যাদের ঢাকের তালে মুখরিত হয় পুজো মণ্ডপ, দোলে ওঠে মন! সেই ঢাকিরাই কেন উৎসব থেকে বঞ্চিত? ডঙ্কায় বিষাদের সুর

Last Updated:
Dhakis in Durga Puja: ঢাকিদের মধ্যে কেউ কেউ শুধুমাত্র এই পেশার সঙ্গেই যুক্ত। সারা বছর প্রায় ঘরে বসেই কাটে, শুধু দুর্গাপুজো কিংবা কালীপুজোর সময় কাজের আশায় শহরে ছুটে আসেন। কিন্তু এ বছর বৃষ্টির ভ্রূকুটি চিন্তা বাড়িয়েছে ঢাকিদের।
1/5
শহরে দুর্গোৎসব মানেই শুধু আলো ঝলমলে প্যান্ডেল বা ভিড় জমজমাট মণ্ডপ নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে একশো ঢাকির গল্পও। প্রতি বছরের মতো এবারও পঞ্চমীর সন্ধ্যা নামতেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে এসে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনে জড়ো হলেন তারা। কেউ এসেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে, কেউ উত্তর ২৪ পরগনা, আবার কেউ মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম কিংবা বাঁকুড়া থেকে। গ্রামগঞ্জ ছেড়ে দূরপাল্লার ট্রেনে চড়ে এসে পৌঁছেছেন শহরের প্রাণকেন্দ্রে। (ছবি প তথ্য: ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
শহরে দুর্গোৎসব মানেই শুধু আলো ঝলমলে প্যান্ডেল বা ভিড় জমজমাট মণ্ডপ নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে একশো ঢাকির গল্পও। প্রতি বছরের মতো এবারও পঞ্চমীর সন্ধ্যা নামতেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে এসে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনে জড়ো হলেন তারা। কেউ এসেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে, কেউ উত্তর ২৪ পরগনা, আবার কেউ মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম কিংবা বাঁকুড়া থেকে। গ্রামগঞ্জ ছেড়ে দূরপাল্লার ট্রেনে চড়ে এসে পৌঁছেছেন শহরের প্রাণকেন্দ্রে। (ছবি ও তথ্য: ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
advertisement
2/5
ঢাকিদের মধ্যে কেউ কেউ শুধুমাত্র এই পেশার সঙ্গেই যুক্ত। সারা বছর প্রায় ঘরে বসেই কাটে, শুধু দুর্গাপুজো কিংবা কালীপুজোর সময় কাজের আশায় শহরে ছুটে আসেন। আবার অনেকে অন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও ঢাক বাজানো তাদের নেশা, তাই পুজো এলেই ধরা দেন এই ডাকেই। কিন্তু এ বছর বৃষ্টির ভ্রূকুটি যেন আরও এক নতুন চিন্তা বাড়িয়েছে। 
ঢাকিদের মধ্যে কেউ কেউ শুধুমাত্র এই পেশার সঙ্গেই যুক্ত। সারা বছর প্রায় ঘরে বসেই কাটে, শুধু দুর্গাপুজো কিংবা কালীপুজোর সময় কাজের আশায় শহরে ছুটে আসেন। আবার অনেকে অন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও ঢাক বাজানো তাদের নেশা, তাই পুজো এলেই ধরা দেন এই ডাকেই। কিন্তু এ বছর বৃষ্টির ভ্রূকুটি যেন আরও এক নতুন চিন্তা বাড়িয়েছে।
advertisement
3/5
ঢাকি কমল বৈষ্ণব জানালেন, 'ছয় বছর ধরে ঢাক বাজাচ্ছি। প্রতি বছরই শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনে আসি। কিন্তু এবারে এখনও পর্যন্ত কোনও বায়না পাইনি। আজ রাতটা খোলা আকাশের নিচেই কাটাতে হবে। যদি বায়না না হয়, খালি হাতেই ফিরতে হবে। পরিবার ছেড়ে এসে এভাবে ক্ষতি হলে খুব কষ্ট হয়'।
ঢাকি কমল বৈষ্ণব জানালেন, 'ছয় বছর ধরে ঢাক বাজাচ্ছি। প্রতি বছরই শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনে আসি। কিন্তু এবারে এখনও পর্যন্ত কোনও বায়না পাইনি। আজ রাতটা খোলা আকাশের নিচেই কাটাতে হবে। যদি বায়না না হয়, খালি হাতেই ফিরতে হবে। পরিবার ছেড়ে এসে এভাবে ক্ষতি হলে খুব কষ্ট হয়'।
advertisement
4/5
অন্যদিকে বিকাশ মাইতি বলেন, 'বহু বছর ধরে এই পেশায় আছি। ১২ মাস প্রায় ঘরে বসেই থাকি, শুধু পুজোর সময়েই ঢাক নিয়ে রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ঘুরি। এ বছর শিলিগুড়িতে এসেছি, কিন্তু এই বৃষ্টির জন্য খুব ভয় পাচ্ছি। যদি বায়না না হয়, তাহলে পুজোর পরে সংসার চালানোই মুশকিল হয়ে যাবে।”
অন্যদিকে বিকাশ মাইতি বলেন, 'বহু বছর ধরে এই পেশায় আছি। ১২ মাস প্রায় ঘরে বসেই থাকি, শুধু পুজোর সময়েই ঢাক নিয়ে রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ঘুরি। এ বছর শিলিগুড়িতে এসেছি, কিন্তু এই বৃষ্টির জন্য খুব ভয় পাচ্ছি। যদি বায়না না হয়, তাহলে পুজোর পরে সংসার চালানোই মুশকিল হয়ে যাবে।”
advertisement
5/5
ঢাকিদের এই দুঃখ–কষ্ট, আশা–হতাশার সঙ্গেই যেন মিশে থাকে পুজোর আবহ। মণ্ডপে বাজনার ঝংকারে দর্শনার্থীরা মাতোয়ারা হলেও, খালি হাতে ফিরে যাওয়ার ভয় তাদের চোখে মুখে স্পষ্ট। তবুও ঢাকের তালে শহর শিলিগুড়ির দুর্গোৎসবের ছন্দ শুরু হল এদিন থেকেই।(ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
ঢাকিদের এই দুঃখ–কষ্ট, আশা–হতাশার সঙ্গেই যেন মিশে থাকে পুজোর আবহ। মণ্ডপে বাজনার ঝংকারে দর্শনার্থীরা মাতোয়ারা হলেও, খালি হাতে ফিরে যাওয়ার ভয় তাদের চোখে মুখে স্পষ্ট। তবুও ঢাকের তালে শহর শিলিগুড়ির দুর্গোৎসবের ছন্দ শুরু হল এদিন থেকেই।
(ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
advertisement
advertisement
advertisement