জামাইবাবুর প্রেমে হাবুডুবু শ্যালিকা...! ধরা পড়তেই দিদির 'বরের' হাত ধরে এ কী বললেন তরুণী? পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেল ভাইয়ের!

ভালোবাসা এক এমন অনুভূতি যা কোনও নিয়মের বাধ মানে না। সম্পর্ক, আত্মীয়তা, পরিবার সব কিছু মুহূর্তে অর্থহীন হয়ে যায়। এমন ঘটনা বার বার ঘটতে দেখা যায় সমাজে। যেখানে ভালবাসার সম্পর্ক সব যুক্তিবুদ্ধিকে সরিয়ে দেয়।

এমনই এক অন্যরকম প্রেমের ঘটনা সম্প্রতি সামনে এসেছে উত্তর প্রদেশে। এখানে এক তরুণী তাঁর নিজেরই বোনের স্বামীর প্রেমে পড়ে যান যিনি আসলে সম্পর্কে তাঁর জামাইবাবু।

কিন্তু সেই প্রেমের সম্পর্কের জেরে পরিস্থিতি এমন চরম হয়ে যায় যে তাঁরা সামাজিক রীতিনীতি উপেক্ষা করে এক সঙ্গে থাকতে শুরু করে। এই অস্বাভাবিক প্রেমের গল্পটি শুরু হয়েছিল উত্তর প্রদেশের মথুরায়।

এই রকম ঘটনা সামনে এসেছে উত্তর প্রদেশে। এক তরুণী তাঁর বোনের স্বামীর প্রেমে পড়ে যান। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে তাঁরা সামাজিক রীতিনীতি উপেক্ষা করে এক সঙ্গে থাকতে শুরু করে দেয়া।

এই অস্বাভাবিক প্রেমের গল্পটি শুরু হয়েছিল উত্তর প্রদেশের মথুরা থেকে। একটি প্রতিবেদন অনুসারে, কর্ণালের এক মহিলা ১২ বছর আগে নৌঝিল গ্রামের এক পুরুষকে বিয়ে করেছিল। এই দম্পতির দুটি সন্তান ছিল। দিদির বিয়ের পাঁচ বছর পর, তাঁর ছোট বোনেরও বিয়ে হয় এবং তাঁর দুটি সন্তান হয়।

পরিবারের কেউ ঘূণাক্ষরেও টের পায়নি। কিন্তু ছোট বোন এবং তার বড় বোনের স্বামীর মধ্যে একটি অবৈধ সম্পর্ক ধীরে ধীরে শুরু হয়। এখানেই শেষ নয়, এরপর প্রেমে অন্ধ হয়ে চার মাস আগে তাঁরা পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রাথমিকভাবে তাদের নিখোঁজের কারণ না জানায় পরিবার নিখোঁজ দম্পতির খোঁজে তল্লাশি চালায়। অবশেষে তাঁদের দুজনকে রায়পুর রোডের একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে দেখা যায়।

মহিলার ভাই তাঁকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু এরমধ্যে তাঁর জামাইবাবু বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন এবং ছোট বোনও তাঁর প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করে। সে জানায়, সে তাঁর জামাইবাবুর সঙ্গেই থাকবেন।

মেয়েটি তাঁর ভাইকে স্পষ্ট জানায়, "উনি আর আমার দিদির স্বামী নন, বরং আমারই স্বামী"। মেয়েটি বলে দেয়, যাই ঘটুক না কেন তাঁরা এক সঙ্গে থাকবেন।

এতে রেগে গিয়ে মেয়েটির ভাই তাঁর জামাইবাবুকে ধমক দিয়ে বলেন, "তোমার লজ্জা হওয়া উচিত। তুমি আমার বড় বোনের স্বামী, আর তোমার দুটি সন্তান আছে। এখন তুমি আমার ছোট বোনের সঙ্গে থাকতে চাও?" শ্যালক-জামাইবাবুর তর্কবিতর্ক এমন জায়গায় পৌঁছয় যে সেই পরিস্থিতিতে ভাটির হিসাবরক্ষককে শেষমেশ পুলিশ ডাকতে হয়।

পুলিশের হস্তক্ষেপ:থানার পুলিশ অফিসাররা পরিস্থিতি দেখে হতবাক হয়ে যান। তাদের মধ্যে মিটমাট করার চেষ্টা করা সত্ত্বেও, ছোট বোন তাঁর শ্যালকের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। এদিকে, বড় বোন এই ঘটনায় ভেঙে পড়েন।

ইন্সপেক্টর শৈলেন্দ্র সিং নিশ্চিত করেন যে, শ্যালিকা তাঁর শ্যালকের সঙ্গে থাকার ব্যাপারে অনড় এবং শ্যালক ও জামাইবাবুর মধ্যে বিবাদের বিষয়ে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। এই ঘটনা সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।