Baba Harbhajan Singh: রাতে টহল, শত্রুদের পদক্ষেপের আগাম জানান...আজও নাকি সীমান্তে পাহারা দেয় সেনা হরভজন সিং-এর আত্মা

Last Updated:
তাঁকে দেখা যায়না, কিন্তু তিনি আছেন! অন্তত এমনটাই বিশ্বাস সেনাবাহিনীর একাংশের। তিনি হরভজন সিং। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে তিনি দেবতা। তাঁদের বিশ্বাস, আজও, মৃত্যুর বহু বছর পরও দেশ, সীমান্ত এবং প্রহরারত সেনা-জওয়ানদের রক্ষা কর চলেছেন হরভজন সিং।
1/8
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায়, সিকিম ও তিব্বতের মাঝে দুর্গম গিরিপথ নাথু লা! চারপাশে বরফে মোড়া পাহাড়! হাড়হিম করা ঠান্ডা! এখানেই প্রতিটা মুহূর্তে, দেশের সীমান্তে অতন্দ্র 'পাহারা'য় তিনি! তাঁকে দেখা যায়না, কিন্তু তিনি আছেন! অন্তত এমনটাই বিশ্বাস সেনাবাহিনীর একাংশের। তিনি বাবা হরভজন সিং। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে তিনি দেবতা। তাঁদের বিশ্বাস, আজও, মৃত্যুর বহু বছর পরও দেশ, সীমান্ত এবং প্রহরারত সেনা-জওয়ানদের রক্ষা কর চলেছেন হরভজন সিং। Image: Collected
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায়, সিকিম ও তিব্বতের মাঝে দুর্গম গিরিপথ নাথু লা! চারপাশে বরফে মোড়া পাহাড়! হাড়হিম করা ঠান্ডা! এখানেই প্রতিটা মুহূর্তে, দেশের সীমান্তে অতন্দ্র 'পাহারা'য় তিনি! তাঁকে দেখা যায়না, কিন্তু তিনি আছেন! অন্তত এমনটাই বিশ্বাস সেনাবাহিনীর একাংশের। তিনি বাবা হরভজন সিং। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে তিনি দেবতা। তাঁদের বিশ্বাস, আজও, মৃত্যুর বহু বছর পরও দেশ, সীমান্ত এবং প্রহরারত সেনা-জওয়ানদের রক্ষা কর চলেছেন হরভজন সিং। Image: Collected
advertisement
2/8
তখন ১৯৬৮ সাল। ২২ বছরের হরভজন সিং-এর পোস্টিং ছিল নাথু লা-য়। অক্টোবর মাস। লাগাতার কয়েকদিনের বৃষ্টি ও ধসে বিপদসঙ্কুল গিরিপথ। তারমধ্যেই মালবাহী পশুর পিঠে পণ্য চাপিয়ে হরভজন সিং রওনা দিয়েছিলেন প্রত্যন্ত ও দুর্গম আউটপোস্টের উদ্দেশে। সেখানে রসদের অপেক্ষায় ছিলেন অন্য জওয়ানরা। কিন্তু কিছু সময় পরে কয়েকটি মালবাহী পশু ফিরে আসে সেই আউটপোস্টে যেখান থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন হরভজন। তাঁর সহকর্মীরা বুঝতে পারেন, নির্ঘাৎ তিনি কোনও বিপদ হয়েছে। Image: Collected
তখন ১৯৬৮ সাল। ২২ বছরের হরভজন সিং-এর পোস্টিং ছিল নাথু লা-য়। অক্টোবর মাস। লাগাতার কয়েকদিনের বৃষ্টি ও ধসে বিপদসঙ্কুল গিরিপথ। তারমধ্যেই মালবাহী পশুর পিঠে পণ্য চাপিয়ে হরভজন সিং রওনা দিয়েছিলেন প্রত্যন্ত ও দুর্গম আউটপোস্টের উদ্দেশে। সেখানে রসদের অপেক্ষায় ছিলেন অন্য জওয়ানরা। কিন্তু কিছু সময় পরে কয়েকটি মালবাহী পশু ফিরে আসে সেই আউটপোস্টে যেখান থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন হরভজন। তাঁর সহকর্মীরা বুঝতে পারেন, নির্ঘাৎ তিনি কোনও বিপদ হয়েছে। Image: Collected
advertisement
3/8
হরভজনের খোঁজে তল্লাসি শুরু হয়। কিন্তু তাঁর খোঁজ মেলে না। শোনা যায়, মৃত হরভজন সিং নাকি প্রীতম সিং নামে আর এক সেনা জওয়ানের স্বপ্নে এসে জানান, কোথায় তাঁর খোঁজ মিলবে। প্রচলিত বিশ্বাস, হরভজনের বলে দেওয়া নির্দিষ্ট স্থানেই পাওয়া গিয়েছিল তাঁর দেহ। পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। Image: Collected
হরভজনের খোঁজে তল্লাসি শুরু হয়। কিন্তু তাঁর খোঁজ মেলে না। শোনা যায়, মৃত হরভজন সিং নাকি প্রীতম সিং নামে আর এক সেনা জওয়ানের স্বপ্নে এসে জানান, কোথায় তাঁর খোঁজ মিলবে। প্রচলিত বিশ্বাস, হরভজনের বলে দেওয়া নির্দিষ্ট স্থানেই পাওয়া গিয়েছিল তাঁর দেহ। পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। Image: Collected
advertisement
4/8
মৃত্যুর পরেও নাকি নিজের ডিউটি ভোলেননি হরভজন সিং। আজও তিনি প্রহরায়। এমনটাই মনে-প্রাণে মানেন সেনাবাহিনীর সিংহভাগ। তাঁদের বিশ্বাস, আজও নাকি বাবা হরভজন সিং শত্রুপক্ষ থেকে আসা আগাম বিপদের ব্যাপারে আগে থেকেই সতর্ক করেন সেনা জওয়ানদের। এমনকি, কোনও সেনার পোশাক অবিন্যস্ত থাকলে শূন্য থেকে উড়ে এসে পড়ে সপাটে চড়। Image: Collected
মৃত্যুর পরেও নাকি নিজের ডিউটি ভোলেননি হরভজন সিং। আজও তিনি প্রহরায়। এমনটাই মনে-প্রাণে মানেন সেনাবাহিনীর সিংহভাগ। তাঁদের বিশ্বাস, আজও নাকি বাবা হরভজন সিং শত্রুপক্ষ থেকে আসা আগাম বিপদের ব্যাপারে আগে থেকেই সতর্ক করেন সেনা জওয়ানদের। এমনকি, কোনও সেনার পোশাক অবিন্যস্ত থাকলে শূন্য থেকে উড়ে এসে পড়ে সপাটে চড়। Image: Collected
advertisement
5/8
হরভজন সিং-এর নিজের সামরিক উর্দি, জুতো সবই এখনও সযত্নে সংরক্ষিত। যত্নে রাখা তাঁর ব্যবহৃত বিছানাও। Image: Collected
হরভজন সিং-এর নিজের সামরিক উর্দি, জুতো সবই এখনও সযত্নে সংরক্ষিত। যত্নে রাখা তাঁর ব্যবহৃত বিছানাও। Image: Collected
advertisement
6/8
নাথু লায় পাহারারত জওয়ানদের দাবি, মাঝে মাঝেই বিছানা এলোমেলো হয়ে যায়। তাঁদের বিশ্বাস, হরভজন সিং এসে বিশ্রাম নেন। রয়েছে তাঁর জুতোজোড়া। মাঝেমধ্যেই তাতে ধুলোকাদা লেগে থাকে। জওয়ানদের মতে, হরভজন সিং এখনও রাতে টহল দেন। Image: Collected
নাথু লায় পাহারারত জওয়ানদের দাবি, মাঝে মাঝেই বিছানা এলোমেলো হয়ে যায়। তাঁদের বিশ্বাস, হরভজন সিং এসে বিশ্রাম নেন। রয়েছে তাঁর জুতোজোড়া। মাঝেমধ্যেই তাতে ধুলোকাদা লেগে থাকে। জওয়ানদের মতে, হরভজন সিং এখনও রাতে টহল দেন। Image: Collected
advertisement
7/8
১২ বছর আগে পর্যন্ত প্রতি বছর নিজের বার্ষিক ছুটিও পেতেন হরভজন সিং। ১১ সেপ্টেম্বর তাঁর জিনিসপত্র নিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছত জিপ। ট্রেনে করে সেই জিনিস যেত পঞ্জাবের কপূরথালা জেলার কোকে গ্রামে। সেখানেই থাকেন তাঁর পরিজনরা। ছুটি ফুরিয়ে গেলে হরভজন সিং ফিরে যেতেন নাথু লায়। সিপাই হরভজন সিং-এর নামে ট্রেনে রিজার্ভেশন-ও করা হত। Image: Collected
১২ বছর আগে পর্যন্ত প্রতি বছর নিজের বার্ষিক ছুটিও পেতেন হরভজন সিং। ১১ সেপ্টেম্বর তাঁর জিনিসপত্র নিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছত জিপ। ট্রেনে করে সেই জিনিস যেত পঞ্জাবের কপূরথালা জেলার কোকে গ্রামে। সেখানেই থাকেন তাঁর পরিজনরা। ছুটি ফুরিয়ে গেলে হরভজন সিং ফিরে যেতেন নাথু লায়। সিপাই হরভজন সিং-এর নামে ট্রেনে রিজার্ভেশন-ও করা হত। Image: Collected
advertisement
8/8
হরভজন সিং-এর জন্ম ১৯৪৬ সালের ৩০ অগাস্ট। গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক পড়াসোনার পর তিনি পঞ্জাবের ডিএভি হাইস্কুল থেকে পাশ করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি সেনাবাহিনীর পঞ্জাব রেজিমেন্টে যোগ দেন। Image: Collected
হরভজন সিং-এর জন্ম ১৯৪৬ সালের ৩০ অগাস্ট। গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক পড়াসোনার পর তিনি পঞ্জাবের ডিএভি হাইস্কুল থেকে পাশ করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি সেনাবাহিনীর পঞ্জাব রেজিমেন্টে যোগ দেন। Image: Collected
advertisement
advertisement
advertisement