রাত ২টোয় মেয়ের ঘরে কে? ঘুম ভেঙে বাবা এসে 'উঁকি' দিতেই শিউরে ওঠেন...! ধুলোয় মিশল সব সম্মান

মেইনপুরি: রাত ২টোর সময় এক যুবক এল মেয়ের ঘরে। বাবার ঘুম ভেঙে যেতে তিনি মেয়ের ঘরে যান। আর তখনই যা দেখলেন ভিতরে, বুকটা মুচড়ে উঠল তাঁর। এ কী কান্ড...সব যে শেষ হয়ে গেল!

বিয়ের কথা ছিল ১ মার্চ। বাড়িতে ধুমধাম করে বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। আত্মীয়স্বজনদের বিয়ের খবর জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মেয়ের বিয়ের জন্য বাবা-মা লক্ষাধিক টাকার গয়না বানিয়েছিলেন এবং অন্যান্য কেনাকাটাও করেছিলেন। মেয়ের বিয়ের কার্ডও আনন্দের সঙ্গে আত্মীয়দের মধ্যে বিলি করছিলেন বাবা।

কিন্তু ২১ জানুয়ারি রাত ২টোয় এমন একটি ঘটনা ঘটে, যা জানার পর বাবা কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, "আমার সব শেষ হয়ে গেছে, আমার সম্মান ধুলোয় মিশে গেছে। এখন কী হবে?"

বাবা পুলিশকে জানান যে তাঁর মেয়ে ২৫ বছরের। ভূপেন্দ্রর ছেলে অজয়, যিনি করহল স্কোয়ারের বড়া হাউসের বাসিন্দা, বাড়িতে মই বেয়ে উঠে তার মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়।

বিষয়টি জানার পর বাবা সঙ্গে সঙ্গে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন এবং মেয়ের প্রেমিককে দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ করেন। ঘটনাটি বাইপাস রোড ট্রান্সপোর্ট নগরের।

উত্তরপ্রদেশের মেইনপুরি থেকে এমনই একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। আসলে, যেই কনে কয়েকদিন পর বিয়ে করতে চলেছিল, সে রাত ২টো নাগাদ তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, বিয়ের জন্য বাবা যে গয়না বানিয়েছিলেন, সেটাও নিয়ে পালিয়ে যায় মেয়ে।

অভিযোগকারী জানান যে তাঁর মেয়ে দিনরাত ওই যুবকের সঙ্গে ফোনে কথা বলত। বিষয়টি জানার পর তিনি মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন এবং যুবকের বাবা-মাকে বিষয়টি জানিয়ে তাদের ছেলেকে মেয়ের থেকে দূরে থাকার জন্য সতর্ক করেন।

বাবা আরও জানান যে তিনি তার মেয়ের বিয়ের জন্য ৫ লক্ষ টাকার গয়না বানিয়েছিলেন। এর মধ্যে চারটি বালা, দুটি কানের দুল, একটি নাকের দুল এবং তিনটি আংটি ছিল, যা মেয়ে পালানোর সময় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ অজয় ও মেয়েটিকে পালাতে সাহায্য করা অজ্ঞাত এক বন্ধুর বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করেছে।

এই ঘটনায় কোতয়ালি ইনচার্জ ফতেহ বাহাদুর সিং বলেন যে শীঘ্রই মেয়েকে উদ্ধার করা হবে এবং অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হবে। পুরো বিষয়টি এখন তদন্তাধীন।