মাছ ধরতে গিয়ে মাছের পেটে? তাঁকে টেনে নিল ২০০ কেজির এই 'শিকারি' মাছ?...সমুদ্রের বিষাক্ত জীবের কথা শুনুন!
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
Fish Attack: পেশাদার মৎস্যজীবী। ছোটবেলা থেকেই সমুদ্রে জাল ফেলতে শিখেছেন। সেইদিনও প্রতিদিনের মতোই মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু জালে ধরা পড়া মাছটি ছিল একেবারেই সাধারণ নয়!
সমুদ্র মানেই শুধু মাছ ধরা বা নীল জলরেখার সৌন্দর্য নয়—সমুদ্র লুকিয়ে রাখে হাজারো রহস্য, ভয়, আর বিপদের সম্ভাবনা। কখনও সে গল্প হয় রোমাঞ্চের, কখনও বা রুদ্ধশ্বাস আতঙ্কের। এমনই এক শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে, যেখানে মাছ ধরতে গিয়ে এক মৎস্যজীবী নিখোঁজ হয়ে যান। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
advertisement
সমুদ্রের গল্পে যেমন ভয়াবহ ঘটনা পড়ে, তেমনই এক বাস্তব ঘটনা ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে। এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ তরুণ মৎস্যজীবী ইয়েররাইয়া। তবে তাঁকে অপহরণ করেছে কোনও মানুষ নয়, সমুদ্রের এক ভয়ঙ্কর ও দ্রুতগতির শিকারি প্রায় ২০০ কেজি ওজনের একটি ব্ল্যাক মার্লিন মাছ। ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্যের উত্তর উপকূলের কাছে, যখন ইয়েররাইয়া মাছ ধরছিলেন। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
ইয়েররাইয়া পেশাদার মৎস্যজীবী। ছোটবেলা থেকেই সমুদ্রে জাল ফেলতে শিখেছেন। সেইদিনও প্রতিদিনের মতোই মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু জালে ধরা পড়া মাছটি ছিল একেবারেই সাধারণ নয়—একটি ব্ল্যাক মার্লিন, যাকে সমুদ্রের ‘বজ্রগতি’ ও তীক্ষ্ণ ধারালো মুখের জন্য চেনে সকলে। মার্লিন মাছ জালে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই হিংস্রভাবে ছটফট করতে থাকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
ইয়েররাইয়া জাল কাটেননি, বরং চেষ্টা করছিলেন মাছটি টেনে তোলার। ঠিক তখনই মার্লিনটি এক প্রবল ঝাঁকুনি দেয়, আর ইয়েররাইয়ার পা জালে আটকে যায়। মুহূর্তের মধ্যে মার্লিনটি তাঁকে টেনে নিয়ে যায় গভীর সমুদ্রে। সঙ্গী মৎস্যজীবীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ইয়েররাইয়া ও মার্লিন—দুজনেই উধাও। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
এরপর থেকেই ইয়েররাইয়ার খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি। কে এই ব্ল্যাক মার্লিন? ব্ল্যাক মার্লিন বা Istiompax indica পৃথিবীর দ্রুততম মাছগুলির একটি। ঘণ্টায় প্রায় ১১০ কিলোমিটার গতিতে সাঁতার কাটতে পারে। ওজন হতে পারে ৯০০ কেজি পর্যন্ত। এর ধারালো ঠোঁটের মতো মুখ ও প্রচণ্ড শক্তি একে ভয়ংকর শিকারিতে পরিণত করে। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
পূর্ব ভারতের সমুদ্র অঞ্চলে, বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরে মাঝেমধ্যেই ব্ল্যাক মার্লিন দেখা যায়। তবে ইয়েররাইয়ার মতো ঘটনা খুবই বিরল। সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ড. নলিন প্রসাদ জানিয়েছেন, “মার্লিনকে অনেক সময় 'সেইলর পুলার' বা ‘নাবিক টানা মাছ’ বলা হয়। কারণ জালে পড়লে শুধু জাল নয়, দড়ি, এমনকি মানুষকেও টেনে নিয়ে যায় সমুদ্রে।” (Representative Image: AI Generated)
advertisement
advertisement
সামুদ্রিক লোককথায় ব্ল্যাক মার্লিনকে এক দানবসদৃশ মিথ্যক জীব বলে মানা হয়—যে নাকি সাহসী মৎস্যজীবীকেও হার মানাতে পারে। ইয়েররাইয়ার নিখোঁজ হওয়া যেন সেই পুরনো কিংবদন্তিকে বাস্তবে এনে ফেলেছে। সমুদ্র ভয়ঙ্কর, মাছও বিষাক্ত—তবু জীবিকার টানে প্রতিদিন ঝুঁকি নেয় ইয়েররাইয়ার মতো হাজারো মানুষ... (Representative Image: AI Generated)