হাসপাতালে প্রসবের সময়ে গায়ে হাত! জোর করে চাপা হল স্ফীতোদর...নবজাতক ভূমিষ্ঠ হতেই হাহাকার!

রাত তখন ৩টে। প্রসবযন্ত্রণায় ছটফট করছেন শিবানী বৈভব। যে কোনও সময় প্রসব হতে পারে। তাঁকে ভর্তি করানো হল হাসাপাতালে। যদিও হাসপাতাল জানাল অন্য কথা। 

চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, সব রিপোর্ট স্বাভাবিক এবং সকাল ১০টার মধ্যে প্রসব হতে পারে। কিন্তু তার পর যা হল...শিউরে উঠবেন! 

তবে পরিবারের অভিযোগ, রাতভর অসহ্য প্রসব যন্ত্রণার পরেও হাসপাতালের কোনও নার্স বা চিকিৎসকই তাঁকে দেখতে আসেননি। বারবার ডাকলেও কেউ সাড়া দেয়নি।

পরিবারের দাবি অনুযায়ী, রাত ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কেউ কোনও চিকিৎসা করেনি বা পরীক্ষা করেননি। শেষপর্যন্ত বিকেল ৫টার দিকে যখন মহিলার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়ে পড়ে, তখন একজন এসে পরীক্ষা করেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।

পরিবারের আরও অভিযোগ, প্রসবের সময় শিবানীর সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হয়। প্রসূতিকে আঘাত করে গালে চড় মারা হয়, পেট জোর করে চাপা হয় এবং অযোগ্য স্টাফ দ্বারা পরীক্ষা করানো হয়।

অবশেষে বিকেল ৫:৩০ নাগাদ প্রসব হয়, কিন্তু তখন চিকিৎসকরা জানান, নবজাতকের হৃদস্পন্দন নেই—শিশুটি মৃত।

এই মৃত্যুর জন্য হাসপাতালের গাফিলতি ও অবহেলাই দায়ী, এমনটাই দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা দোষী চিকিৎসক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অত্যাচারের অভিযোগে মামলা রুজুর দাবি জানিয়েছেন।

এখন গোটা ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি উঠেছে। শিশুর মৃত্যু এবং প্রসূতির সঙ্গে অমানবিক ব্যবহারের এই অভিযোগ নতুন করে হাসপাতালগুলোর প্রতি নাগরিক আস্থাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।

মহারাষ্ট্রের ওয়াশিম জেলার এক হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। চরম গাফিলতির অভিযোগে অন্তঃসত্ত্বা মহিলার নবজাতক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের তরফে ‘অমানবিক আচরণের’ অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ পরিবার দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে ২ আগস্ট, মহারাষ্ট্রের পালসাখেড গ্রামের বাসিন্দা শিবানী বৈভব গাভানে-কে গভীর রাত ৩টায় ভর্তি করা হয় ওয়াশিম জেলার মহিলা হাসপাতালে।