৭৫০ তোলা সোনা, ১৮ ঘণ্টার রেইড, টাকা দেখে আইটি কর্মকর্তাদের চোখ উঠেছিল কপালে ! ভারতের সবচেয়ে বড় আয়কর অভিযান নিয়ে ছবিও হয়েছে বলিউডে
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Biggest Income tax raid: অভিযানটি সম্পন্ন করতে দুই দিন, তিন রাত সময় লেগেছিল। উদ্ধার করা টাকা গুনতে ১৮ ঘণ্টা সময় লেগেছিল। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্মচারী সহ ৪৫ জনের একটি দল টাকা গুনতে বসে গিয়েছিল।
ইনকাম ট্যাক্স রেইড সব সময়েই আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। তবে দেশে ঘটে যাওয়া এ হেন কুখ্যাত অভিযানগুলির মধ্যে একটি এতটাই বিশাল ছিল যে তা নিয়ে বলিউড একটি চলচ্চিত্রও তৈরি করেছিল। রেইড ছবিটার কথা হয়তো অনেকেরই মনে আছে। যদিও অনেকে জানেন না যে এই চলচ্চিত্রটি একটি সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল। বলা হয় যে আয়কর দফতরের এই অভিযানটি ছিল ভারতের সবচেয়ে বড় ইনকাম ট্যাক্স রেইড। এর আগে, কোনও একক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযান চালানো হয়নি।
advertisement
অভিযানটি সম্পন্ন করতে দুই দিন, তিন রাত সময় লেগেছিল। উদ্ধার করা টাকা গুনতে ১৮ ঘণ্টা সময় লেগেছিল। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্মচারী সহ ৪৫ জনের একটি দল টাকা গুনতে বসে গিয়েছিল। ১৯৮১ সালের ১৬ জুলাই উত্তর প্রদেশের কানপুরের ব্যবসায়ী ইন্দর সিং-এর বাড়িতে দেশের সবচেয়ে বড় এই আয়কর অভিযান চালানো হয়। সর্দার ইন্দর সিং ছিলেন কানপুরের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ। ১৯২৮ সালে ইন্দর সিং কানপুরে সিং ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস প্রতিষ্ঠা করেন, যা ভারতের প্রথম ইস্পাত রি-রোলিং মিল ছিল। তিনি উত্তর ভারতের বৃহত্তম রেলওয়ে ওয়াগন কারখানাও (সিং ওয়াগন ফ্যাক্টরি) প্রতিষ্ঠা করেন এবং ভারতীয় রেলওয়েতে টাই বারের বৃহত্তম সরবরাহকারী হয়ে ওঠেন।
advertisement
advertisement
৭৫০ তোলা সোনা উদ্ধার: এই অভিযানে ১.৬০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই নগদ অর্থ ছাড়াও ২৫০ তোলা সোনাও উদ্ধার করা হয়েছিল। এর মধ্যে দুটি সোনার ইটও রয়েছে। ১৪৪টি গিনি (১.৮৫ লক্ষ টাকা মূল্যের)-সহ প্রায় ৮ লক্ষ টাকার গয়না উদ্ধার করা হয়েছিল। সর্দার ইন্দর সিং-এর স্ত্রী মহিন্দর কৌরের বাসভবন থেকে ৫০০ তোলা সোনার দুটি ইট এবং ১৪৪টি সোনার মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে, যার মোট ওজন ৬,৯৭৭ গ্রাম। এটি স্পষ্টত ১৯৬৮ সালের সোনা (নিয়ন্ত্রণ) আইনের লঙ্ঘন করেছিল। সব মিলিয়ে মোট ৭৫০ তোলা সোনা উদ্ধার করা হয়েছিল।
advertisement
অভিযানের পর কী ঘটেছিল? অভিযানের পর আয়কর বিভাগ সর্দার ইন্দর সিং, তাঁর স্ত্রী মহিন্দর কৌর, চার ছেলে, দুই জামাতা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করে। সর্দার ইন্দর সিংয়ের সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়, তিনি এবং তাঁর পরিবার আইনি মামলার মুখোমুখি হতে থাকেন। কেন্দ্রীয় আবগারি বিভাগ ১৯৬৮ সালের স্বর্ণ (নিয়ন্ত্রণ) আইন লঙ্ঘনের জন্য মহিন্দর কৌরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে।