৩০০০ কন্টেনার আটকে...! বন্ধ ৩ ভারত-নেপাল সীমান্ত, প্রাণভয়ে পালিয়ে আসছেন ট্রাক চালক, খালাসীরা, নষ্ট হচ্ছে পেটি পেটি ওষুধ-শাকসবজি

ফুঁসছে নেপাল। আর তার আঁচ এবার ভারত-নেপাল সীমান্তে। গতকাল, সোমবার থেকে জেন জি প্রতিবাদের আগুনে কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে প্রতিবেশী দেশ। যার ফলে একের পর এক বন্ধ হয়ে গিয়েছে ব্যস্ত সীমান্তগুলি।

চরম অস্থিরতা ও অব্যবস্থার শিকার ভারত নেপাল সীমান্ত। প্রায় সাড়ে তিন হাজার কন্টেনার আটকে আছে এখনও। মূলত তিন সীমান্তে শয়ে শয়ে ট্রাক ও কন্টেনার আটকে রয়েছে। প্রাণভয়ে পালিয়ে আসছেন পণ্য পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা।

বন্ধ রয়েছে বিরাটনগর, রক্সৌল, পানিট্যাঙ্কি-কাঁকরভিটা, ভৈরবা , যোগবানী সীমান্ত। ওয়েস্ট বেঙ্গল কাস্টমস হাউজ এজেন্টস সোসাইটির পক্ষ থেকে সভাপতি সুজিত চক্রবর্তী। যার জেরে আটকে রয়েছে ওষুধ, খাদ্য সামগ্রী ও অন্যান্য নানা পণ্য। নষ্ট হচ্ছে প্রচুর শাক সবজি।

প্রসঙ্গত, Gen Z বিক্ষোভে সোমবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে। হাজার হাজার তরুণ ছাত্র যুবক নেপালের পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন। শুধু রাজধানী শহরেই নয়, বিক্ষোভ-বিদ্রোহের আঁচ ছড়িয়েছিল নেপালের অন্যত্রও। সোমবারের ওই বিক্ষোভে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সমাজমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞার জেরে তোলপাড় নেপাল। দেশের তরুণ ছাত্র যুবকদের বিদ্রোহের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে ওলি সরকার। সমাজমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির প্রশাসনকে। কিন্তু তারপরেও থামেনি অশান্তি। শেষমেশ চাপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি।

এই পরিস্থিতির জের ভারত-নেপাল সীমান্তে। দুই দেশের পর্যটন ক্ষেত্রেও। নেপালের অশান্ত পরিবেশের আবহে আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে কাঠমান্ডু সরকারি বাস পরিষেবা।

সপ্তাহে দু'দিন, প্রতি মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডু থেকে নেপাল বাস চলাচল করে। বাস চালায় উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। সেই বাস চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে পুজোর মুখে বাণিজ্য ও পণ্য পরিবহনের পাশাপাশি ধাক্কা খেতে চলেছে পর্যটন শিল্প।