এই 'প্রাণী' ডাইনোসরেরও আগের, এখনও দিব্যি ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে পৃথিবীতে...! বলুন তো কোন প্রাণী?! বলুন তো কোন প্রাণী?

Last Updated:
GK: এরা শুধু ডাইনোসরদের আগে জন্ম নিয়েই থেমে যায়নি, বরং পৃথিবীর অসংখ্য পরিবর্তনের মধ্যেও টিকে থেকেছে! প্রকৃতির এমন অদ্ভুত সৃষ্টি সত্যিই বিস্ময়কর! বলুন তো কোন প্রাণী?
1/10
পৃথিবীর আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে অসংখ্য প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। তবে কিছু প্রাণী আজও বেঁচে আছে, যারা ডাইনোসরদেরও অনেক আগে থেকে পৃথিবীতে টিকে আছে! জানেন কোন প্রাণী? বহু পণ্ডিতও বলতে পারবেন না। চ্যালেঞ্জ!
পৃথিবীর আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে অসংখ্য প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। তবে কিছু প্রাণী আজও বেঁচে আছে, যারা ডাইনোসরদেরও অনেক আগে থেকে পৃথিবীতে টিকে আছে! জানেন কোন প্রাণী? বহু পণ্ডিতও বলতে পারবেন না। চ্যালেঞ্জ!
advertisement
2/10
আপনাকে এমন অনেক প্রাণীর কথা বলব, যাদের অস্তিত্ব সুপ্রাচীন। তবে তাদের মধ্যে একটি প্রাণীর প্রজাতির বয়সই ডাইনোসরের চেয়ে বেশি। জানেন কোন প্রাণী? বাড়িয়ে নিন জ্ঞান।
আপনাকে এমন অনেক প্রাণীর কথা বলব, যাদের অস্তিত্ব সুপ্রাচীন। তবে তাদের মধ্যে একটি প্রাণীর প্রজাতির বয়সই ডাইনোসরের চেয়ে বেশি। জানেন কোন প্রাণী? বাড়িয়ে নিন জ্ঞান।
advertisement
3/10
**স্পঞ্জ (Sponge)**  এর বৈজ্ঞানিক নাম **Porifera**। এটি পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন বহুকোষী প্রাণী। প্রায় **৬০০ মিলিয়ন (৬০ কোটি) বছর** ধরে এরা টিকে রয়েছে। এদের দেহগঠন অত্যন্ত সরল। এরা জল পরিশোধন করে এবং সামুদ্রিক অন্যান্য প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে।
**স্পঞ্জ (Sponge)** এর বৈজ্ঞানিক নাম **Porifera**। এটি পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন বহুকোষী প্রাণী। প্রায় **৬০০ মিলিয়ন (৬০ কোটি) বছর** ধরে এরা টিকে রয়েছে। এদের দেহগঠন অত্যন্ত সরল। এরা জল পরিশোধন করে এবং সামুদ্রিক অন্যান্য প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে।
advertisement
4/10
### **তুয়াতারা (Tuatara)**  নিউজিল্যান্ডের এই সরীসৃপ প্রাণীটি প্রায় **২৫ কোটি বছর** ধরে পৃথিবীতে টিকে আছে। এটি বিশেষভাবে পরিচিত **'তৃতীয় চোখ' (Parietal Eye)** থাকার জন্য! ধারণা করা হয়, একসময় এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হত। এর বৈজ্ঞানিক নাম **Sphenodon**।
### **তুয়াতারা (Tuatara)** নিউজিল্যান্ডের এই সরীসৃপ প্রাণীটি প্রায় **২৫ কোটি বছর** ধরে পৃথিবীতে টিকে আছে। এটি বিশেষভাবে পরিচিত **'তৃতীয় চোখ' (Parietal Eye)** থাকার জন্য! ধারণা করা হয়, একসময় এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হত। এর বৈজ্ঞানিক নাম **Sphenodon**।
advertisement
5/10
**ট্রাইঅপস (Triops)**  এর বৈজ্ঞানিক নাম **Triops concriformis**। এদের বলা হয় **'ট্যাডপোল শ্রিম্প' (Tadpole Shrimp)**। আশ্চর্যের বিষয়, **৩ কোটি বছর** ধরে এরা একেবারেই পরিবর্তিত হয়নি! এদের ডিম যে কোনও প্রতিকূল পরিবেশ সহ্য করতে পারে, এবং আবহাওয়া অনুকূল হলে আবার ফোটে। ফলে প্রচণ্ড প্রতিকূলতার মধ্যেও এরা টিকে থাকে।
**ট্রাইঅপস (Triops)** এর বৈজ্ঞানিক নাম **Triops concriformis**। এদের বলা হয় **'ট্যাডপোল শ্রিম্প' (Tadpole Shrimp)**। আশ্চর্যের বিষয়, **৩ কোটি বছর** ধরে এরা একেবারেই পরিবর্তিত হয়নি! এদের ডিম যে কোনও প্রতিকূল পরিবেশ সহ্য করতে পারে, এবং আবহাওয়া অনুকূল হলে আবার ফোটে। ফলে প্রচণ্ড প্রতিকূলতার মধ্যেও এরা টিকে থাকে।
advertisement
6/10
**সিলাকান্ত (Coelacanth)**  একসময় মনে করা হত, এটি **৬৫ মিলিয়ন (৬.৫ কোটি) বছর আগে** বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু **১৯৩৮ সালে** এটি আবার দেখা যায়, যা বিজ্ঞানীদের অবাক করে দেয়। এটি গভীর সমুদ্রে বাস করে, এবং এর গিল primitive প্রাণীদের বাহুর মতো দেখতে। এটি জলজ প্রাণী থেকে স্থলজ প্রাণীতে রূপান্তরের প্রমাণ বহন করে। এর বৈজ্ঞানিক নাম **Latimeria**।
**সিলাকান্ত (Coelacanth)** একসময় মনে করা হত, এটি **৬৫ মিলিয়ন (৬.৫ কোটি) বছর আগে** বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু **১৯৩৮ সালে** এটি আবার দেখা যায়, যা বিজ্ঞানীদের অবাক করে দেয়। এটি গভীর সমুদ্রে বাস করে, এবং এর গিল primitive প্রাণীদের বাহুর মতো দেখতে। এটি জলজ প্রাণী থেকে স্থলজ প্রাণীতে রূপান্তরের প্রমাণ বহন করে। এর বৈজ্ঞানিক নাম **Latimeria**।
advertisement
7/10
**হর্সশু ক্র্যাব (Horseshoe Crab)**  এর বৈজ্ঞানিক নাম **Limulidae**। এটি পৃথিবীতে **৪৫০ মিলিয়ন (৪৫ কোটি) বছর** ধরে বেঁচে আছে। আশ্চর্যের বিষয়, এদের রক্তের রঙ **নীল**! কারণ এতে প্রচুর **তামা (Copper)** আছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে এর রক্ত ব্যবহার করা হয়, বিশেষত **ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা সরঞ্জামের জীবাণু শনাক্তকরণের জন্য**।
**হর্সশু ক্র্যাব (Horseshoe Crab)** এর বৈজ্ঞানিক নাম **Limulidae**। এটি পৃথিবীতে **৪৫০ মিলিয়ন (৪৫ কোটি) বছর** ধরে বেঁচে আছে। আশ্চর্যের বিষয়, এদের রক্তের রঙ **নীল**! কারণ এতে প্রচুর **তামা (Copper)** আছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে এর রক্ত ব্যবহার করা হয়, বিশেষত **ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা সরঞ্জামের জীবাণু শনাক্তকরণের জন্য**।
advertisement
8/10
**নটিলাস (Nautilus)**  এর বৈজ্ঞানিক নাম **Nautilidae**। এটি সমুদ্রের গভীরে বসবাসকারী একটি প্রাণী, যাকে 'জীবন্ত জীবাশ্ম' বলা হয়। গোলাকার খোলের মধ্যে এটি বাস করে। এটি **৫০ কোটি বছর** ধরে টিকে আছে এবং প্রাচীন বিলুপ্ত **অ্যামোনাইটস (Ammonites)**-এর জীবন্ত সাক্ষ্য বহন করছে।
**নটিলাস (Nautilus)** এর বৈজ্ঞানিক নাম **Nautilidae**। এটি সমুদ্রের গভীরে বসবাসকারী একটি প্রাণী, যাকে 'জীবন্ত জীবাশ্ম' বলা হয়। গোলাকার খোলের মধ্যে এটি বাস করে। এটি **৫০ কোটি বছর** ধরে টিকে আছে এবং প্রাচীন বিলুপ্ত **অ্যামোনাইটস (Ammonites)**-এর জীবন্ত সাক্ষ্য বহন করছে।
advertisement
9/10
**জেলিফিশ (Jellyfish)**  এদের বয়স **৫০০-৭০০ মিলিয়ন (৫০-৭০ কোটি) বছর** বলে মনে করা হয়। এদের কোনও হাড়, হৃদপিণ্ড বা মস্তিষ্ক নেই, তবুও পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে বেঁচে আছে। অনেক প্রজাতির জেলিফিশ বিলুপ্ত হয়ে গেলেও এরা এখনো পৃথিবীতে রয়ে গিয়েছে। এদের বৈজ্ঞানিক নাম **Medusozoa**।
**জেলিফিশ (Jellyfish)** এদের বয়স **৫০০-৭০০ মিলিয়ন (৫০-৭০ কোটি) বছর** বলে মনে করা হয়। এদের কোনও হাড়, হৃদপিণ্ড বা মস্তিষ্ক নেই, তবুও পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে বেঁচে আছে। অনেক প্রজাতির জেলিফিশ বিলুপ্ত হয়ে গেলেও এরা এখনো পৃথিবীতে রয়ে গিয়েছে। এদের বৈজ্ঞানিক নাম **Medusozoa**।
advertisement
10/10
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, এই সমস্ত প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীদের মধ্যে জেলিফিশই সবচেয়ে পুরনো। প্রায় ৭০ কোটি বছর ধরে সমুদ্রের গভীরে টিকে রয়েছে এই মস্তিষ্কবিহীন, হৃৎপিণ্ডহীন প্রাণীটি। বিবর্তনের ধাপ পেরিয়ে, জলবায়ুর পরিবর্তন সয়ে নিয়ে, অসংখ্য প্রজাতির বিলুপ্তির সাক্ষী থেকেও জেলিফিশ আজও বেঁচে রয়েছে। এটাই প্রমাণ করে, প্রকৃতিতে টিকে থাকার জন্য সবসময় জটিল শরীরের প্রয়োজন হয় না—কখনও কখনও সরলতাই দীর্ঘায়ুর আসল চাবিকাঠি!
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, এই সমস্ত প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীদের মধ্যে জেলিফিশই সবচেয়ে পুরনো। প্রায় ৭০ কোটি বছর ধরে সমুদ্রের গভীরে টিকে রয়েছে এই মস্তিষ্কবিহীন, হৃৎপিণ্ডহীন প্রাণীটি। বিবর্তনের ধাপ পেরিয়ে, জলবায়ুর পরিবর্তন সয়ে নিয়ে, অসংখ্য প্রজাতির বিলুপ্তির সাক্ষী থেকেও জেলিফিশ আজও বেঁচে রয়েছে। এটাই প্রমাণ করে, প্রকৃতিতে টিকে থাকার জন্য সবসময় জটিল শরীরের প্রয়োজন হয় না—কখনও কখনও সরলতাই দীর্ঘায়ুর আসল চাবিকাঠি!
advertisement
advertisement
advertisement