যেন গিলতে আসছে...! ২৫-৩০ ফুট এগিয়ে এসেছে 'গাঠিয়া', নদীর অচেনা রূপে ভীত নাগরাকাটা

Last Updated:
Flood Situation Update: বিপর্যয়ের ধাক্কায় ভাঙতে শুরু করেছে নদীর পাড়। বদলে গিয়েছে নদীর গতিপথ৷ চেনা নদীর অচেনা রুপ দেখে অবাক নাগরাকাটার খয়েরবাড়ি কলোনি। আতঙ্ক সঙ্গী করেই বসবাস বাসিন্দাদের।
1/6
বিপর্যয়ের ধাক্কায় ভাঙতে শুরু করেছে নদীর পাড়। বদলে গিয়েছে নদীর গতিপথ৷ চেনা নদীর অচেনা রুপ দেখে অবাক নাগরাকাটার খয়েরবাড়ি কলোনি। আতঙ্ক সঙ্গী করেই বসবাস বাসিন্দাদের।
বিপর্যয়ের ধাক্কায় ভাঙতে শুরু করেছে নদীর পাড়। বদলে গিয়েছে নদীর গতিপথ৷ চেনা নদীর অচেনা রুপ দেখে অবাক নাগরাকাটার খয়েরবাড়ি কলোনি। আতঙ্ক সঙ্গী করেই বসবাস বাসিন্দাদের।
advertisement
2/6
খয়েরবাড়ি রাস্তার দু'ধারে এখনও পলি জমে আছে। তার মধ্যেই মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। সরকারি ত্রাণ আসছে। নদীর পাড়ে বসেছে অস্থায়ী রান্নার আয়োজন। তবে নদীর দিকে চোখ গেলেই ভয়ে সিঁটিয়ে যাচ্ছে নাগরাকাটার খয়েরবাড়ি।
খয়েরবাড়ি রাস্তার দু'ধারে এখনও পলি জমে আছে। তার মধ্যেই মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। সরকারি ত্রাণ আসছে। নদীর পাড়ে বসেছে অস্থায়ী রান্নার আয়োজন। তবে নদীর দিকে চোখ গেলেই ভয়ে সিঁটিয়ে যাচ্ছে নাগরাকাটার খয়েরবাড়ি।
advertisement
3/6
গ্রামের মাঝে ICDS সেন্টার। যার ভরসায় থাকত আশেপাশের একাধিক গ্রামের বাসিন্দারাও৷ নদীর ভয়াল গ্রাস সেই সেন্টার কেড়ে নিয়ে চলে গিয়েছে। কাঠামো পড়ে আছে নদীর মাঝে৷ ভিত থেকে সব নড়ে গিয়েছে। দেওয়াল জুড়ে অজস্র ফাটল। সামনের রাস্তা ভেঙে জলে চলে গিয়েছে।চেনা নদীর অচেনা রূপ দেখে অবাক খয়েরবাড়ি৷
গ্রামের মাঝে ICDS সেন্টার। যার ভরসায় থাকত আশেপাশের একাধিক গ্রামের বাসিন্দারাও৷ নদীর ভয়াল গ্রাস সেই সেন্টার কেড়ে নিয়ে চলে গিয়েছে। কাঠামো পড়ে আছে নদীর মাঝে৷ ভিত থেকে সব নড়ে গিয়েছে। দেওয়াল জুড়ে অজস্র ফাটল। সামনের রাস্তা ভেঙে জলে চলে গিয়েছে।চেনা নদীর অচেনা রূপ দেখে অবাক খয়েরবাড়ি৷
advertisement
4/6
দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, 'জন্মেছি এই গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরে এই গাঠিয়া নদীকে দেখে আসছি। কিন্তু এর এমন চেহারা আগে দেখিনি৷ এখন তো ভয় হয়।
দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, 'জন্মেছি এই গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরে এই গাঠিয়া নদীকে দেখে আসছি। কিন্তু এর এমন চেহারা আগে দেখিনি৷ এখন তো ভয় হয়।" নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে তিনি দেখাচ্ছিলেন, ওই যে নদীটা দেখছেন, সেটা আজ আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, সেখানে ছিল না। এখন ২৫-৩০ ফুট এগিয়ে এসেছে। নদীর পাড় বরাবর একাধিক জায়গায় ফাটল চওড়া হয়েছে। বহু জায়গায় বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। আর নদী পাড়ের বসবাসের বাড়িতেও ফাটল দেখা  দিয়েছে ঘরে-বাইরে।
advertisement
5/6
স্থানীয় বাসিন্দা করিমুল ইসলাম বলেন, 
স্থানীয় বাসিন্দা করিমুল ইসলাম বলেন, "ঘরের মেঝে আর দেওয়ালে ফাটল ধরেছে৷ এই মেঝের নীচটা ফাঁক হয়ে গিয়েছে। ভয় লাগে বৃষ্টি হলেই। আবার যদি কিছু হয়ে যায়। কারণ তলায় তো মাটি নেই। নদীপাড়ের বাসিন্দারা চেয়ে চেয়ে বসে আছে। কে জানে আবার কবে তাদের গ্রামে গাঠিয়া উজিয়ে এসে ধ্বংসলীলা চালায়।
advertisement
6/6
পদ্মশ্রী প্রাপক সমাজসেবী করিমুল হক বলেন,
পদ্মশ্রী প্রাপক সমাজসেবী করিমুল হক বলেন, "আমাদের এই ডুয়ার্স প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদে ভরা৷ সরকারের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ। আমাদের এই ডুয়ার্সকে সাহায্য করে রক্ষা করুন। না হলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সব হারিয়ে যাবে একদিন।"
advertisement
advertisement
advertisement