True Love: বিয়ের সানাই বাজার আগেই বাগদত্তার পরণে উঠল থান! এয়ারফোর্স পাইলটের কফিনের ওপর আকুলিবিকুলি কান্না হবু বউয়ের

Last Updated:
True Love: বাগদান করে ডিউটিতে যোগ দিয়েই এল মৃত্যু সংবাদ, হাউহাউ করে শহিদের মৃতদেহের ওপর কান্নায় ভেঙে পড়লেন সুন্দরী বাগদত্তা, তারপর... 'বেবি তু আয় নাহি মুঝে লেনে...তু বোল কর গয়া থা কি ম্যায় তুঝে লেনে আউঙ্গা'...এয়ারফোর্স অফিসারের বাগদত্তার সিঁথিতে সিঁদুর
1/9
রেওয়ারি। 'বেবি তু আয় নাহি মুঝে লেনে...তু বোল কর গয়া থা কি ম্যায় তুঝে লেনে আউঙ্গা'। শহিদ পাইলট সিদ্ধার্থের পার্থিব শরীরের সামনে তাঁর বাগদত্তা সোনিয়া বারবার এই কথাই বলছিলেন। শহীদের কফিন ভেসে যাচ্ছিল চোখের জলে৷ তাঁর পাশে দাঁড়ানো এয়ারফোর্সের জওয়ানরাও সোনিয়ার কান্না দেখে নিজেদের চোখের জল আটকাতে পারছিলেন না। সবার চোখই জলে ভরেছিল৷
রেওয়ারি। 'বেবি তু আয় নাহি মুঝে লেনে...তু বোল কর গয়া থা কি ম্যায় তুঝে লেনে আউঙ্গা'। শহিদ পাইলট সিদ্ধার্থের পার্থিব শরীরের সামনে তাঁর বাগদত্তা সোনিয়া বারবার এই কথাই বলছিলেন। শহীদের কফিন ভেসে যাচ্ছিল চোখের জলে৷ তাঁর পাশে দাঁড়ানো এয়ারফোর্সের জওয়ানরাও সোনিয়ার কান্না দেখে নিজেদের চোখের জল আটকাতে পারছিলেন না। সবার চোখই জলে ভরেছিল৷
advertisement
2/9
  কিন্তু যতই কান্নাকাটি হোক, সিদ্ধার্থ যাদব পৃথিবীকে বিদায় জানিয়ে অন্য দুনিয়ায় চলে গেছেন৷ সন্তানহারা মা  বাবা বাকরুদ্ধ৷  আত্মীয়স্বজন, সবার চোখেই জল।
কিন্তু যতই কান্নাকাটি হোক, সিদ্ধার্থ যাদব পৃথিবীকে বিদায় জানিয়ে অন্য দুনিয়ায় চলে গেছেন৷ সন্তানহারা মা  বাবা বাকরুদ্ধ৷  আত্মীয়স্বজন, সবার চোখেই জল।
advertisement
3/9
পুরো গ্রামও তাঁদের প্রিয় ছেলেকে শেষ বিদায় জানাতে ভিড় জমিয়েছিল। শহিদ জওয়ান তাঁর কীর্তির মাধ্যমে অমর থাকবে তাই সিদ্ধার্থ যাদব অমর রহে ধ্বনি উঠছিল৷  লেফটেন্যান্ট পাইলট সিদ্ধার্থ যাদব অনন্ত যাত্রায় পাড়ি দিয়েছেন। তার জীবনে মাত্র ২৮ বছরই লেখা ছিল। তবে এত কম বয়সে চলে গেলেও তিনি তাঁর নাম অমর করে গেছেন।
পুরো গ্রামও তাঁদের প্রিয় ছেলেকে শেষ বিদায় জানাতে ভিড় জমিয়েছিল। শহিদ জওয়ান তাঁর কীর্তির মাধ্যমে অমর থাকবে তাই সিদ্ধার্থ যাদব অমর রহে ধ্বনি উঠছিল৷  লেফটেন্যান্ট পাইলট সিদ্ধার্থ যাদব অনন্ত যাত্রায় পাড়ি দিয়েছেন। তার জীবনে মাত্র ২৮ বছরই লেখা ছিল। তবে এত কম বয়সে চলে গেলেও তিনি তাঁর নাম অমর করে গেছেন।
advertisement
4/9
গুজরাতের জামনগরে হওয়া জাগুয়ার জেট ফাইটার ক্র্যাশে হরিয়ানার রেওয়ারির গ্রাম ভালখি মাজরার ২৮ বছর বয়সী পাইলট সিদ্ধার্থ যাদব শহিদ হন। শুক্রবার তাঁর পার্থিব শরীর তাঁর গ্রামে পৌঁছায় এবং সেখানে তাকে সামরিক সম্মানের সঙ্গে শেষ বিদায় জানানো হয়। তার বাগদত্তা সোনিয়াও নিজের প্রাণের প্রিয় মানুষকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁর মৃতদেহের পাশে বসে হাউহাউ করে কাঁদছিলেন। উল্লেখ্য, ২৩ মার্চ সিদ্ধার্থ এবং সোনিয়ার বাগদান হয়েছিল এবং ২ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে তাঁদের বিয়ে দিন ঠিক হয়েছিল। তবে, মা এবং বাবার ছেলেকে বিয়ের পোশাকে দেখার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হল যখন তাঁদের ছেলের মৃতদেহ গ্রামে আসে৷
গুজরাতের জামনগরে হওয়া জাগুয়ার জেট ফাইটার ক্র্যাশে হরিয়ানার রেওয়ারির গ্রাম ভালখি মাজরার ২৮ বছর বয়সী পাইলট সিদ্ধার্থ যাদব শহিদ হন। শুক্রবার তাঁর পার্থিব শরীর তাঁর গ্রামে পৌঁছায় এবং সেখানে তাকে সামরিক সম্মানের সঙ্গে শেষ বিদায় জানানো হয়। তার বাগদত্তা সোনিয়াও নিজের প্রাণের প্রিয় মানুষকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁর মৃতদেহের পাশে বসে হাউহাউ করে কাঁদছিলেন। উল্লেখ্য, ২৩ মার্চ সিদ্ধার্থ এবং সোনিয়ার বাগদান হয়েছিল এবং ২ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে তাঁদের বিয়ে দিন ঠিক হয়েছিল। তবে, মা এবং বাবার ছেলেকে বিয়ের পোশাকে দেখার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হল যখন তাঁদের ছেলের মৃতদেহ গ্রামে আসে৷
advertisement
5/9
শুক্রবার পৈতৃক গ্রাম ভালখি মাজরায় বাবা সুশীল যাদব ২৮ বছর বয়সী শহীদ ছেলের চিতায় মুখাগ্নি করেন। এই সময় এয়ারফোর্সের দল গান স্যালুট জানায়। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সিদ্ধার্থ ২ এপ্রিল জামনগরে হওয়া জাগুয়ার ক্র্যাশে শহিদ হন। তিনি প্লেন ক্র্যাশে শহিদ হলেও তাঁর সঙ্গীকে তিনি বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন৷
শুক্রবার পৈতৃক গ্রাম ভালখি মাজরায় বাবা সুশীল যাদব ২৮ বছর বয়সী শহীদ ছেলের চিতায় মুখাগ্নি করেন। এই সময় এয়ারফোর্সের দল গান স্যালুট জানায়। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সিদ্ধার্থ ২ এপ্রিল জামনগরে হওয়া জাগুয়ার ক্র্যাশে শহিদ হন। তিনি প্লেন ক্র্যাশে শহিদ হলেও তাঁর সঙ্গীকে তিনি বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন৷
advertisement
6/9
সিদ্ধার্থের ১০ দিন আগেই বাগদান হয়েছিলশেষকৃত্যের সময় তার বাগদত্তাও শ্মশানঘাটে উপস্থিত ছিলেন। এই সময় তিনি পার্থিব দেহ দেখে কাঁদছিলেন এবং বারবার অনুরোধ করছিলেন, "প্লিজ কেউ একবার আমাকে ওঁর মুখ দেখাও।" বাগদত্তা সোনিয়া বলেন, "সিদ্ধার্থ আমার গর্ব।" সিদ্ধার্থের বিয়ে ২ নভেম্বর হওয়ার কথা ছিল, যার জন্য বাড়িতে প্রস্তুতি চলছিল।
সিদ্ধার্থের ১০ দিন আগেই বাগদান হয়েছিল
শেষকৃত্যের সময় তার বাগদত্তাও শ্মশানঘাটে উপস্থিত ছিলেন। এই সময় তিনি পার্থিব দেহ দেখে কাঁদছিলেন এবং বারবার অনুরোধ করছিলেন, "প্লিজ কেউ একবার আমাকে ওঁর মুখ দেখাও।" বাগদত্তা সোনিয়া বলেন, "সিদ্ধার্থ আমার গর্ব।" সিদ্ধার্থের বিয়ে ২ নভেম্বর হওয়ার কথা ছিল, যার জন্য বাড়িতে প্রস্তুতি চলছিল।
advertisement
7/9
শহিদের মা সুশীলা যাদব এবং বোন খুশিও এই সময় কাঁদছিলেন। মা সুশীলা বলেন, "আমার ছেলে আমার গর্ব। আমি দেশের প্রতিটি মাকে বলতে চাই যে তারা তাদের ছেলেদের দেশসেবার জন্য সেনাবাহিনীতে পাঠান। আমি তাঁর মা হওয়ার গর্ব অনুভব করছি, সে দেশের জন্য প্রাণ দিতে ভয় পায়নি। আমার পুরো পরিবার সেনাবাহিনীতে ছিল, এটা জানার পরেও আমি তাকে সেনাবাহিনীতে পাঠিয়েছি। তাঁর শহিদ হওয়া আমার কাছে গর্বের৷ "  তিনি কাঁদতে কাঁদতে কাঁপা গলায় বলেন, "তাঁর স্বভাবের কথা আমি বলতে পারব না, সে কেমন ছিল।"
শহিদের মা সুশীলা যাদব এবং বোন খুশিও এই সময় কাঁদছিলেন। মা সুশীলা বলেন, "আমার ছেলে আমার গর্ব। আমি দেশের প্রতিটি মাকে বলতে চাই যে তারা তাদের ছেলেদের দেশসেবার জন্য সেনাবাহিনীতে পাঠান। আমি তাঁর মা হওয়ার গর্ব অনুভব করছি, সে দেশের জন্য প্রাণ দিতে ভয় পায়নি। আমার পুরো পরিবার সেনাবাহিনীতে ছিল, এটা জানার পরেও আমি তাকে সেনাবাহিনীতে পাঠিয়েছি। তাঁর শহিদ হওয়া আমার কাছে গর্বের৷ "  তিনি কাঁদতে কাঁদতে কাঁপা গলায় বলেন, "তাঁর স্বভাবের কথা আমি বলতে পারব না, সে কেমন ছিল।"
advertisement
8/9
সিদ্ধার্থের বাবা সুশীল যাদব বলেন, "তাঁর স্বপ্ন ছিল যে ছেলে এয়ার স্টাফের চিফ হয়ে বাড়ি আসবে। প্রতিটি এয়ারফোর্স অফিসারের বাবার এই স্বপ্ন থাকে, তাঁরও এই স্বপ্ন ছিল। মৃত পাইলটের বাবা জানান  ২ নভেম্বর বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। অন্যদিকে, উইং কমান্ডার সচিন চন্দ্র বলেন, ‘‘আমার পাইলটের প্রতি বিশেষ ভালোবাসা আছে এবং আমার ছেলেও পাইলট। সিদ্ধার্থ যাদব একজন মেধাবী এবং সাহসী পাইলট ছিলেন। তিনি দেশের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন।’’
সিদ্ধার্থের বাবা সুশীল যাদব বলেন, "তাঁর স্বপ্ন ছিল যে ছেলে এয়ার স্টাফের চিফ হয়ে বাড়ি আসবে। প্রতিটি এয়ারফোর্স অফিসারের বাবার এই স্বপ্ন থাকে, তাঁরও এই স্বপ্ন ছিল। মৃত পাইলটের বাবা জানান  ২ নভেম্বর বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। অন্যদিকে, উইং কমান্ডার সচিন চন্দ্র বলেন, ‘‘আমার পাইলটের প্রতি বিশেষ ভালোবাসা আছে এবং আমার ছেলেও পাইলট। সিদ্ধার্থ যাদব একজন মেধাবী এবং সাহসী পাইলট ছিলেন। তিনি দেশের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন।’’
advertisement
9/9
তিন দিন আগেই ছুটি থেকে কাজে ফিরেছিলেনউল্লেখ্য, সিদ্ধার্থ যাদব ২০১৭ সালে এয়ারফোর্সে যোগ দিয়েছিলেন। সিদ্ধার্থের বাবা সুশীল কুমার এয়ারফোর্স থেকে অবসর নিয়েছেন। অন্যদিকে, দাদা রঘুবীর সিং এবং প্রপিতামহ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। তাঁর পরিবারে মা-বাবা ছাড়াও, ছোট বোন আছে৷  দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার আগে ৩১ মার্চ সিদ্ধার্থ বাড়ি থেকে ডিউটিতে যোগ দিয়েছিলেন৷
তিন দিন আগেই ছুটি থেকে কাজে ফিরেছিলেন
উল্লেখ্য, সিদ্ধার্থ যাদব ২০১৭ সালে এয়ারফোর্সে যোগ দিয়েছিলেন। সিদ্ধার্থের বাবা সুশীল কুমার এয়ারফোর্স থেকে অবসর নিয়েছেন। অন্যদিকে, দাদা রঘুবীর সিং এবং প্রপিতামহ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। তাঁর পরিবারে মা-বাবা ছাড়াও, ছোট বোন আছে৷  দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার আগে ৩১ মার্চ সিদ্ধার্থ বাড়ি থেকে ডিউটিতে যোগ দিয়েছিলেন৷
advertisement
advertisement
advertisement