ক্যাফের ভিতরে ছোট্ট ছোট্ট কেবিন, পর্দা সরাতেই ঘেমেনেয়ে একসা পুলিশকর্তা! যা দেখা গেল...

অভিজাত ক্যাফে। ভিতরে সুন্দর ছোট্ট ছোট্ট কেবিন। কফি এবং স্ন্যাকসের পাশাপাশি অন্য পরিষেবাও দেওয়া হচ্ছিল সেখানেই! হঠাৎ জানতে পেরে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। কেবিনের পর্দা সরাতেই যা দেখা গেল...! চক্ষু চড়কগাছ পুলিশকর্তার।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্যাফে খোলার হিড়িক বেড়েছে। এই ক্যাফেগুলি সস্তায় খাবার এবং পানীয় সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও, ভিতরে অনেক সময় ভিন্ন পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি মুজাফফরনগরের একটি ক্যাফের এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে, যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে।

উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে অবস্থিত এই বুদ্ধ ক্যাফেতে এমন কিছু চলছিল, যা প্রকাশ্যে আসায় সবাই অবাক হয়ে যায়। এএইচটিইউ এবং স্থানীয় থানার যৌথ টিম একটি দল গঠন করে এখানে অভিযান চালিয়ে মালিক **যশপাল গুপ্তা** ও তার ছেলে **উজ্জ্বল গুপ্তা**-কে গ্রেফতার করেছে।

নাই মাণ্ডি সার্কেলের সিও **রূপালি রাও** জানিয়েছেন, থানা নাই মাণ্ডি এলাকার জেল চৌকি অঞ্চলের বুদ্ধ নামক ক্যাফেটিতে অবৈধ কার্যকলাপ চলছিল। কেবিনের ভিতরে যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হত নারীপুরুষ। প্রকাশ্যে আসার পর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ক্যাফেটি সিল করা হয়েছে।

এই ঘটনার পর পুলিশ আরও সতর্ক হয়েছে। সিও রূপালি রাও জানিয়েছেন, মুজাফফরনগরের সমস্ত ক্যাফে ও রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হবে এবং তাদের নোটিশ দেওয়া হবে। বুদ্ধ ক্যাফেতে অনৈতিক কার্যকলাপের খবর পাওয়ার পর এ ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ করতে এই অভিযান শুরু করা হবে।

ক্যাফেতে চা-পানের নাম করে বহু যুবক-যুবতীর আনাগোনা ছিল। কেবিনের পর্দা টেনে দিয়ে শুরু হতো শরীরী খেলা। ক্যাফের মালিক সবই জানতেন। এই কারণে প্রচুর ভিড়ও হত বুদ্ধ ক্যাফেতে, এমনই জানা গিয়েছে।

যেখানে ক্যাফেগুলি সাধারণত সামাজিক মিলনস্থল হিসেবে গণ্য হওয়ার কথা, কিছু ক্যাফের গোপন কার্যকলাপ সমাজে বিতর্ক সৃষ্টি করছে। প্রশাসন এখন এ বিষয়ে সতর্ক হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।