Child Birth Science Facts: শিশুরা জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই কেন কেঁদে ওঠে? কেন হাসির অনুভূতি আসতে সপ্তাহখানেক সময় লাগে? বিজ্ঞান কী বলে জানুন...

Last Updated:
Child Birth Science Facts: জন্মের পর পরই কেন একটি নবজাতক শিশু কাঁদে? জন্মের সময় যন্ত্রণার কারণে কাঁদে, নাকি পৃথিবীতে প্রবেশের পর ভয়ে কাঁদতে শুরু করে, নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও বিজ্ঞান রয়েছে, জানুন...
1/12
*একটি শিশু কাঁদতে কাঁদতে জন্মগ্রহণ করে। জন্মের মুহূর্তে, কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে অস্ত্রপচার। আমরা সকলেই এটা জানি, এবং আমরা প্রায় সকলেই এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি। আপনি কি জানেন কেন এই ঘটনা ঘটে? জন্মের সময় নবজাতক কেন কাঁদে? কেন কোনও শিশু হাসতে হাসতে জন্মগ্রহণ করে না? কেন কোনও শিশু শান্তভাবে জন্মগ্রহণ করে না?
*একটি শিশু কাঁদতে কাঁদতে জন্মগ্রহণ করে। জন্মের মুহূর্তে, কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে অস্ত্রপচার। আমরা সকলেই এটা জানি, এবং আমরা প্রায় সকলেই এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি। আপনি কি জানেন কেন এই ঘটনা ঘটে? জন্মের সময় নবজাতক কেন কাঁদে? কেন কোনও শিশু হাসতে হাসতে জন্মগ্রহণ করে না? কেন কোনও শিশু শান্তভাবে জন্মগ্রহণ করে না?
advertisement
2/12
*জন্মের মুহূর্ত বিজ্ঞান, প্রকৃতি এবং জীবনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় রহস্যগুলির মধ্যে একটি। আমরা সকলেই জানি একটি শিশু জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই কাঁদে। এই দৃশ্য প্রতিটি হাসপাতাল এবং প্রতিটি প্রসবকক্ষে দেখা যায়। কান্না ছাড়াই কি শিশুর জন্ম হয়? কখনও কোনও কী কোনও শিশু হাসিমুখেও জন্মগ্রহণ করে?
*জন্মের মুহূর্ত বিজ্ঞান, প্রকৃতি এবং জীবনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় রহস্যগুলির মধ্যে একটি। আমরা সকলেই জানি একটি শিশু জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই কাঁদে। এই দৃশ্য প্রতিটি হাসপাতাল এবং প্রতিটি প্রসবকক্ষে দেখা যায়। কান্না ছাড়াই কি শিশুর জন্ম হয়? কখনও কোনও কী কোনও শিশু হাসিমুখেও জন্মগ্রহণ করে?
advertisement
3/12
*প্রকৃতপক্ষে, যখন একটি নবজাতক জন্মগ্রহণ করে, তখন কান্না কোনও আবেগ বা ব্যথার কারণে হয় না, বরং শরীরের একটি নতুন সিস্টেমের সূচনার ইঙ্গিত দেয়। মজার বিষয় হল, বেশিরভাগ বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন, শিশুরা জন্মের সময় কোনও ব্যথা অনুভব করে না, যা প্রায়শই তাদের কান্নার কারণ বলে ধরে নেওয়া হয়।
*প্রকৃতপক্ষে, যখন একটি নবজাতক জন্মগ্রহণ করে, তখন কান্না কোনও আবেগ বা ব্যথার কারণে হয় না, বরং শরীরের একটি নতুন সিস্টেমের সূচনার ইঙ্গিত দেয়। মজার বিষয় হল, বেশিরভাগ বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন, শিশুরা জন্মের সময় কোনও ব্যথা অনুভব করে না, যা প্রায়শই তাদের কান্নার কারণ বলে ধরে নেওয়া হয়।
advertisement
4/12
*প্রথম শ্বাসের ধাক্কাঃ প্রায় নয় মাস ধরে, একটি শিশু তার মায়ের গর্ভে অ্যামনিওটিক তরলের মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রিত, নিরাপদ পরিবেশে বাস করে। তখন তার ফুসফুস তরল পদার্থে পূর্ণ থাকে। যতক্ষণ না এটি সত্যিকার অর্থে শ্বাস নিতে শুরু করে, ততক্ষণ এটি গর্ভের ভেতরে ভিন্ন অবস্থায় বিকশিত হয়। শিশু বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই, প্রথমবারের মতো হঠাৎ করে বাতাস তার ফুসফুসে প্রবেশ করে। এই শ্বাস গভীর হয় এবং এই চাপের ফলে শিশু জন্মের পরেই কাঁদে।
*প্রথম শ্বাসের ধাক্কাঃ প্রায় নয় মাস ধরে, একটি শিশু তার মায়ের গর্ভে অ্যামনিওটিক তরলের মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রিত, নিরাপদ পরিবেশে বাস করে। তখন তার ফুসফুস তরল পদার্থে পূর্ণ থাকে। যতক্ষণ না এটি সত্যিকার অর্থে শ্বাস নিতে শুরু করে, ততক্ষণ এটি গর্ভের ভেতরে ভিন্ন অবস্থায় বিকশিত হয়। শিশু বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই, প্রথমবারের মতো হঠাৎ করে বাতাস তার ফুসফুসে প্রবেশ করে। এই শ্বাস গভীর হয় এবং এই চাপের ফলে শিশু জন্মের পরেই কাঁদে।
advertisement
5/12
*দ্রুত কান্নার ফলে ফুসফুস বাতাসে পূর্ণ হয়ে যায়, যার ফলে অ্যালভিওলি নামক ক্ষুদ্র বায়ুথলিগুলি প্রসারিত হয়। এরপর পুরো শ্বাসযন্ত্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। ডাক্তাররা এটিকে নবজাতকের জীবনের প্রথম 'সিস্টেম অন' মুহূর্ত বলে অভিহিত করেন।
*দ্রুত কান্নার ফলে ফুসফুস বাতাসে পূর্ণ হয়ে যায়, যার ফলে অ্যালভিওলি নামক ক্ষুদ্র বায়ুথলিগুলি প্রসারিত হয়। এরপর পুরো শ্বাসযন্ত্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। ডাক্তাররা এটিকে নবজাতকের জীবনের প্রথম 'সিস্টেম অন' মুহূর্ত বলে অভিহিত করেন।
advertisement
6/12
*তাপমাত্রার ধাক্কাঃ গর্ভের তাপমাত্রা প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পুরোপুরি স্থিতিশীল এবং উষ্ণ। বেরিয়ে আসার পর, শিশুটি একটি ঠান্ডা, উজ্জ্বল এবং কোলাহলপূর্ণ জগতে প্রবেশ করে। এই তাপমাত্রার পরিবর্তন কান্নার কারণও হয়। জন্মের সময়, শিশুটি প্রথমবারের মতো উজ্জ্বল আলো দেখে এবং বাতাসের স্পর্শ অনুভব করে। শব্দ শোনা যায় এবং মাধ্যাকর্ষণের মতো নতুন অভিজ্ঞতা ঘটে।
*তাপমাত্রার ধাক্কাঃ গর্ভের তাপমাত্রা প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পুরোপুরি স্থিতিশীল এবং উষ্ণ। বেরিয়ে আসার পর, শিশুটি একটি ঠান্ডা, উজ্জ্বল এবং কোলাহলপূর্ণ জগতে প্রবেশ করে। এই তাপমাত্রার পরিবর্তন কান্নার কারণও হয়। জন্মের সময়, শিশুটি প্রথমবারের মতো উজ্জ্বল আলো দেখে এবং বাতাসের স্পর্শ অনুভব করে। শব্দ শোনা যায় এবং মাধ্যাকর্ষণের মতো নতুন অভিজ্ঞতা ঘটে।
advertisement
7/12
*ডাক্তাররা কেন চান শিশুরা কাঁদুকঃ কান্না ডাক্তারদের জন্য ভাল লক্ষণ, এটি শিশুর সুস্থতার লক্ষণ। এটিকে অ্যাপগার স্কোর বলা হয়, জন্মের পরপরই শিশুর অবস্থা পরিমাপ করার জন্য একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। কান্না শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্রিয়াকলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। যদি কোনও শিশু তাৎক্ষণিকভাবে না কাঁদে, তবে ডাক্তাররা তাদের শ্বাসযন্ত্রকে সক্রিয় করার জন্য তাদের পিঠে চাপড় মারেন। এই কারণেই কান্নাকে স্বাস্থ্যের দিক থেকে একটি প্রাথমিক লক্ষণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
*ডাক্তাররা কেন চান শিশুরা কাঁদুকঃ কান্না ডাক্তারদের জন্য ভাল লক্ষণ, এটি শিশুর সুস্থতার লক্ষণ। এটিকে অ্যাপগার স্কোর বলা হয়, জন্মের পরপরই শিশুর অবস্থা পরিমাপ করার জন্য একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। কান্না শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্রিয়াকলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। যদি কোনও শিশু তাৎক্ষণিকভাবে না কাঁদে, তবে ডাক্তাররা তাদের শ্বাসযন্ত্রকে সক্রিয় করার জন্য তাদের পিঠে চাপড় মারেন। এই কারণেই কান্নাকে স্বাস্থ্যের দিক থেকে একটি প্রাথমিক লক্ষণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
advertisement
8/12
*কান্না ছাড়া কি কোনও শিশু জন্মগ্রহণ করতে পারে? কান্না ছাড়াও শিশুর জন্ম সম্ভব। এটি দুটি পরিস্থিতিতে ঘটে। প্রথমত, যখন শিশু শান্ত থাকে কিন্তু শ্বাস নেয়। দ্বিতীয়ত, যখন শিশু কেবল শান্ত থাকে, কান্না ছাড়াই গভীরভাবে শ্বাস নেয়। এটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হয় যদি তাদের ত্বক গোলাপী হয় এবং তাদের শরীর সক্রিয় দেখায়। যদিও এই ধরনের ঘটনা বিরল, তবে মেডিক্যাল রেকর্ডে এগুলি নথিভুক্ত রয়েছে।
*কান্না ছাড়া কি কোনও শিশু জন্মগ্রহণ করতে পারে? কান্না ছাড়াও শিশুর জন্ম সম্ভব। এটি দুটি পরিস্থিতিতে ঘটে। প্রথমত, যখন শিশু শান্ত থাকে কিন্তু শ্বাস নেয়। দ্বিতীয়ত, যখন শিশু কেবল শান্ত থাকে, কান্না ছাড়াই গভীরভাবে শ্বাস নেয়। এটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হয় যদি তাদের ত্বক গোলাপী হয় এবং তাদের শরীর সক্রিয় দেখায়। যদিও এই ধরনের ঘটনা বিরল, তবে মেডিক্যাল রেকর্ডে এগুলি নথিভুক্ত রয়েছে।
advertisement
9/12
*যখন একটি শিশু কাঁদে না তার অর্থ শিশুর সাহায্যের প্রয়োজন। যদি শিশুটি একেবারেই না কাঁদে বা শ্বাস না নেয়, তবে এটি উদ্বেগের কারণ। ডাক্তাররা শ্বাসনালী পরিষ্কার করেন, অক্সিজেন সরবরাহ করেন, উষ্ণতা প্রদান করেন এবং শিশুকে চাপড় দেন। এই সময়ে শান্ত থাকা স্বাস্থ্যকর শান্ত নয়।
*যখন একটি শিশু কাঁদে না তার অর্থ শিশুর সাহায্যের প্রয়োজন। যদি শিশুটি একেবারেই না কাঁদে বা শ্বাস না নেয়, তবে এটি উদ্বেগের কারণ। ডাক্তাররা শ্বাসনালী পরিষ্কার করেন, অক্সিজেন সরবরাহ করেন, উষ্ণতা প্রদান করেন এবং শিশুকে চাপড় দেন। এই সময়ে শান্ত থাকা স্বাস্থ্যকর শান্ত নয়।
advertisement
10/12
*কোনও শিশু কি হাসতে হাসতে জন্মগ্রহণ করে? বিজ্ঞান একেবারেই বলে না। জন্মের সময় কোনও শিশু আসলে হাসছে এমন কোনও নথিভুক্ত ঘটনা নেই। হাসি একটি স্নায়বিক প্রতিক্রিয়া। হাসির কর্টেক্স, সামাজিক প্রতিক্রিয়া এবং মুখের পেশী সমন্বয়, সবকিছুই জন্মের কয়েক সপ্তাহ পরে বিকশিত হয়, যার অর্থ একটি নবজাতক জন্মের কয়েক সপ্তাহ পরেই হাসিতে সাড়া দেয়। নবজাতকের মস্তিষ্ক 'হাসার' জন্য যথেষ্ট পরিপক্ক হয় না।
*কোনও শিশু কি হাসতে হাসতে জন্মগ্রহণ করে? বিজ্ঞান একেবারেই বলে না। জন্মের সময় কোনও শিশু আসলে হাসছে এমন কোনও নথিভুক্ত ঘটনা নেই। হাসি একটি স্নায়বিক প্রতিক্রিয়া। হাসির কর্টেক্স, সামাজিক প্রতিক্রিয়া এবং মুখের পেশী সমন্বয়, সবকিছুই জন্মের কয়েক সপ্তাহ পরে বিকশিত হয়, যার অর্থ একটি নবজাতক জন্মের কয়েক সপ্তাহ পরেই হাসিতে সাড়া দেয়। নবজাতকের মস্তিষ্ক 'হাসার' জন্য যথেষ্ট পরিপক্ক হয় না।
advertisement
11/12
*যে হাসিটি দেখা যায় তা আসলে একটি প্রতিফলন। অনেক ছবি বা গল্পে দাবি করে শিশুটি জন্মের পরপরই হাসছিল। আসলে, এটি একটি স্নায়বিক প্রতিফলন যাকে রিফ্লেক্স হাসি বলা হয়। এটি আসলে হাসি নয়, বরং কেবল মুখের পেশীগুলির একটি নড়াচড়া।
*যে হাসিটি দেখা যায় তা আসলে একটি প্রতিফলন। অনেক ছবি বা গল্পে দাবি করে শিশুটি জন্মের পরপরই হাসছিল। আসলে, এটি একটি স্নায়বিক প্রতিফলন যাকে রিফ্লেক্স হাসি বলা হয়। এটি আসলে হাসি নয়, বরং কেবল মুখের পেশীগুলির একটি নড়াচড়া।
advertisement
12/12
*লোককাহিনীতে কি এই ধরণের অনেক গল্প পাওয়া যায়, কিন্তু সেগুলি বৈজ্ঞানিক প্রমাণের উপর ভিত্তি করে নয়। মেডিক্যাল জার্নালে 'শান্ত জন্ম'-এর মতো ঘটনা রয়েছে, যেখানে একটি শিশু কান্না ছাড়াই জন্মগ্রহণ করে কিন্তু স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নেয়। ডাক্তাররা কয়েক মিনিটের জন্য এই জাতীয় নবজাতকদের পর্যবেক্ষণ করেন। যদি সবকিছু স্থিতিশীল থাকে, তবে এটি স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হয়।
*লোককাহিনীতে কি এই ধরণের অনেক গল্প পাওয়া যায়, কিন্তু সেগুলি বৈজ্ঞানিক প্রমাণের উপর ভিত্তি করে নয়। মেডিক্যাল জার্নালে 'শান্ত জন্ম'-এর মতো ঘটনা রয়েছে, যেখানে একটি শিশু কান্না ছাড়াই জন্মগ্রহণ করে কিন্তু স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নেয়। ডাক্তাররা কয়েক মিনিটের জন্য এই জাতীয় নবজাতকদের পর্যবেক্ষণ করেন। যদি সবকিছু স্থিতিশীল থাকে, তবে এটি স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হয়।
advertisement
advertisement
advertisement