বৃহন্নলাদের শেষকৃত্য হয় মাঝরাতে! কেউ থাকতে পারে না, পিছনে রয়েছে বড় রহস্য

অনেকেই জানেন না, বৃহন্নলাদের শেষকৃত্য সব সময় মাঝরাতেই সম্পন্ন হয়। কোনও সাধারণ মানুষ সেই শেষযাত্রা ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে না।

এমনিতেই বৃহন্নলাদের জীবনে সাধারণ মানুষদের প্রবেশ কার্যত নিষেধ। এমনকী তাঁদের মৃত্যুর পর শেষকৃত্যেও অন্যদের প্রবেশ অবাধ নয়।

অনেকে বিশ্বাস করেন, বৃহন্নলাদের আধ্যাত্মিক শক্তি রয়েছে, তাই তাঁরা আগে থেকে মৃত্যুকে অনুভব করতে পারেন। মৃত্যু হবে, এটা জানার পর তাঁরা কোথাও যাওয়া-আসা বন্ধ করে দেন। এমনকী খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেন। এই সময় তাঁরা শুধু জল পান করেন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন নিজেদের এবং অন্য বৃহন্নলাদের জন্য। প্রচলিত বিশ্বাস রয়েছে, মৃত্যুর আগে একজন বৃহন্নলার প্রার্থনা খুব কার্যকর।

বৃহন্নলা সম্প্রদায় ছাড়া অন্য কোনও বহিরাগত ব্যক্তি যেন শেষকৃত্যে না থাকে, তা নিশ্চিত করা হয়। মৃতদেহ কোথায় দাফন করা হচ্ছে, সেই তথ্য যাতে গোপন থাকে তার জন্যও কর্তৃপক্ষকে আগেভাগে জানিয়ে দেওয়া হয়।

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় মৃতদেহ চার কাঁধে বহন করার প্রথা রয়েছে। তবে বৃহন্নলাদের মৃতদেহ শেষকৃত্যের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় বহন করা হয়। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন, সাধারণ মানুষ মৃত বৃহন্নলার দেহ দেখলে তাঁর পুনরায় বৃহন্নলা হয়ে জন্মানোর সম্ভাবনা থাকে।

কোনও বৃহন্নলার মৃত্যুর পর সম্প্রদায়ের বয়স্ক বৃহন্নলারা সপ্তাহব্যপী ব্রত রাখেন। প্রার্থনা করা হয় যাতে মৃত বৃহন্নলার জীবিতকালে কোনও পাপ বা অপরাধ থাকলে তা যেন ক্ষমার যোগ্য হয়।

বৃহন্নলাদের দেহ দাফন করা হয়। সাদা কাপড়ে মুড়ে। মুখে দেওয়া হয় গঙ্গা জল।

এক গবেষণায় জানা গিয়েছিল, সাধারণ মানুষদের থেকে বেশিদিন বাঁচেন বৃহন্নলারা। তাঁদের গড় আয়ু কিছুটা বেশি হয়।