End Of Human On Earth: কমছে অক্সিজেনের পরিমাণ, কবে নাগাদ শেষ হয়ে যাবে প্রাণের রসদ, সুপার কম্পিউটকর হিসেব কষে জানিয়ে দিল মানবতার শেষের সময়

ভবিষ্যতের পৃথিবী কোন ভয়ঙ্কর দিকে যেতে চলেছে তার আভাস দিল সাম্প্রতিক একটি সিমুলেশন।  গ্রহটি চরম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। সাধের পৃথিবী  একটি অতি উত্তপ্ত সুপারমহাদেশে পরিণত হবে যা  মানুষ সহ স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বিলুপ্তির দিকে ঠেলে দিতে পারে। অসহনীয় তাপ এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপে সহ পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠতে পারে। Photo - Representative

ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয় সিমুলেশনের নেতৃত্ব দিয়েছে। এটি ভবিষ্যদ্বাণী করছে যে পৃথিবীর স্থলভাগ পুনরায় একত্রিত হবে। একটি নতুন সুপারমহাদেশ, Pangea Ultima- প্যানজিয়া আলটিমা গঠিত হবে। এই বিশাল স্থলভাগ চরম তাপ অনুভব করবে। অনেক এলাকায় তাপমাত্রা ৫০°সেলসিয়াস (১২২°ফারেনহাইট) পৌঁছাতে পারে। এটি স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব করে তুলতে পারে। পাশাপাশি ল্যান্ডলকড অর্থাৎ চারপাশেই স্থলভাগ দিয়ে আবৃত অভ্যন্তর ভাগে হিট ট্র্যাপ তৈরি হবে। জলবায়ু নিয়ন্ত্রণের জন্য মহাসাগর না থাকলে, পৃথিবীর পৃষ্ঠ বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে৷ Photo - Representative

পরিবেশগত বিপর্যয়: জীবননাশের তিনটি বড় হুমকি২৫০ মিলিয়ন বছর বাদে আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ বাড়বে, কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করবে। এটি গ্রিনহাউস প্রভাবকে প্রবলভাবে বাড়িয়ে দেবে৷  সূর্যের বর্ধিত আলো তাপ বাড়িয়ে দেবে। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার সঙ্গে, বেঁচে থাকা আরও কঠিন হবে। এই অবস্থাগুলি স্তন্যপায়ী প্রাণীদের জন্য পৃথিবীকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলবে। Photo - Representative

আর্দ্রতার মাত্রা  অস্বাভাবিক বেড়ে যাবে, তাপমাত্রা কমিয়ে পৃথিবীকে শীতল করা অসম্ভব হয়ে উঠবে। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের অতিরিক্ত গরম হবে কারণ ঘাম বাষ্পীভূত হবে না। সমীক্ষায় ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে ৯২% জমি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। শুধুমাত্র মেরু ও উপকূলীয় এলাকা বাসযোগ্য থাকতে পারে।  Photo - Representative

ডক্টর আলেকজান্ডার ফার্নসওয়ার্থ এটিকে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের জন্য একটি "তিন ঝাঁকুনি" বলেছেন। তিনি বলেছেন তাপ, আর্দ্রতা এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি করবে। অভিযোজন বেঁচে থাকার একমাত্র সুযোগ হতে পারে। মানুষ লক্ষ লক্ষ বছর ধরে তাপ-প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্যগুলি বিকাশ করতে পারে। বিকল্পভাবে, প্রযুক্তি মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে৷ Photo- Representative

Pangea Ultima তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি পৌঁছে যাবে।মানুষের অভিযোজন এবং বেঁচে থাকার সম্ভাবনামানুষ তাপ থেকে বাঁচতে ভূগর্ভস্থ শহর গড়ে তুলতে পারে। এই শহরগুলি চরম পৃষ্ঠের অবস্থা থেকে সুরক্ষা প্রদান করবে। ভবিষ্যতে, মানুষও মরুভূমির প্রাণীদের মতো নিশাচর হয়ে উঠতে পারে। Photo- Representative

কিছু বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে মানুষ অন্য গ্রহে উপনিবেশ স্থাপন করতে পারে। যদি তা হয়, Pangea Ultima এর বিপর্যয় এড়ানো যেতে পারে। মানবতার বেঁচে থাকা সেক্ষেত্রে পৃথিবীর উপর নির্ভর করবে না৷ Photo- Representative

অতীতে, সুপারমহাদেশগুলি ব্যাপক বিলুপ্তিতে অবদান রেখেছিল। টেকটোনিক প্লেটের অবস্থান বদল এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের কারণে জলবায়ুতে মারাত্মক পরিবর্তন ঘটে। এই প্যাটার্ন পৃথিবীর ইতিহাস জুড়ে ঘটেছে। Photo- Representative

ডঃ হান্না ডেভিস বিশ্বাস করেন চরম পরিস্থিতিতেও জীবন মানিয়ে নেবে। যদিও ব্যাপক বিলুপ্তি সম্ভব, কিন্তু জীবন একেবারে শেষ হয়ে যাবে এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়৷ এটা ঠিক একটা বিকল্প পথ খুঁজে পাবে। পৃথিবীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত, কিন্তু জীবন সবসময় স্থিতিস্থাপক ছিল। Photo- Representative

নেচারে প্রকাশিত এই গবেষণাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে পৃথিবীর জলবায়ু সর্বদা পরিবর্তিত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন আজ আমাদের সুদূর ভবিষ্যতে প্রভাবিত করতে পারে। যদিও আমরা এখন এই বিপর্যয়ের মুখোমুখি হব না, পৃথিবীর ইতিহাসের টাইমলাইন বিশাল হলেও পৃথিবীতে মানবতার ভবিষ্যত অনিশ্চিত৷ Photo- Representative