সুন্দর কবিতা লেখেন, সামলান দেশের ভারও, দুবাইয়ের যুবরাজ ঘুরে গিয়েছেন দিল্লি, তাঁর বিলাসবহুল জীবন কল্পনারও সীমা ছাড়ায়
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Dubai's Crowne Prince: দুবাইয়ের যুবরাজ শেখ হামদান বিন মহম্মদ আল মখতুম, যিনি ফাজ্জা নামেও সমধিক পরিচিত, ৮ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে ভারত সফর এসেছিলেন।
দুবাইয়ের যুবরাজ শেখ হামদান বিন মহম্মদ বিন রশিদ আল মখতুম (Sheikh Hamdan bin Mohammed bin Rashid Al Maktoum) ৷ বলার অপেক্ষা রাখে না তিনি শাসকশ্রেণীর মধ্যে কতটা আলাদা। যুবরাজ কবিতা লেখেন, এমনটা জেনে অনেকে অবাক হতেই পারেন। তবে, রাজারা সাহিত্য রচনা করছেন, এ কোনও বিরল দৃষ্টান্ত নয়। রাজা শূদ্রকের মৃচ্ছকটিকম নাটকে উঠে এসেছে সমাজ, রাজা হর্ষবর্ধন রচিত রত্নাবলী এখনও সংস্কৃত কাব্যের অমূল্য সম্পদ। দুবাইয়ের যুবরাজও সেই রকমই কবিতা লেখেন ‘Fazza’ নামে। (X/@narendramodi)
advertisement
এ হেন দুবাইয়ের যুবরাজ শেখ হামদান বিন মহম্মদ আল মখতুম, যিনি ফাজ্জা নামেও সমধিক পরিচিত, ৮ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে ভারত সফর এসেছিলেন। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA) ৭ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে একটি পাবলিক প্রেস নোটে আনুষ্ঠানিকভাবে তা ঘোষণা করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী শেখ হামদান বিন মহম্মদ আল মখতুম ৮ এবং ৯ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে দুই দিনের ভারত সফর করেছেন। এটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বারা অভ্যর্থনা জানানোর পর তাঁর প্রথম সরকারি ভারত সফর। (IMAGE: REUTERS)
advertisement
advertisement
শেখ হামদানের মোট সম্পত্তি: প্রতিবেদন অনুসারে, দুবাইয়ের যুবরাজের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার (৩৩,৫০০ কোটি টাকা)। তাঁর আবাসিক সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে বিবিধ প্রাসাদ, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় হল দুবাইয়ের আল মখতুম প্রাসাদ। প্রাসাদগুলি বিলাসবহুল, ছাদের মেঝেতে সোনালি মার্বেল রয়েছে, যা এটিকে আরও বিলাসবহুল এবং নজরকাড়া করে তোলে। (Photo: PTI)
advertisement
শেখ হামদান বিন মহম্মদ আল মখতুমের বিলাসবহুল জীবনধারা এবং শখ: কবিতা লেখা ছাড়াও দুবাইয়ের যুবরাজ তাঁর জীবনধারার জন্য সর্বাধিক পরিচিত, তাঁর অসংখ্য রাজকীয় শখ রয়েছে। তিনি একজন অতীব দক্ষ ঘোড়সওয়ার, বেশ কয়েকবার সর্বোচ্চ রেটিং নিয়ে ঘোড়সওয়ার প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন। তিনি এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছাড়াও স্কাইডাইভিং, স্কুবা ডাইভিং এবং সাইক্লিংয়ের মতো অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস উপভোগ করেন। এই সব খেলা ছাড়াও, আগেই বলা হয়েছে যে তিনি একজন সুকবিও, ফাজা ছদ্মনামে তিনি আরবি কবিতা লেখেন। (Photo Courtesy: Faz3/Instagram)
advertisement
শেখ হামদান ২০১৯ সালে 'ফর দ্য লাভ অফ হর্সেস' নামে ১৮টি কবিতার একটি দ্বিভাষিক বই লিখেছিলেন, সেখানে কবিতার প্রতি তাঁর আবেগ এবং ঘোড়ার প্রতি তাঁর ভালবাসার সংমিশ্রণ রয়েছে। তাঁর একটি গ্যারেজ ফেরারি এবং ল্যাম্বরগিনির মতো বিদেশি যানে ভরা, এমনকি রয়েছে একটি গোল্ডেন মার্সিডিজও। তাঁর অসাধারণ রুচিরই পরিচয় দেয় সংগ্রহের সুপারইয়ট এবং বোয়িং ৭৪৭-সহ ব্যক্তিগত বিমান। প্রায়শই এই যুবরাজ তাঁর জীবনের নানা বিলাসবহুল মুহূর্তের ছবি ইনস্টাগ্রামে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে শেয়ার করে থাকেন, এখানে তাঁর ১ কোটি ৬৮ লক্ষ ফলোয়ার রয়েছে। (Photo Courtesy: Faz3/Instagram)
advertisement
শেখ হামদান বিন মহম্মদ অল মখতুমের ১,০০০টিরও বেশি ঘোড়া, ১২০টি উট এবং বেশ কয়েকটি বিদেশি পোষ্য প্রাণী রয়েছে। ভ্রমণ এবং কবিতার প্রতি তাঁর ভালবাসার কারণে, দুবাইয়ের যুবরাজ সত্যিই এমন একটি জীবনযাপন করেন যা রাজকীয়তার সঙ্গে অ্যাডভেঞ্চারের মিশ্রণ ঘটায়। এ হেন দুবাইয়ের যুবরাজ সম্প্রতি এক কন্যারত্ন লাভ করেছেন। চতুর্থ সন্তান, এক কন্যার জন্ম হয়েছে ২০২৫ সালের মার্চ মাসে। মা শেখ হিন্দ বিনতে মখতুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজকুমারির নাম হিন্দ রাখেন তিনি। শেখ হামদান বিন মহম্মদ অল মখতুম এই প্রসঙ্গে একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টও করেছেন, যেখানে লেখা আছে, "অলহমদুলিল্লাহ, আশীর্বাদ হয়ে জীবনে এসেছে কন্যা হিন্দ"! এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল যে আরবি ভাষায় 'হিন্দ' শব্দটির অর্থ শক্তি এবং সমৃদ্ধি। (Photo Courtesy: Faz3/Instagram)
advertisement
রীতিমতো শিক্ষিতও এই যুবরাজ: দুবাইয়ের যুবরাজ শেখ হামদান বিন মহম্মদ আল মখতুম ১৯৮৬ সালে দুবাইয়ের তৎকালীন প্রথম শাসক কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দুবাইয়ের রশিদ স্কুল ফর বয়েজ থেকে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু করেন। দুবাইতে পড়াশোনা করার পর, শেখ হামদান বিন মহম্মদ অল মখতুম আরও পড়াশোনার জন্য যুক্তরাজ্যে যান। তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা সামরিক অফিসার স্কুল স্যান্ডহার্স্টে পড়াশোনা করেন, মধ্যপ্রাচ্যের রাজপরিবারের বেশিরভাগ রাজকুমাররা শিক্ষাগ্রহণের জন্য সেখানেই যান। তিনি লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সেও পড়াশোনা করেন। শেখ হামদান বিন মহম্মদ আল মখতুম ২০০৮ সাল থেকে দুবাইয়ের যুবরাজ (ক্রাউন প্রিন্স) হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করছেন, ২০১৫ সালে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর বড় ভাই শেখ রশিদের মৃত্যুর পর থেকেই। (X/@narendramodi)