একটার পর একটা...! 'গোপনে' কাজ সারছিল পরিচারিকা, ক্যামেরার ফুটেজ Check করতেই এ কী? সামনে এল 'সত্যি'...!

বাড়িতে পরিচারিকা প্রায় এখন সব ঘরে ঘরেই। কোনও কোনও বাড়িতে বহু বহু বছর ধরে থাকতে থাকতে বাড়ির সদস্যের মতো হয়ে যায় এই পরিচারিকাদের কেউ কেউ। তাঁদের কাছে আর কোনও কিছু লুকোনো থাকে না। বিশ্বাসও অর্জন করে নেন তাঁরা পরিবারের সদস্যদের।

কিন্তু তারপরেও কি অঘটন ঘটে না? সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা সকলের চোখ খুলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের এই চমকপ্রদ ঘটনার ভিডিও সামনে এসেছে, যেখানে একজন পরিচারিকাকে এমন কাজ করতে দেখা গিয়েছে যা বাড়ির লুকোনো ক্যামেরায় সরাসরি ধরা পড়েছে।

হীরানগর শহরের নামকরা টেক্সটাইল ব্যবসায়ী দিব্যরত্ন তিওয়ারির বাড়ি থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই চুরি হয়ে যাচ্ছিল গয়না এবং টাকা-পয়সা। প্রথম প্রথম বাড়িতে সর্বত্র খোঁজাখুঁজি চালালেও কিছুদিনেই সন্দেহ বাড়ে বাড়ির মালিকের। Representative Image

প্রথমে, বাড়ির লোকেরা বুঝতেই পারছিল না যে কীভাবে টাকা পয়সা-গয়না এভাবে গায়েব হয়ে যাচ্ছে। পরে বিষয়টি ধরতে ব্যবসায়ী তাঁর বাড়িতে একটি গোপন ক্যামেরা ইনস্টল করেন। আর তাতেই হল কাজ। Representative Image

এই বার চুরির পর ক্যামেরার ফুটেজ চেক করতেই যা দেখা গেল তা নিমেষে চমকে দিল বাড়িশুদ্ধু সবাইকে। শুনলে আঁতকে উঠবেন আপনিও। Representative Image

দেখা গেল, সকলের অলক্ষে কাজটি হাসিল করছিল মেঘা নামের বাড়িরই 'বিশ্বস্ত'এক পরিচারিকা। সে ওই বাড়িতেই কাজ করে, আর এতদিন ধরে টাকা গয়না চুরিও করছিল সেই মেঘা। Collected Image : Instagram

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর, বাড়ির মালিক সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান হীরানগর থানায়। সেখানে গোটা চুরির ঘটনা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের পর পুলিশ মেঘাকে গ্রেফতার করে নেয়। আরও বড় ডাকাতির কোনও উদ্দেশ্য ছিল কোন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ব্যবসায়ী দিব্যরত্ন তিওয়ারি জানান, তাঁর বাড়িতে তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি, বাবা-মা এবং বোন থাকেন। গত কয়েকদিন ধরেই বাড়ি থেকে মূল্যবান রত্ন, সোনাদানা একে একে উধাও হতে শুরু করাতে তাঁর সন্দেহ হয়। মূল্যবান সামগ্রীর সেই তালিকায় ছিল সোনার চুড়ি, একটি নেকলেস, তিনটি ব্রেসলেট, একটি মঙ্গলসূত্র এবং বেশ কিছু নগদ টাকা।

দিব্যরত্ন বাবু আরও জানান, যে তাঁর সন্দেহ হয় যে এই সমস্ত জিনিসপত্র বাড়ির পরিচারিকাদের মধ্যে কেউ চুরি করে থাকতে পারে। এরপরেই বাড়ি থেকে কে টাকা চুরি করছে তা খুঁজে বের করার জন্য, ফাঁদ তৈরি করেন তিনি। বাড়ির মালিক দিব্যরত্ন, বাড়ির প্রতিটি রুমে গোপন ক্যামেরা স্থাপন করে দেন।

বাড়ির মালিক দিব্যরত্ন তিওয়ারি এই বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভিডিওটির ভিত্তিতে, পুলিশ অভিযুক্ত ও পরিচারিকা মেঘাকে গ্রেফতার করে। করে। বর্তমানে হীরানগর পুলিশ মেঘাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।