Bankura's Mysterious Village: আজও কেন এই গ্রামে দোতলা পাকা বাড়ি তৈরি হয় না? বাঁকুড়ার গ্রামের এই কাহিনী আপনাকে চমকে দেবে

Last Updated:
Bankura's Mysterious Village: বাঁকুড়ার বালিয়াড়া গ্রামে আজও নেই কোনও দোতলা বাড়ি। গ্রামবাসীর বিশ্বাস, মা মনসা মুক্ত আকাশের নিচেই বাস করতে চান।
1/6
বাঁকুড়ার এই গ্রামে আজও কেউ মা মনসাকে ভক্তি করে বানায় না দোতলা পাকা বাড়ি। বাঁকুড়া জেলার ওন্দার শাণতোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বালিয়ারা গ্রামে বাস করেন বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষ। মূলত কৃষিকাজ করেন তাঁরা।
বাঁকুড়ার এই গ্রামে আজও কেউ মা মনসাকে ভক্তি করে বানায় না দোতলা পাকা বাড়ি। বাঁকুড়া জেলার ওন্দার শাণতোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বালিয়ারা গ্রামে বাস করেন বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষ। মূলত কৃষিকাজ করেন তাঁরা।
advertisement
2/6
গ্রামের এক প্রান্তে অবস্থান করছে মা মনসার বেদি। গ্রামবাসীরা জানায়, মায়ের মহিমা অপার এবং বালিয়ারার মা মনসা অত্যন্ত জাগ্রত। গ্রামের প্রায় প্রত্যেকের মতে, মা মনসা মুক্ত আকাশের নিচে বাস করতেই পছন্দ করেন তাই এখনও কোনও মন্দির হয়নি মায়ের বেদীতে।
গ্রামের এক প্রান্তে অবস্থান করছে মা মনসার বেদি। গ্রামবাসীরা জানায়, মায়ের মহিমা অপার এবং বালিয়ারার মা মনসা অত্যন্ত জাগ্রত। গ্রামের প্রায় প্রত্যেকের মতে, মা মনসা মুক্ত আকাশের নিচে বাস করতেই পছন্দ করেন তাই এখনও কোনও মন্দির হয়নি মায়ের বেদীতে।
advertisement
3/6
বালিয়াড়া গ্রামের অভিজ্ঞ প্রৌঢ অসিত নন্দী বলেন,
বালিয়াড়া গ্রামের অভিজ্ঞ প্রৌঢ অসিত নন্দী বলেন, "সত্যনারায়ণ পাল বলে একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন, তিনি মা মনসার এই দোতলা বাড়ি বানানোর ঘটনাটি বিশ্বাস করতেন না, সত্যনারায়ণ দোতলা বাড়ি বানাতে গেলে একটি দুর্ঘটনায় পড়েন তারপর মৃত্যু হয় সত্যনারায়ণের, কিছুদিন পর মারা যান সত্যনারায়ণের স্ত্রী।"
advertisement
4/6
গ্রামে বাস করতেন এক বিজ্ঞান মনষ্ক প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। নাম সত্যনারায়ণ পাল। গ্রামে দোতলা বাড়ি না বানানোটা একটি কুসংস্কার বলে প্রমাণ করার জন্যে তিনি ১৯৯৫ সালে চ্যালেঞ্জ নিয়ে বানানো শুরু করেন দোতলা বাড়ি। স্থানীয় এবং পরিবার সূত্রে জানা গেছে দোতলার সিঁড়ির নির্মাণ শুরুর বেশ কয়েকদিনের মধ্যেই গ্রামের একটি বাচ্চা ছেলের সাথে ধাক্কায় আহত হন সত্যনারায়ণ পাল, তারপর একপ্রকার শয্যাগত হন তিনি এবং অবশেষে মারা যান এক বছরের মাথায়।
গ্রামে বাস করতেন এক বিজ্ঞান মনষ্ক প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। নাম সত্যনারায়ণ পাল। গ্রামে দোতলা বাড়ি না বানানোটা একটি কুসংস্কার বলে প্রমাণ করার জন্যে তিনি ১৯৯৫ সালে চ্যালেঞ্জ নিয়ে বানানো শুরু করেন দোতলা বাড়ি। স্থানীয় এবং পরিবার সূত্রে জানা গেছে দোতলার সিঁড়ির নির্মাণ শুরুর বেশ কয়েকদিনের মধ্যেই গ্রামের একটি বাচ্চা ছেলের সাথে ধাক্কায় আহত হন সত্যনারায়ণ পাল, তারপর একপ্রকার শয্যাগত হন তিনি এবং অবশেষে মারা যান এক বছরের মাথায়।
advertisement
5/6
এই ঘটনার কিছুদিন পর মারা যান তার স্ত্রীও। সেই বাড়িতে এখন সপরিবারে বাস করছেন সত্যনারায়ণ এর ছেলে সৌরেন পাল। তিনি জানান যে, বিজ্ঞান মনষ্ক সত্যনারায়ণ পাল মৃত্যুর আগে পর্যন্ত মা মনসা এবং দোতলা বাড়ির সম্পর্ককে কাকতালীয় বলে মনে করেছেন। ছবি ও তথ্য: নীলাঞ্জন ব্যানার্জী
এই ঘটনার কিছুদিন পর মারা যান তার স্ত্রীও। সেই বাড়িতে এখন সপরিবারে বাস করছেন সত্যনারায়ণ এর ছেলে সৌরেন পাল। তিনি জানান যে, বিজ্ঞান মনষ্ক সত্যনারায়ণ পাল মৃত্যুর আগে পর্যন্ত মা মনসা এবং দোতলা বাড়ির সম্পর্ককে কাকতালীয় বলে মনে করেছেন।
advertisement
6/6
গ্রামে নেই কোনও পাকা ছাদ দেওয়া দোতলা বাড়ি। একদিকে বিজ্ঞান বলছে অন্যকথা কিন্তু গ্রামবাসী এবং বালীয়ারা গ্রামের মা মনসার কাহিনী ভাবিয়ে তুলছে সাধারণ মানুষকে। (ছবি ও তথ্য: নীলাঞ্জন বন্দোপাধ্যায়)
গ্রামে নেই কোনও পাকা ছাদ দেওয়া দোতলা বাড়ি। একদিকে বিজ্ঞান বলছে অন্যকথা কিন্তু গ্রামবাসী এবং বালীয়ারা গ্রামের মা মনসার কাহিনী ভাবিয়ে তুলছে সাধারণ মানুষকে। (ছবি ও তথ্য: নীলাঞ্জন বন্দোপাধ্যায়)
advertisement
advertisement
advertisement