কোভিড আবহে মাস খানেক বন্ধ থাকার পর ফের পর্যটকদের জন্যে খুলল ঘোরার দরজা। ৭৫ শতাংশ পর্যটক নিয়েই খুলল পর্যটন কেন্দ্র। শৈলশহর দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) চিড়িয়াখানা থেকে বাতাসিয়া লুপ, টাইগার হিল থেকে রক গার্ডেন্স। আবারও অনায়াসেই বেড়াতে আসতে পারবেন পর্যটকেরা। অন্যদিকে কালিম্পংয়ের ডেলো থেকে মিরিক লেক সর্বত্রই ঘুরতে যেতে পারবেন পর্যটকেরা। তবে মানতেই হবে কোভিড বিধি।
অর্থাৎ ভ্যাকসিনের দুই ডোজের সার্টিফিকেট সঙ্গে আনতে হবে পর্যটকদের। মাস্কে ঢাকতে হবে মুখ ও নাক এবং হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার নিয়মিত ব্যবহার বাধ্যতামূলক। কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় গত ৩ জানুয়ারি থেকে বন্ধ ছিল পর্যটনকেন্দ্র। অন্য সব পরিষেবা চালু, অথচ পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ কেন? প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছিলেন বিভিন্ন পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছিলেন। অবশেষে স্বস্তি পর্যটন শিল্পে। গতকাল থেকে পর্যটনকেন্দ্র খোলার নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। এতে খুশি পাহাড়ের হোটেল ব্যাবসায়ী থেকে গাড়ি চালকেরা।
খুশি ট্যুর অপারেটাররাও। সরকারি কোভিড বিধি মেনেই পর্যটকদের আহ্বান জানিয়েছেন এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা। নির্দেশিকা পাওয়ার পর থেকেই ব্যস্ততা তুঙ্গে হোটেল ব্যবসায়ীদের। ফের প্রতিটি রুম স্যানিটাইজ করছেন তাঁরা। সবে খোলার নির্দেশিকা জারি করায় বুকিংয়ের চাপ এই মূহূর্তে না থাকলেও ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরবে শৈলশহর (Darjeeling)। এই আশায় বুক বাঁধছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের আশা, মার্চে ফের পর্যটকরা পাহাড়মুখী হবে।
এদিকে পাহাড় জুড়ে বরফ পড়েই চলছে। ফের তুষারপাত হচ্ছে পাহাড়ে! কার্শিয়ংয়ের চটকপুর থেকে সান্দাকফু, ফালুট, টুমলিংয়ের টানা তুষারপাতের জেরে পাহাড়ে হাড়হিম করা ঠান্ডা এখন পাহাড়ে। রাজ্যের নয়া নির্দেশিকার পর চটকপুর, সান্দাকফুতে তুষারপাতে ফের যে ভিড় বাড়বে শৈলশহরে, তা অচিরেই বলে দেওয়া যায়। তুষারপাতের জেরে তাপমাত্রার পারদও অনেকটাই নেমে এসছে পাহাড়ে।