B*lack Ma*gic: স্বামীর শরীরে গিজগিজ করছে অসংখ্য সূঁচ! কুঁকড়ে যাচ্ছে যন্ত্রণায়, কালাজাদু নাকি মারণ রোগ? কী বলছেন চিকিৎসকরা? জানুন
- Published by:Shubhagata Dey
- hyperlocal
- Reported by:Jiam Momin
Last Updated:
B*lack Ma*gic: দেড় বছর আগে হায়দার যখন শরীরের যন্ত্রণায় ছটফট করছিল, তখন তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এক্স-রের ছবি দেখে সকলের চক্ষু চড়কগাছ। হায়দারের হাতে, পেটে, পিঠে কিলবিল করছে সূঁচ। এত সূঁচ কোথা থেকে এল কিছুই বুঝতে পারছিল না পরিবার।
advertisement
*অলৌকিক? না কালা জাদু? না চিকিৎসা বিজ্ঞানের কোন অংশ? মালদহের কালিয়াচকের সুলতানগঞ্জ মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা মুখ ও বধির যুবক হায়দার আলি (২৭)। ওই যুবকের স্ত্রী নাসিমা খাতুন জানান, কয়েক মাস আগে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের একটি নার্সিংহোমে পেট থেকে অপারেশন করে দুই দফায় মোট ৩৭টি সূঁচ স্বামীর শরীর থেকে বেরিয়েছিল।
advertisement
*সেই সূঁচ চিকিৎসকেরা তাঁদের দেখিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত বাড়ির ঘটিবটি বিক্রি করে চিকিৎসা করাচ্ছেন স্বামির। আর সম্ভব হচ্ছে না। পরিবার নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে। কীভাবে স্বামীর শরীরে সূঁচ তৈরি হচ্ছে, কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। কালাজাদু করে সূঁচ ঢোকানো হয়েছে দাবি পরিবারের। এমন অবস্থায় প্রশাসনের সহযোগিতার দিকে তাকিয়ে পরিবার।
advertisement
*এই বিষয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ্ত ভাদুড়ি জানান, আগে দেখতে হবে ওই যুবক কোনও সময় মাদকাসক্ত ছিল কিনা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ইনজেকশনের সিরিঞ্জ ব্যবহার করে নেশা করে কেউ কেউ। শরীরে সূঁচ ঢুকে থাকলে সেটার একটা প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে আগে রোগীকে আমরা মানসিক দিক দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখব। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি টিম ওই যুবকের বাড়িতে যাবে।
advertisement
*মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পীযূষ কান্তি মণ্ডল বলেন, মানবদেহে কখন সূঁচের জন্ম হয় না। যেহেতু ওই যুবক মানসিক রোগী, তাই হয় নিজে শরীরের সে সূঁচ ঢুকিয়েছে, না হলে যেহেতু ওই যুবক মুখ ও বধির তাই তাকে সুস্থ করে তোলার নাম করে কোন গুণিন বা ওঝা তার দেহে সূঁচ ঢুকিয়ে দিয়েছে। তবে সমস্তটাই এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
advertisement
*এদিকে হায়দারের শরীরের এই সূঁচ-কাণ্ড নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত পাড়া-প্রতিবেশীরা। স্থানীয় এক বাসিন্দা মহম্মদ আনারুল শেখ বলেন, এমন অসুখের কথা জীবনে কোনওদিন শুনিনি। জীবন্ত মানুষের শরীরে অসংখ্য সূঁচ, এটা ভাবতেও অবাক লাগছে। এক্স-রে ছবিতে হায়দারের দুই হাতে, পেটে অসংখ্য সূঁচ ধরা পড়েছে। এটা কী করে সম্ভব? এই ঘটনার পিছনে অবশ্যই কিছু অবৈজ্ঞানিক বিষয় জড়িয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন গ্রামবাসীরা।