True Love: বিয়ের সানাই বাজার আগেই বাগদত্তার পরণে উঠল থান! এয়ারফোর্স পাইলটের কফিনের ওপর আকুলিবিকুলি কান্না হবু বউয়ের
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
True Love: বাগদান করে ডিউটিতে যোগ দিয়েই এল মৃত্যু সংবাদ, হাউহাউ করে শহিদের মৃতদেহের ওপর কান্নায় ভেঙে পড়লেন সুন্দরী বাগদত্তা, তারপর... 'বেবি তু আয় নাহি মুঝে লেনে...তু বোল কর গয়া থা কি ম্যায় তুঝে লেনে আউঙ্গা'...এয়ারফোর্স অফিসারের বাগদত্তার সিঁথিতে সিঁদুর
রেওয়ারি। 'বেবি তু আয় নাহি মুঝে লেনে...তু বোল কর গয়া থা কি ম্যায় তুঝে লেনে আউঙ্গা'। শহিদ পাইলট সিদ্ধার্থের পার্থিব শরীরের সামনে তাঁর বাগদত্তা সোনিয়া বারবার এই কথাই বলছিলেন। শহীদের কফিন ভেসে যাচ্ছিল চোখের জলে৷ তাঁর পাশে দাঁড়ানো এয়ারফোর্সের জওয়ানরাও সোনিয়ার কান্না দেখে নিজেদের চোখের জল আটকাতে পারছিলেন না। সবার চোখই জলে ভরেছিল৷
advertisement
advertisement
advertisement
গুজরাতের জামনগরে হওয়া জাগুয়ার জেট ফাইটার ক্র্যাশে হরিয়ানার রেওয়ারির গ্রাম ভালখি মাজরার ২৮ বছর বয়সী পাইলট সিদ্ধার্থ যাদব শহিদ হন। শুক্রবার তাঁর পার্থিব শরীর তাঁর গ্রামে পৌঁছায় এবং সেখানে তাকে সামরিক সম্মানের সঙ্গে শেষ বিদায় জানানো হয়। তার বাগদত্তা সোনিয়াও নিজের প্রাণের প্রিয় মানুষকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁর মৃতদেহের পাশে বসে হাউহাউ করে কাঁদছিলেন। উল্লেখ্য, ২৩ মার্চ সিদ্ধার্থ এবং সোনিয়ার বাগদান হয়েছিল এবং ২ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে তাঁদের বিয়ে দিন ঠিক হয়েছিল। তবে, মা এবং বাবার ছেলেকে বিয়ের পোশাকে দেখার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হল যখন তাঁদের ছেলের মৃতদেহ গ্রামে আসে৷
advertisement
advertisement
সিদ্ধার্থের ১০ দিন আগেই বাগদান হয়েছিল
শেষকৃত্যের সময় তার বাগদত্তাও শ্মশানঘাটে উপস্থিত ছিলেন। এই সময় তিনি পার্থিব দেহ দেখে কাঁদছিলেন এবং বারবার অনুরোধ করছিলেন, "প্লিজ কেউ একবার আমাকে ওঁর মুখ দেখাও।" বাগদত্তা সোনিয়া বলেন, "সিদ্ধার্থ আমার গর্ব।" সিদ্ধার্থের বিয়ে ২ নভেম্বর হওয়ার কথা ছিল, যার জন্য বাড়িতে প্রস্তুতি চলছিল।
শেষকৃত্যের সময় তার বাগদত্তাও শ্মশানঘাটে উপস্থিত ছিলেন। এই সময় তিনি পার্থিব দেহ দেখে কাঁদছিলেন এবং বারবার অনুরোধ করছিলেন, "প্লিজ কেউ একবার আমাকে ওঁর মুখ দেখাও।" বাগদত্তা সোনিয়া বলেন, "সিদ্ধার্থ আমার গর্ব।" সিদ্ধার্থের বিয়ে ২ নভেম্বর হওয়ার কথা ছিল, যার জন্য বাড়িতে প্রস্তুতি চলছিল।
advertisement
শহিদের মা সুশীলা যাদব এবং বোন খুশিও এই সময় কাঁদছিলেন। মা সুশীলা বলেন, "আমার ছেলে আমার গর্ব। আমি দেশের প্রতিটি মাকে বলতে চাই যে তারা তাদের ছেলেদের দেশসেবার জন্য সেনাবাহিনীতে পাঠান। আমি তাঁর মা হওয়ার গর্ব অনুভব করছি, সে দেশের জন্য প্রাণ দিতে ভয় পায়নি। আমার পুরো পরিবার সেনাবাহিনীতে ছিল, এটা জানার পরেও আমি তাকে সেনাবাহিনীতে পাঠিয়েছি। তাঁর শহিদ হওয়া আমার কাছে গর্বের৷ " তিনি কাঁদতে কাঁদতে কাঁপা গলায় বলেন, "তাঁর স্বভাবের কথা আমি বলতে পারব না, সে কেমন ছিল।"
advertisement
সিদ্ধার্থের বাবা সুশীল যাদব বলেন, "তাঁর স্বপ্ন ছিল যে ছেলে এয়ার স্টাফের চিফ হয়ে বাড়ি আসবে। প্রতিটি এয়ারফোর্স অফিসারের বাবার এই স্বপ্ন থাকে, তাঁরও এই স্বপ্ন ছিল। মৃত পাইলটের বাবা জানান ২ নভেম্বর বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। অন্যদিকে, উইং কমান্ডার সচিন চন্দ্র বলেন, ‘‘আমার পাইলটের প্রতি বিশেষ ভালোবাসা আছে এবং আমার ছেলেও পাইলট। সিদ্ধার্থ যাদব একজন মেধাবী এবং সাহসী পাইলট ছিলেন। তিনি দেশের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন।’’
advertisement
তিন দিন আগেই ছুটি থেকে কাজে ফিরেছিলেন
উল্লেখ্য, সিদ্ধার্থ যাদব ২০১৭ সালে এয়ারফোর্সে যোগ দিয়েছিলেন। সিদ্ধার্থের বাবা সুশীল কুমার এয়ারফোর্স থেকে অবসর নিয়েছেন। অন্যদিকে, দাদা রঘুবীর সিং এবং প্রপিতামহ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। তাঁর পরিবারে মা-বাবা ছাড়াও, ছোট বোন আছে৷ দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার আগে ৩১ মার্চ সিদ্ধার্থ বাড়ি থেকে ডিউটিতে যোগ দিয়েছিলেন৷
উল্লেখ্য, সিদ্ধার্থ যাদব ২০১৭ সালে এয়ারফোর্সে যোগ দিয়েছিলেন। সিদ্ধার্থের বাবা সুশীল কুমার এয়ারফোর্স থেকে অবসর নিয়েছেন। অন্যদিকে, দাদা রঘুবীর সিং এবং প্রপিতামহ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। তাঁর পরিবারে মা-বাবা ছাড়াও, ছোট বোন আছে৷ দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার আগে ৩১ মার্চ সিদ্ধার্থ বাড়ি থেকে ডিউটিতে যোগ দিয়েছিলেন৷