rath Express: সম্প্রতি গাজিয়াবাদের গরিব রথ ট্রেনে যা ঘটল তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল রেলযাত্রাও কী ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। দিল্লি থেকে বিহারের উদ্দেশ্যে ছুটছিল ট্রেন। আর সেই ট্রেনেই গাজিয়াবাদের কাছে যা ঘটে গেল তা মুহূর্তে কাঁপিয়ে দিল যাত্রীদের বুক।
1/12
ট্রেন ভ্রমণ প্রত্যেক যাত্রীর কাছেই অন্যতম পছন্দের যাত্রা। গন্তব্যে সময়ে পৌঁছতে এই গণমাধ্যমের মতো আর দুটি নেই। কিন্তু দূরপাল্লার ট্রেনে দীর্ঘ যাত্রায় অনেকসময় ঘটে যায় এমন ঘটনা যা কেউ কখনও ভাবতেও পারবে না।
ট্রেন ভ্রমণ প্রত্যেক যাত্রীর কাছেই অন্যতম পছন্দের যাত্রা। গন্তব্যে সময়ে পৌঁছতে এই গণমাধ্যমের মতো আর দুটি নেই। কিন্তু দূরপাল্লার ট্রেনে দীর্ঘ যাত্রায় অনেকসময় ঘটে যায় এমন ঘটনা যা কেউ কখনও ভাবতেও পারবে না।
advertisement
2/12
সম্প্রতি গাজিয়াবাদের গরিব রথ ট্রেনে যা ঘটল তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল রেলযাত্রাও কী ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। দিল্লি থেকে বিহারের উদ্দেশ্যে ছুটছিল ট্রেন। আর সেই ট্রেনেই গাজিয়াবাদের কাছে যা ঘটে গেল তা মুহূর্তে কাঁপিয়ে দিল যাত্রীদের বুক।
সম্প্রতি গাজিয়াবাদের গরিব রথ ট্রেনে যা ঘটল তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল রেলযাত্রাও কী ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। দিল্লি থেকে বিহারের উদ্দেশ্যে ছুটছিল ট্রেন। আর সেই ট্রেনেই গাজিয়াবাদের কাছে যা ঘটে গেল তা মুহূর্তে কাঁপিয়ে দিল যাত্রীদের বুক।
advertisement
3/12
আর সকল যাত্রীর মতো সেদিন সপরিবারে ট্রেনে উঠে বসেছিলেন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার, গুরুগ্রামের লক্ষ্মী গার্ডেন সেক্টর ১১-এর বাসিন্দা ৪৮ বছর বয়সি শ্রাবণ। স্ত্রী এবং ছেলে শ্রেয়শকে নিয়ে দিল্লি থেকে বিহারের মুজাফফরপুর যাচ্ছিলেন ওই মধ্যবয়সী ব্যক্তি। Representative Image 
আর সকল যাত্রীর মতো সেদিন সপরিবারে ট্রেনে উঠে বসেছিলেন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার, গুরুগ্রামের লক্ষ্মী গার্ডেন সেক্টর ১১-এর বাসিন্দা ৪৮ বছর বয়সি শ্রাবণ। স্ত্রী এবং ছেলে শ্রেয়শকে নিয়ে দিল্লি থেকে বিহারের মুজাফফরপুর যাচ্ছিলেন ওই মধ্যবয়সী ব্যক্তি। Representative Image
advertisement
4/12
সহরসা গরীব রথ ট্রেনে যাত্রা করছিলেন শ্রাবণ ও তাঁর পরিবার। বুধবার সকালে গাজিয়াবাদ স্টেশনে ট্রেনটি থামেনি। ট্রেনটি মূল লাইনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। ট্রেনে দিব্যি বসে ছিলেন শ্রাবণ। ঠিক তখনই বসে থাকা অবস্থায় হঠাৎ মুহূর্তের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয় শ্রাবণের। Representative Image
সহরসা গরিব রথ ট্রেনে যাত্রা করছিলেন শ্রাবণ ও তাঁর পরিবার। বুধবার সকালে গাজিয়াবাদ স্টেশনে ট্রেনটি থামেনি। ট্রেনটি মূল লাইনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। ট্রেনে দিব্যি বসে ছিলেন শ্রাবণ। ঠিক তখনই বসে থাকা অবস্থায় হঠাৎ মুহূর্তের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয় শ্রাবণের। Representative Image
advertisement
5/12
পরিস্থিতি দেখে দ্রুত সহযাত্রীরা রেলকে বিষয়টি জানান। এরপর গাজিয়াবাদে ট্রেন থামানো হয়। স্টেশন মাস্টার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে এই বিষয়ে অবহিত করেন। তড়িঘড়ি শ্রাবণকে ট্রেন থেকে নামানো হয়। Representative Image
পরিস্থিতি দেখে দ্রুত সহযাত্রীরা রেলকে বিষয়টি জানান। এরপর গাজিয়াবাদে ট্রেন থামানো হয়। স্টেশন মাস্টার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে এই বিষয়ে অবহিত করেন। তড়িঘড়ি শ্রাবণকে ট্রেন থেকে নামানো হয়। Representative Image
advertisement
6/12
ট্রেন থামানোর পর জিআরপি ইন্সপেক্টর সঞ্জীব কুমার দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে সিপিআর দেন কিন্তু তাঁর জীবন বাঁচানো যায়নি। তবে একথা সত্যি যে ওই যাত্রীকে সিপিআর দিতে বিলম্ব হয়। কারণ দেখা যায় সেই সময় ট্রেনের কামরায় উপস্থিত যাত্রীদের কেউই সিপিআর দিতে জানেন না। Representative Image
ট্রেন থামানোর পর জিআরপি ইন্সপেক্টর সঞ্জীব কুমার দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে সিপিআর দেন কিন্তু তাঁর জীবন বাঁচানো যায়নি। তবে একথা সত্যি যে ওই যাত্রীকে সিপিআর দিতে বিলম্ব হয়। কারণ দেখা যায় সেই সময় ট্রেনের কামরায় উপস্থিত যাত্রীদের কেউই সিপিআর দিতে জানেন না। Representative Image
advertisement
7/12
চোখের নিমেষে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন ৪৮ বছর বয়সি ইঞ্জিনিয়ার শ্রাবণ। চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বলা হয় যে ট্রেনে কেউ সিপিআর দিতে জানত না, আর তাতেই বিলম্ব হওয়ায় বাঁচানো যায়নি ওই ইঞ্জিনিয়ারকে। Representative Image
চোখের নিমেষে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন ৪৮ বছর বয়সি ইঞ্জিনিয়ার শ্রাবণ। চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বলা হয় যে ট্রেনে কেউ সিপিআর দিতে জানত না, আর তাতেই বিলম্ব হওয়ায় বাঁচানো যায়নি ওই ইঞ্জিনিয়ারকে। Representative Image
advertisement
8/12
জিআরপি মৃতদেহটি মর্গে পাঠিয়ে দেয়। জিআরপি জানিয়েছে, ট্রেনে মৃতের পাশে বসে থাকা অন্য ব্যক্তিরা কেউই সিপিআর সম্পর্কে জানতেন না। যদি ওই যাত্রীকে অবিলম্বে সিপিআর দেওয়া হত, তাহলে হয়ত তাঁর জীবন বাঁচানো যেত। Representative Image
জিআরপি মৃতদেহটি মর্গে পাঠিয়ে দেয়। জিআরপি জানিয়েছে, ট্রেনে মৃতের পাশে বসে থাকা অন্য ব্যক্তিরা কেউই সিপিআর সম্পর্কে জানতেন না। যদি ওই যাত্রীকে অবিলম্বে সিপিআর দেওয়া হত, তাহলে হয়ত তাঁর জীবন বাঁচানো যেত। Representative Image
advertisement
9/12
জিআরপির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নবরত্ন গৌতম জানিয়েছেন, এই ঘটনায় আত্মীয়স্বজনদের তরফ থেকে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তবে এই ঘটনা চোখ খুলে দিয়েছে অনেকেরই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা ভাইরাল হতেই ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনেকেই বলছেন সিপিআর দেওয়া জানা অত্যন্ত জরুরি। Representative Image
জিআরপির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নবরত্ন গৌতম জানিয়েছেন, এই ঘটনায় আত্মীয়স্বজনদের তরফ থেকে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তবে এই ঘটনা চোখ খুলে দিয়েছে অনেকেরই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা ভাইরাল হতেই ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনেকেই বলছেন সিপিআর দেওয়া জানা অত্যন্ত জরুরি। Representative Image
advertisement
10/12
জেনে রাখুন হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে আপনি এভাবে সিপিআর দিতে পারেন:রোগী অজ্ঞান কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য, তাঁর কাঁধে টোকা দিন এবং শব্দ করুন। - ১০ সেকেন্ডের মধ্যে পরীক্ষা করুন যে সে শ্বাস নিচ্ছে কিনা।
জেনে রাখুন হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে আপনি এভাবে সিপিআর দিতে পারেন:
রোগী অজ্ঞান কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য, তাঁর কাঁধে টোকা দিন এবং শব্দ করুন।
- ১০ সেকেন্ডের মধ্যে পরীক্ষা করুন যে সে শ্বাস নিচ্ছে কিনা।
advertisement
11/12
রোগীকে শক্ত জায়গায় পিঠের উপর ভর দিয়ে শুইয়ে দিন।আপনার হাত দুটি একে অপরের উপর রাখুন। রোগীর বুকের মাঝখানে হাতের তালু রাখুন। কনুই সোজা রাখুন এবং আপনার কাঁধ সরাসরি হাতের উপর রাখুন।
রোগীকে শক্ত জায়গায় পিঠের উপর ভর দিয়ে শুইয়ে দিন।
আপনার হাত দুটি একে অপরের উপর রাখুন।
রোগীর বুকের মাঝখানে হাতের তালু রাখুন।
কনুই সোজা রাখুন এবং আপনার কাঁধ সরাসরি হাতের উপর রাখুন।
advertisement
12/12
তালুতে দ্রুত এবং গভীর চাপ প্রয়োগ করুন, অর্থাৎ পাঁচ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ভিতরের দিকে।প্রতি মিনিটে ১০০-১২০ বার গতিতে তালু টিপুন। বুকে ৩০ বার চাপ দেওয়ার পর, আপনি দুবার মুখ থেকে মুখ শ্বাস নিতে পারেন।
তালুতে দ্রুত এবং গভীর চাপ প্রয়োগ করুন, অর্থাৎ পাঁচ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ভিতরের দিকে।
প্রতি মিনিটে ১০০-১২০ বার গতিতে তালু টিপুন।
বুকে ৩০ বার চাপ দেওয়ার পর, আপনি দুবার মুখ থেকে মুখ শ্বাস নিতে পারেন।
advertisement
advertisement
advertisement