Farming Tips: বৃষ্টির পর তীব্র রোদে বিপজ্জনক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে ধান গাছে, বাঁচাতে অবিলম্বে সেরে ফেলুন এই কাজ
- Published by:Pooja Basu
- local18
Last Updated:
ভুলে গেলে চলবে না যে কৃষিনির্ভর এই দেশে ধানই প্রধান শস্য, তা যাতে ঠিকভাবে উৎপন্ন হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতেই হবে। না হলে কৃষক যেমন দাম পাবেন না, তেমনই অর্থনীতিও ব্যাহত হবে।
শরৎকাল বললেই বাঙালির মনে যে জিনিসগুলো ভেসে আসে তা হল আকাশে নীল পেঁজা মেঘ, জলে পদ্ম আর স্থলে কাশ, শিউলি, ধান। ভুলে গেলে চলবে না যে এই শরৎ ঋতুতেই বাঙালি কোজাগরী পূর্ণিমায় আসন পাতে দেবী লক্ষ্মীর, যাঁর হাতে ধানের শিস থাকে। আবার, শরতের দুর্গাপুজোর নবপত্রিকায় ধান প্রতিনিধিত্ব করে লক্ষ্মীর। শরৎ এখনও যায়নি, এখন ক্ষেতে ধানের ফসলের শিস গজাচ্ছে।
advertisement
এদিকে, আবহাওয়ার ক্রমাগত পরিবর্তন ফসলের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বৃষ্টি এবং রোদের আলো বায়ুমণ্ডলে আর্দ্রতা বৃদ্ধি করছে, যার ফলে হরদিয়া রোগ এবং দুর্গন্ধযুক্ত পোকার প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। বায়ুমণ্ডলে উচ্চ আর্দ্রতার কারণে কৃষকরা মাটিতে আরও নাইট্রোজেন প্রয়োগ করছেন। এটিও ফসলে হরদিয়া রোগ এবং দুর্গন্ধযুক্ত পোকার আক্রমণের কারণ হয়ে উঠছে।
advertisement
কৃষি বিশেষজ্ঞ ড. এলসি ভার্মা ব্যাখ্যা করেছেন যে, এই রোগের বিরুদ্ধে ফসলের সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষকরা যদি এই রোগ প্রতিরোধের জন্য সময়মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, তাহলে তাঁদের ফসল ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। হরদিয়া রোগ একটি ছত্রাকের কারণে হয়। বায়ুমণ্ডলে উচ্চ আর্দ্রতা রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
advertisement
রোগ কীভাবে শনাক্ত করা যেতে পারে-যদি ফসল এই রোগে আক্রান্ত হয়, তাহলে ধানের শিস হলুদ হয়ে যায়। আক্রান্ত ধানের শিস দ্বিগুণ আকার ধারণ করে। সাধারণত, একটি ধানের ছড়ায় মাত্র কয়েকটি শিস এই রোগে আক্রান্ত হয়, যা অন্যান্য শিস এবং গাছপালায় ছড়িয়ে পড়ে। এটি অন্যান্য ফসলেও রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। যদি সময়মতো এই রোগ প্রতিরোধ না করা হয়, তাহলে ফলন ৩০% পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই রোগ প্রতিরোধের জন্য কৃষকদের প্রথমে তাঁদের জমিতে আগাছা নিয়ন্ত্রণের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত।
advertisement
advertisement