Aravalli Range Controversy: আরাবল্লী না থাকলে...থর মরভূমি পৌঁছে যেতে পারে নয়াদিল্লি! কোথায় শঙ্কা, কোথায় আশ্বাস
- Published by:Satabdi Adhikary
Last Updated:
তিনি জানান, দেশের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ১.৪৪ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থান করছে আরাবল্লী পর্বত৷ যার মধ্যে মাত্র ০.১৯ শতাংশ খনির খনন কার্যের উপযুক্ত৷ ভূপেন্দ্র বলেন, ‘‘আরাবল্লী নিরাপদে আছে, সংরক্ষিত আছে৷ যাঁরা মিথ্যে কথা বলছেন, তাঁদের মিথ্যে খুব শীঘ্রই ফাঁস হবে৷’’
খননকার্যের জন্য ব্যবহার করা যাবে আরাবল্লী পর্বতের ১০০ মিটারের চেয়ে কম উচ্চতার যে কোনও অংশ বা এলাকা৷ কেন্দ্রের আর্জিতে সুপ্রিম কোর্টের সায়৷ আর তারপরেই ধিকি ধিকি করে জ্বলতে থাকা বিক্ষোভের আগুন যেন ক্রমেই বড় আকার নিচ্ছে৷ পরিবেশবিদ থেকে ভূ-বিদ্যা বিশেষজ্ঞ পৃথিবীর অন্যতম এই প্রাচীন পর্বতের ভবিষ্যৎ চিন্তায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন, বিক্ষোভ দানা বাঁধছে স্থানীয়দের মধ্যেও৷ কেন? কোথায় বিতর্ক এবং কোথায় উদ্বেগ?
advertisement
প্রথম নজরে, আরাবল্লী পাহাড় ঘিরে বিতর্ক আরেকটি পরিচিত পরিবেশগত বিতর্ক বলে মনে হতে পারে৷ সংরক্ষণ এবং উন্নয়নের মধ্যে সংঘর্ষ, খনির স্বার্থ এবং পরিবেশ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ। তবে, এইসবের পিছনে থাকা যে সবচেয়ে প্রশ্ন, তা হল জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত৷ মরু ঝড়, বায়ুদূষণ থেকে জল সুরক্ষা এবং দুর্যোগ- এই এক আরাবল্লীকে ঘিরে রয়েছে হাজারো ভূ-প্রাকৃতিক বিশ্লেষণ।
advertisement
advertisement
আশেপাশের ভূখণ্ড থেকে ১০০ মিটার বা তার বেশি উঁচু ভূমিরূপকে ‘পাহাড়’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি অভিন্ন সংজ্ঞার সাম্প্রতিক আইনি স্বীকৃতি বিজ্ঞানী, পরিকল্পনাকারী এবং পরিবেশবিদদের মধ্যে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। তাদের ভয় প্রতীকী নয়। এটি বাস্তবসম্মত। তাঁদের আশঙ্কা, এই নতুন ‘সংজ্ঞার’ জেরে পরিবেশগতভাবে সক্রিয়, অথচ মৃদু ঢালু আরাবল্লী শৈলশিরাগুলির বিশাল অংশ এখন সরকারি রেকর্ড থেকে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে। ফলে তা চলে যাবে সংরক্ষণের বাইরে৷
advertisement
advertisement
গুজরাত থেকে দিল্লি পর্যন্ত ৮০০ কিলোমিটারেরও বেশি বিস্তৃত, আরাবল্লী পর্বতমালা বিশ্বের প্রাচীনতম পর্বত ব্যবস্থাগুলির মধ্যে একটি। কিন্তু যুগ যুগ ধরে ক্ষয়ের জেরে বর্তমানে এর রূপরেখা ক্ষীণ হয়ে এসেছে। হিমালয়ের ঠিক উল্টো, আরাবল্লী পর্বতমালার তেমন দুর্দান্ত শৃঙ্গ বা দারুণ সৌন্দর্য্যময় ভূমিরূপ নেই। অনেক অংশই ছোট ছোট শৈলশিরা, পাথুরে প্রান্তর, অথবা আশেপাশের সমভূমির উপরে সামান্য উঁচু ভূখণ্ড হিসাবে বেঁচে রয়েছে।
advertisement
দিল্লি, গুরুগ্রাম এবং জয়পুরের মতো শহরগুলিকে ক্রমবর্ধমানভাবে চাপা দিয়ে রাখা ধুলোঝড়ের তীব্রতা কমাতে এবং তাপ নিয়ন্ত্রণে নিম্ন আরাবল্লীর শৈলশিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাজস্থান এবং হরিয়ানা জুড়ে ভূগর্ভস্থ জলস্তর নীচে নেমে যাওয়ার সময় বৃষ্টির জল কীভাবে জলাধারে মিশবে তাও নিয়ন্ত্রণ করে আরাবল্লী।
advertisement
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তি দিয়ে আসছেন যে এই ‘নিচু পাহাড়’গুলির পরিবেশগত তাৎপর্য বিশাল৷ সে ভূগর্ভস্থ জলের ‘রিফিলিং’ হোক কী থর মরুভূমির পূর্বের অগ্রগতি রোধ করা৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, আরাবল্লী না থাকলে থর মরুভূমির বালি আরও পূর্বে প্রসারিত হয়ে হরিয়াণা এবং দিল্লি সহ এনসিআর অঞ্চলে চলে আসতে পারে৷ ফলে রাজধানী এলাকার দূষণ এবং তাপমাত্রা দুই-ই বাড়তে পারে চড়চড়িয়ে৷
advertisement
এছাড়া, জলস্তর কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে খরা সম্ভাবনাও তৈরি করতে পারে আরাবল্লীর ক্ষতি৷ বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে সংলগ্ন এলাকার কৃষিকাজে৷ যদিও, সম্প্রতি পরিবেশমন্ত্রী কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব আরাবল্লীর খননকার্য সংক্রান্ত বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই তার রায় জানিয়ে দিয়েছে৷ আমাদের সরকার সবুজ আরাবল্লীর কথা প্রচার করে৷ বর্তমানে আরাবল্লী পর্বত নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে৷’’
advertisement









