সাফাইকর্মীদের হাতে গণেশ পুজোর উদ্বোধন! তুলে দেওয়া হল মিষ্টি-বস্ত্র-প্রসাদ, ছবিতে দেখুন বিশেষ মুহূর্ত

Last Updated:
Sanitation Workers Inaugurates Ganesh Puja: উদ্বোধনের পর সাফাইকর্মীদের হাতে নতুন বস্ত্র, মিষ্টি এবং পুজোর প্রসাদ তুলে দেওয়া হয়
1/6
শিলিগুড়ি, ঋত্বিক ভট্টাচার্যঃ আলো ঝলমলে প্যান্ডেলের চারিদিকে উৎসবের আমেজ। ঢাকের আওয়াজ ও ধূপ-ধুনোর গন্ধে যখন ভরে উঠেছে মণ্ডপ, তখনই দেখা গেল এক ভিন্ন দৃশ্য। প্রচলিত রীতি ভেঙে ‘আমরা কজন ক্লাব’ সাফাই কর্মীদের হাতে এবারের গণেশ পুজোর উদ্বোধন করালেন। সাধারণত যেখানে এই আসরে দেখা যায় নেতা, মন্ত্রী বা জনপ্রতিনিধিদের, সেখানে এই বছর সম্মানের আসন দেওয়া হল সেই মানুষদের, যাদের শ্রমে শহর জাগে প্রতিদিন।
<strong>শিলিগুড়ি, ঋত্বিক ভট্টাচার্যঃ</strong> আলো ঝলমলে প্যান্ডেলের চারিদিকে উৎসবের আমেজ। ঢাকের আওয়াজ ও ধূপ-ধুনোর গন্ধে যখন ভরে উঠেছে মণ্ডপ, তখনই দেখা গেল এক ভিন্ন দৃশ্য। প্রচলিত রীতি ভেঙে ‘আমরা কজন ক্লাব’ সাফাই কর্মীদের হাতে এবারের গণেশ পুজোর উদ্বোধন করালেন। সাধারণত যেখানে এই আসরে দেখা যায় নেতা, মন্ত্রী বা জনপ্রতিনিধিদের, সেখানে এই বছর সম্মানের আসন দেওয়া হল সেই মানুষদের, যাদের শ্রমে শহর জাগে প্রতিদিন।
advertisement
2/6
উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়, 'আমরা প্রায়ই বড় বড় মানুষকে দিয়ে উদ্বোধন করাই। কিন্তু এই শহরের প্রকৃত নায়ক হলেন সাফাইকর্মীরা। তাঁরা সারাদিন রোদ–বৃষ্টি–ঝড়–ঝঞ্ঝা উপেক্ষা করে আমাদের চারপাশ পরিষ্কার রাখেন। অথচ তাঁদের অবদান বেশিরভাগ সময় অদৃশ্য থেকে যায়। সেই নীরব পরিশ্রমকে সম্মান জানাতেই আমাদের এই উদ্যোগ'। (ছবি ও তথ্যঃ ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়, 'আমরা প্রায়ই বড় বড় মানুষকে দিয়ে উদ্বোধন করাই। কিন্তু এই শহরের প্রকৃত নায়ক হলেন সাফাইকর্মীরা। তাঁরা সারাদিন রোদ–বৃষ্টি–ঝড়–ঝঞ্ঝা উপেক্ষা করে আমাদের চারপাশ পরিষ্কার রাখেন। অথচ তাঁদের অবদান বেশিরভাগ সময় অদৃশ্য থেকে যায়। সেই নীরব পরিশ্রমকে সম্মান জানাতেই আমাদের এই উদ্যোগ'। (ছবি ও তথ্যঃ ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
advertisement
3/6
এদিন সাফাইকর্মীদের হাতে যখন পুজোর প্রদীপ জ্বলে, তখন দর্শনার্থীদের চোখে আবেগের ঝিলিক। কেউ হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানালেন, কেউ আবার মুঠোফোনে বন্দি করলেন বেনজির এই মুহূর্ত। উদ্বোধনের পর সাফাইকর্মীদের হাতে নতুন বস্ত্র, মিষ্টি এবং পুজোর প্রসাদ তুলে দেওয়া হয়। (ছবি ও তথ্যঃ ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
এদিন সাফাইকর্মীদের হাতে যখন পুজোর প্রদীপ জ্বলে, তখন দর্শনার্থীদের চোখে আবেগের ঝিলিক। কেউ হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানালেন, কেউ আবার মুঠোফোনে বন্দি করলেন বেনজির এই মুহূর্ত। উদ্বোধনের পর সাফাইকর্মীদের হাতে নতুন বস্ত্র, মিষ্টি এবং পুজোর প্রসাদ তুলে দেওয়া হয়। (ছবি ও তথ্যঃ ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
advertisement
4/6
আবেগঘন কণ্ঠে এক সাফাই কর্মী মন্টু হেলা বলেন, 'আমাদের কাজ সাধারণত সবার চোখ এড়িয়েই যায়। আমরা জানি, পরিষ্কার শহর ছাড়া মানুষের জীবনযাত্রা সম্ভব নয়, কিন্তু কখনও স্বীকৃতি পাই না। আজ এই সম্মান পেয়ে মনে হচ্ছে আমাদের ত্যাগও সমাজে মর্যাদা পাচ্ছে'। (ছবি ও তথ্যঃ ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
আবেগঘন কণ্ঠে এক সাফাই কর্মী মন্টু হেলা বলেন, 'আমাদের কাজ সাধারণত সবার চোখ এড়িয়েই যায়। আমরা জানি, পরিষ্কার শহর ছাড়া মানুষের জীবনযাত্রা সম্ভব নয়, কিন্তু কখনও স্বীকৃতি পাই না। আজ এই সম্মান পেয়ে মনে হচ্ছে আমাদের ত্যাগও সমাজে মর্যাদা পাচ্ছে'। (ছবি ও তথ্যঃ ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
advertisement
5/6
স্থানীয় বাসিন্দারাও এই অনন্য উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তাঁদের মতে, সমাজে যাদের প্রায়শই অবহেলা করা হয়, তাঁদের সম্মানের মঞ্চে নিয়ে আসা সত্যিই এক যুগান্তকারী বার্তা। (ছবি ও তথ্যঃ ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
স্থানীয় বাসিন্দারাও এই অনন্য উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তাঁদের মতে, সমাজে যাদের প্রায়শই অবহেলা করা হয়, তাঁদের সম্মানের মঞ্চে নিয়ে আসা সত্যিই এক যুগান্তকারী বার্তা। (ছবি ও তথ্যঃ ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
advertisement
6/6
এদিনের আয়োজন শুধু উৎসবের আনন্দে সীমাবদ্ধ থাকেনি, ছড়িয়ে পড়েছে মানবিকতার বার্তাও। আড়ম্বরের ভিড়ে থেকেও শিলিগুড়ির এই ক্লাব প্রমাণ করল সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষই সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাফাইকর্মীদের প্রতি সম্মান জানানোর মাধ্যমে গণেশ পুজোর এই মণ্ডপ যেন সৃষ্টি করল এক মানবিক দৃষ্টান্ত। (ছবি ও তথ্যঃ ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
এদিনের আয়োজন শুধু উৎসবের আনন্দে সীমাবদ্ধ থাকেনি, ছড়িয়ে পড়েছে মানবিকতার বার্তাও। আড়ম্বরের ভিড়ে থেকেও শিলিগুড়ির এই ক্লাব প্রমাণ করল সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষই সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাফাইকর্মীদের প্রতি সম্মান জানানোর মাধ্যমে গণেশ পুজোর এই মণ্ডপ যেন সৃষ্টি করল এক মানবিক দৃষ্টান্ত। (ছবি ও তথ্যঃ ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
advertisement
advertisement
advertisement