Chandrayaan 2: গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্র অভিযান, নজির গড়তে চলেছে এই সব ক্ষেত্রে
Last Updated:
ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থা ইসরোর মুকুটে আরেক নতুন পালক জুড়তে চলেছে চন্দ্রযান-দুই। আজ ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রযান অভিযান ৷ প্রায় ১০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি এই প্রজেক্ট ৷ যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় হলিউড ব্লকব্লাস্টার অ্যাভেনঞ্জার্স এন্ড গেমের তৈরি খরচ থেকেও অনেক কম ৷ মার্ভেল সুপার হিরোদের নিয়ে তৈরি এই সিনেমার বাজেট ছিল ২,১৬৯ কোটি টাকা ৷ মূল কান্ডারী দুই ভারতীয় নারী ৷ প্রজেক্ট ডিরেক্টর মুথাইয়া বনিতা ও উৎক্ষেপণের মিশন ডিরেক্টর রীতু কারিঢাল ৷ এমনকী চন্দ্রাভিযানের গোটা টিমের মধ্যে ৩০ জনই মহিলা ৷
advertisement
advertisement
advertisement
চন্দ্রযান-এক অভিযানেই চাঁদের কক্ষপথে ঘুরেছিল অরবিটার। বর্ণালী বিক্ষণ করে জানিয়েছিল উত্তরমেরু অঞ্চলে প্রচুর পরিমান জলের উপস্থিতি। এবার আর কক্ষপথে ঘোরা নয়। সোজা নামছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর রুক্ষ জমিতে। যেখানে সূর্যের আলো পৌছায় না। ফলে লুকিয়ে থাকতে পারে ফসিলাইজড ডাটা। রোভার যান ‘প্রজ্ঞান’ চাঁদে ঘুরবে ১৪ দিন ৷ জানা যাবে চাঁদের জন্মকথা ৷
advertisement
অনেকগুলো কারণেই প্রথমস্থানের দাবিদার হতে পারে চন্দ্রযান-দুই অভিযান। ১) প্রথম চন্দ্র অভিযান যাতে স্বয়ংক্রিয় যান চাঁদের দক্ষিণমেরুতে নামবে, যে অংশ অনেকটাই আমাদের দৃষ্টির বাইরে থাকে। এর আগে সব ল্যান্ডিংই চাঁদের বিষুবরেখা অঞ্চলে হয়েছিল। ২) প্রথম ভারতীয় চন্দ্র অভিযান, যার প্রধান চারটি অংশ উপগ্রহ, উৎক্ষেপণ যান, ল্যান্ডার আর রোভার সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। ৩) প্রথম ভারতীয় অভিযান, কোন বৈদেশিক প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়াই, খতিয়ে দেখবে চাঁদের পৃষ্ঠদেশ, করবে জিও-ম্যাপিং। সংগ্রহ করবে মাটি ধুলো বাষ্প। ৪) ভারতই চতুর্থ দেশ হতে যাচ্ছে যাদের স্যাটেলাইট চাঁদে সফট ল্যান্ডিং করবে।
advertisement
advertisement
৬ই সেপ্টেম্বর থেকে টানা ১৪/১৫ দিন চাঁদের মাটির নমুনা সংগ্রহ বিশ্লেষণ আর সে সব তথ্য পৃথিবীতে পাঠানো হবে। চাঁদের বুকে সূর্যের আলো থাকার সময়টুকুই কাজ করতে পারবে বিক্রম আর প্রজ্ঞান। মানুষের সামনে খুলে যাবে বিজ্ঞানের আরেক দরজা। মাত্র ১৪/১৫দিন কেন কাজ করতে পারবে বিক্রম আর প্রজ্ঞান? কারণ পৃথিবীর সাড়ে চোদ্দ দিন চাঁদের একদিনের সমান। আর ওই সময়টুকুই সোলার সেল সক্রিয় থাকবে স্বয়ংক্রিয় দুই যানের।