বিছানা ভিজিয়ে ফেলেছিল শিশু! হেয়ারড্রায়ার দিয়ে শুকোতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন মা...তার পরই ভয়ঙ্কর কাণ্ড!

Last Updated:
Baby: ক্লান্তির জেরে গভীর ঘুমে ডুবে গিয়েছিলেন মা। আর তাতেই বিপত্তি ঘটে যায়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর, বিকেল ৪টে নাগাদ ঘুম ভেঙে উঠে মা দেখেন ভয়ঙ্কর কাণ্ড...! কিন্তু তখন আর কিছু করার নেই।
1/8
বিছানা ভিজিয়ে ফেলেছিল শিশু। হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে শুকোতে গেলেন মা। এতেই যে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে যাবে কে জানত! এতটুকু বয়সে...কী করে ঘটে গেল এমন দুর্ঘটনা? জানলে শিউরে উঠবেন।
বিছানা ভিজিয়ে ফেলেছিল শিশু। হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে শুকোতে গেলেন মা। এতেই যে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে যাবে কে জানত! এতটুকু বয়সে...কী করে ঘটে গেল এমন দুর্ঘটনা? জানলে শিউরে উঠবেন।
advertisement
2/8
বিছানা শুকোতে সময় লাগছিল। তাই হেয়ারড্রায়ারটি চালিয়ে রেখে ক্লান্ত Wu শুয়ে পড়েন এবং ঘুমিয়ে যান। প্রায় তিন ঘণ্টা পর ঘুম ভেঙে দেখেন, শিশুটির বাঁ পা ফোস্কায় ভরে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ছোটেন তিনি।
বিছানা শুকোতে সময় লাগছিল। তাই হেয়ারড্রায়ারটি চালিয়ে রেখে ক্লান্ত Wu শুয়ে পড়েন এবং ঘুমিয়ে যান। প্রায় তিন ঘণ্টা পর ঘুম ভেঙে দেখেন, শিশুটির বাঁ পা ফোস্কায় ভরে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ছোটেন তিনি।
advertisement
3/8
হাসপাতালে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, শিশুটির পায়ের পাতার ১৫.৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। কোষের এতটাই ক্ষতি হয়েছে যে তা আর স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাঁ পায়ের তিনটি আঙুল— মাঝের আঙুল থেকে কড়ে আঙুল পর্যন্ত কেটে বাদ দিতে হয়।
হাসপাতালে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, শিশুটির পায়ের পাতার ১৫.৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। কোষের এতটাই ক্ষতি হয়েছে যে তা আর স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাঁ পায়ের তিনটি আঙুল— মাঝের আঙুল থেকে কড়ে আঙুল পর্যন্ত কেটে বাদ দিতে হয়।
advertisement
4/8
এই ঘটনায় সেই অভিযুক্ত মায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তদন্তকারীদের মতে, মায়ের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তিনি আদালতে জানান, মাতৃত্বকালীন অবসাদে ভুগছিলেন তিনি এবং ওষুধের প্রভাবে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন। তিনি শিশুটিকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রেখেছিলেন বলেও দাবি করেন।
এই ঘটনায় সেই অভিযুক্ত মায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তদন্তকারীদের মতে, মায়ের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তিনি আদালতে জানান, মাতৃত্বকালীন অবসাদে ভুগছিলেন তিনি এবং ওষুধের প্রভাবে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন। তিনি শিশুটিকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রেখেছিলেন বলেও দাবি করেন।
advertisement
5/8
তবে বিচারক এই যুক্তি মানতে রাজি হননি। তিনি বলেন, শিশুটি পাশ ফিরে শুতে পারে, উল্টে যেতে পারে কিংবা লাথি ছুড়তে পারে—এটা মায়ের বোঝা উচিত ছিল। শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ হয়েও Wu কী ভাবে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আদালত। চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী, শিশুটির হাঁটাচলার উপর এই আঘাত দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে বিচারক এই যুক্তি মানতে রাজি হননি। তিনি বলেন, শিশুটি পাশ ফিরে শুতে পারে, উল্টে যেতে পারে কিংবা লাথি ছুড়তে পারে—এটা মায়ের বোঝা উচিত ছিল। শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ হয়েও Wu কী ভাবে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আদালত। চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী, শিশুটির হাঁটাচলার উপর এই আঘাত দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে।
advertisement
6/8
আদালত Wu-কে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেয় এবং প্রায় ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়) জরিমানা ধার্য করে। ঘটনাটি সামনে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। Wu ইচ্ছাকৃতভাবে মেয়ের ক্ষতি করেননি, একথা মেনে নিয়েছেন সকলে। তবে মা হিসেবে তাঁর আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল বলেও মত প্রকাশ করেন অনেকে।
আদালত Wu-কে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেয় এবং প্রায় ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়) জরিমানা ধার্য করে। ঘটনাটি সামনে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। Wu ইচ্ছাকৃতভাবে মেয়ের ক্ষতি করেননি, একথা মেনে নিয়েছেন সকলে। তবে মা হিসেবে তাঁর আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল বলেও মত প্রকাশ করেন অনেকে।
advertisement
7/8
তাইওয়ানের এই ঘটনায় অভিযুক্ত মহিলাকে Wu বলে উল্লেখ করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, নিজের শিশুকন্যার সঙ্গে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। কাজের ফাঁকে দেখেন, মেয়ে বিছানা ভিজিয়ে ফেলেছে। হাতের কাছে থাকা হেয়ারড্রায়ার দিয়ে বিছানা শুকোতে শুরু করেন Wu।
তাইওয়ানের এই ঘটনায় অভিযুক্ত মহিলাকে Wu বলে উল্লেখ করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। নিজের শিশুকন্যার সঙ্গে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। কাজের ফাঁকে দেখেন, মেয়ে বিছানা ভিজিয়ে ফেলেছে। হাতের কাছে থাকা হেয়ারড্রায়ার দিয়ে বিছানা শুকোতে শুরু করেন Wu।
advertisement
8/8
এদিকে, এই ঘটনায় মাতৃত্বকালীন অবসাদের বিষয়টি ফের আলোচনায় উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাইওয়ানে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মাতৃত্বকালীন অবসাদের হার ২০ শতাংশ বেড়েছে। এর সমাধানে দেশটির সরকার বাজেটে মোটা অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ করেছে এবং কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থাও করেছে।
এদিকে, এই ঘটনায় মাতৃত্বকালীন অবসাদের বিষয়টি ফের আলোচনায় উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাইওয়ানে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মাতৃত্বকালীন অবসাদের হার ২০ শতাংশ বেড়েছে। এর সমাধানে দেশটির সরকার বাজেটে মোটা অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ করেছে এবং কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থাও করেছে।
advertisement
advertisement
advertisement