এক মেয়ের মা, ৩০ বছরের যুবতীর ১৩ স্বামী! ১৪তম বিয়ের ঠিক দুই ঘণ্টা আগে বেকায়দায় ‘সিরিয়াল ব্রাইড’ রেশমা

এক তরুণী, বয়স মাত্র তিরিশ। কিন্তু তাঁর জীবন যেন কোনও রহস্য উপন্যাসের পাতা থেকে উঠে আসা চরিত্র। উচ্চশিক্ষিত, স্বপ্ন ছিল গবেষণায় যাওয়ার, কিন্তু সেই প্রতিভা এক সময় বাঁক নেয় এক অবাক করা যাত্রায়।

একের পর এক বিয়ে—কারও সঙ্গে প্রেমের গল্প, কারও সঙ্গে প্রতিশ্রুতির সম্পর্ক। কারও সঙ্গে নথিভুক্ত, কারও সঙ্গে গোপনে। হঠাৎ একদিন ধরা পড়ে যায় সেই জাল—যেখানে আটকে আছেন ডজনখানেক পুরুষ, এক শিশু, এবং বেশ কিছু প্রশ্ন যার উত্তর এখনও অজানা। (Representational Image: AI Generated)

বিয়ের সাজে থাকা অবস্থাতেই থেমে যায় তাঁর পনেরোতম 'নতুন' জীবনের সূচনা। ধরা পড়ে যায় বহুচর্চিত সেই পর্দার আড়ালে থাকা বাস্তব। পুলিশ, তদন্তকারী দল, আদালতের আবেদন—সব মিলিয়ে গল্পের মোড় নেয় অন্যদিকে। প্রতিভা, প্রতারণা, না কি মানসিক সমস্যার ছায়া? উত্তর খুঁজছে সমাজ আর তদন্তকারী অফিসারের দল। (Representational Image: AI Generated)

যুবতীর নাম রেশমা চন্দ্রশেখরন। ত কয়েক বছরে দেশের নানা শহরের বহু পুরুষকে বিয়ে করেছেন, তাঁকে তাঁর ১৪তম বিয়ের মাত্র দু’ঘণ্টা আগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। (Representational Image: AI Generated)

রেশমার মোট কতগুলি বিয়ে হয়েছে, এবং তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল—তা খুঁজে বের করতে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে আরিয়ানাড পুলিশ। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আমরা আদালতে হেফাজতের আবেদন করব যাতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়। তিনি নিজে না বললে বিয়ের প্রকৃত সংখ্যা ও স্বামীদের নাম নিশ্চিত করা কঠিন। সেইসঙ্গে, যাঁদের সঙ্গে তিনি বিয়ে করেছেন তাঁদের সঙ্গেও কথা বলতে হবে। (Representational Image: AI Generated)

রেশমা সম্পর্কে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পড়াশোনায় তিনি খুবই মেধাবী ছিলেন। তিনি স্নাতক ডিগ্রি পান শ্রী শঙ্করাচার্য সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়, কালাডি থেকে। স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেন সিএমএস কলেজ, কোট্টায়াম থেকে। এমনকি পিএইচডি করারও পরিকল্পনা ছিল। (Representational Image: AI Generated)

তবে সেই পড়াশোনার মাঝেই ২০১৪ সালে তিনি প্রথম বিয়ে করেন। এরপর থেকেই শুরু হয় একের পর এক বিয়ে ও প্রতারণার অধ্যায়। বিয়েগুলি কোথায় কোথায় হয়েছে? (Representational Image: AI Generated)

কল্লাম, থোডুপুঝা, আঙ্গামালি এবং ভাইকোমের মতো এলাকায় তিনি নিজের পরিচয় গোপন রেখে একাধিক পুরুষকে বিয়ে করেছেন। ২০২২ সালে ভলাকম এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক হয় এবং সেই সম্পর্ক থেকেই জন্ম নেয় একটি কন্যাসন্তান। আজও রেশমার মা সেই ব্যক্তির বাড়িতেই থাকেন। চমকপ্রদ বিষয় হল, ওই ব্যক্তিও রেশমার এতগুলি বিয়ে ও প্রতারণার কোনও খবরই জানতেন না। (Representational Image: AI Generated)

পুলিশ এখন খতিয়ে দেখছে—এর পেছনে লুকিয়ে আছে কি কোনও আর্থিক প্রতারণা, লোভ, না কি অন্য কোনও অপরাধমূলক উদ্দেশ্য? রেশমার কাহিনি যেন বাস্তবের ‘সিরিয়াল ব্রাইড’, কিন্তু প্রশ্ন একটাই—এত প্রেম, এত বিয়ে...এত সহজে কীভাবে সম্ভব?