Waqf Bill News: মাঝরাতে পাশ ওয়াকফ বিল! এই বিল আসলে কী? আগে কী ছিল, এখন কী হবে? বিরোধিতাই বা কেন! সহজে জানুন পুরোটা
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Waqf Bill News: লোকসভায় পাশ হলেও ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে তোলপাড় সংসদ থেকে শুরু করে গোটা দেশ। বিতর্কে অংশ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ওয়াকফ সংশোধনী বিল দেশের মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।
advertisement
লোকসভায় পাশ হলেও ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে তোলপাড় সংসদ থেকে শুরু করে গোটা দেশ। বিতর্কে অংশ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ওয়াকফ সংশোধনী বিল দেশের মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। কেন্দ্রীয় সরকারের অবশ্য দাবি, নতুন আইন হলে ওয়াকফ নিয়ে দুর্নীতি দূর হবে। দেশের মুসলিমরাই আসলে উপকৃত হবেন।
advertisement
কিন্তু কী এই ওয়াকফ? আসলে মুসলিমরা তাদের সম্পত্তির কিছুটা অংশ ধর্মীয় কাজকর্মে ও মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য দান করে থাকেন। খুব সহজ করে বললে এটাই হল ওয়াকফ। এই সম্পত্তির আয় থেকে মসজিদের খরচ চালানো হতে পারে, শিক্ষার কাজে ব্যবহার হতে পারে, অনাথদের সাহায্য করা হতে পারে। আর ওইসব সম্পত্তি পরিচালনা করার জন্যই রয়েছে ওয়াকফ বোর্ড।
advertisement
advertisement
সরকার এই আইনেই মূলত বদল আনছে। বিতর্কিত কোনও সম্পত্তির মালিকানা আদতে কার, তাও খতিয়ে দেখার আইনি এক্তিয়ার সরকার নিজের নিয়ন্ত্রণেই রাখতে চাইছে। নতুন সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার থাকবে না। কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সমপদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে।
advertisement
আসলে ওয়াকফ দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হল, সম্পত্তির দেখাভাল ও তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন জনসাধারণ। অন্যটি হল, কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ করে দেওয়া হল তবে তার দেখাভাল করবেন সম্পত্তি দানকারীই। পুরনো আইনেই তা বলা রয়েছে। তা এবার সংশোধন করতে চলেছে কেন্দ্র। গোটা দেশে মোট ৮.৭ লাখ ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। ভারতীয় রেল ও সেনাবাহিনীর পরই দেশে ওয়াকফের বেশি সম্পত্তি রয়েছে।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
কিন্তু কেন এত বিরোধিতা নতুন বিলের? বিরোধীদের দাবি, ওয়াকফ আইন সংশোধন করার মাধ্যমে সরকার ওই সম্পত্তি কব্জা করতে চাইছে। মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার খর্ব করতে চাইছে বিজেপি সরকার। এই সংশোধনীর মাধ্যমে দেশের ধর্ম নিরপেক্ষ কাঠামোয় আঘাত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিমদের প্রবেশাধিকার নিয়েও এক শ্রেণির মুসলিমদের আপত্তি রয়েছে।