মানিকন্ট্রোলে প্রকাশে খবর, ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে (এনএফএইচএস) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনও খুব কম মহিলা রয়েছেন যারা তাদের আয় নিজেরা খরচ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন৷ ১৫ বছর আগের তুলনায় ব্যয় নির্ধারণে নারী ও পুরুষের মতামত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে প্রতি ৬ জনের মধ্যে একজন বিবাহিত মহিলা নিজের উপার্জন নিজের মতো করে ব্যয় করতে পারেন। আশ্চর্যের বিষয় হল, ১৫ বছরেও এ অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। এখনও স্ত্রীর উপার্জিত অর্থ কোন খাতে, কীভাবে খরচ হবে, তার সিদ্ধান্ত নেন স্বামী৷
২০১৯ এবং ২০২১ সালের মধ্যে এই সমীক্ষা হয়৷ দেখা গিয়েছে যে শুধুমাত্র ১৮ শতাংশ বিবাহিত মহিলা তাদের উপার্জিত অর্থের খরচ নির্ধারণ করেন। একই ভাবে ২০০৫-২০০৬ সালের মধ্যে পরিচালিত সমীক্ষায় এই সংখ্যা ছিল ২৪ শতাংশ। ফলে স্বামীর সঙ্গে ব্যয় নির্ধারণের ক্ষেত্রে মহিলাদের সংখ্যা ০.১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মোট সংখ্যা ৬৭ শতাংশে পৌঁছেছে।
১৫ বছর আগের থেকেও খারাপ পরিস্থিতি
২০০৫-০৬ সালে পরিচালিত সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সি বিবাহিত নারীদের মধ্যে কর্মরত নারীর সংখ্যা ছিল ৪৩ শতাংশ, যা চলতি বছরের প্রকাশিত প্রতিবেদনে নেমে এসেছে ৩২ শতাংশে। তবে এটি আগের সমীক্ষার থেকে ১ শতাংশ বেশি। তখন কর্মরত বিবাহিত নারীর সংখ্যা ছিল ৩১ শতাংশ। শহর ও গ্রামীণ উভয় ক্ষেত্রেই তাদের উপার্জন ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া মহিলাদের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
কমেছে বিবাহিত মহিলাদের আয়
আরও দেখা গিয়েছে, বেতনভোগী পুরুষের উপার্জন ব্যয় করার সিদ্ধান্তে স্ত্রীদের অংশ ক্রমাগত বাড়ছে। ১৫ বছর আগের সমীক্ষার তথ্যে দেখা গিয়েছিল যে, ৬২ শতাংশ, এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ শতাংশে। মজার ব্যাপার হল ১৫ বছর আগে যেখানে পুরুষের নিজের উপার্জন খরচ করার জন্য নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সংখ্যা ছিল ২৫ শতাংশ, এখন তা নেমে এসেছে ২১ শতাংশে। তবে ৬০ শতাংশ নারী রয়েছেন যারা স্বামীর উপার্জন খরচ করার সব সিদ্ধান্ত নেন।
পুরুষের রোজগারে মহিলাদের অধিকার
সমীক্ষা থেকে বেরিয়ে আসা তথ্য বলছে যে, বাড়িতে কেনাকাটা করার ক্ষেত্রে, মহিলাদের সিদ্ধান্ত প্রাধান্য পায়। এই ধরনের ক্ষেত্রে, শুধুমাত্র কয়েকজন পুরুষ একা সিদ্ধান্ত নেন৷ স্বামী এবং স্ত্রীর যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাত্রা ১৫বছর আগে ছিল ৪৪ শতাংশ৷ এখন তা এসে দাঁড়িয়েছে ৭২ শতাংশে। পুরুষদের মধ্যে মাত্র ১৮ শতাংশ বলেছেন যে তাদের স্ত্রীদের তাদের উপার্জন কীভাবে ব্যয় করতে হবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে, যা ১৫বছর আগে ২০ শতাংশ ছিল।