Iconic CPM Canteen: মাত্র ১২ টাকায় পেট ভরে ভাত-রুটি, খেতেন জ্যোতি বসুও, সময় যেন থমকে আছে এই ক্যান্টিনে

Last Updated:
তবে সবচেয়ে যে বিষয়টা নজর কাড়বে তা হল, ক্যান্টিনের দেওয়ালে টাঙানো A4 সাইজের একটা কাগজ৷ কার্ডবোর্ডে সাঁটানো৷ সেখানে টাঙানো রয়েছে নেতাদের বাকির খাতার তালিকা৷ যেমন ধরুন, সীতারাম ইয়েচুরির বাকি রয়েছে ১৩২ টাকা, পলিটব্যুরো সদস্য এ বিজয়ারাঘবের ২৪ টাকা, সবচেয়ে বেশি বাকি রয়েছে অশোক ধৌলের, ১ হাজার ১৬৫ টাকা৷
1/9
 নয়াদিল্লি: বট-অশত্থ, নিম, অশোক, জবা গাছে ঘেরা ছায়াঘন ঘেরাটোপের পিছনে ছেঁড়া ছেঁড়া উঁকি মারে বড় ওই বিল্ডিংটা৷ নাম, এ কে গোপালন ভবন৷
নয়াদিল্লি: বট-অশত্থ, নিম, অশোক, জবা গাছে ঘেরা ছায়াঘন ঘেরাটোপের পিছনে ছেঁড়া ছেঁড়া উঁকি মারে বড় ওই বিল্ডিংটা৷ নাম, এ কে গোপালন ভবন৷
advertisement
2/9
ভাই বীর সিং মার্গে সিপিএম-এর এই মূল কার্যালয়েই যেন থমকে রয়েছে সময়৷ থমকে রয়েছে খাবারের দামও৷
ভাই বীর সিং মার্গে সিপিএম-এর এই মূল কার্যালয়েই যেন থমকে রয়েছে সময়৷ থমকে রয়েছে খাবারের দামও৷
advertisement
3/9
দেশের যে কোনও প্রান্তে যেখানে একথালা ভাত-রুটি খেতে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ টাকা খরচ করতেই হয়, সেখানে এই বাম ক্যান্টিনে মাত্র ১২ টাকাতেই মেলে ভাত, রুটি, ডাল, তরকারি৷ পার্টির প্রবীণ নেতা থেকে শুরু করে হোল টাইমার, এমনকি, পদাতিক যোদ্ধারাও এখানে পরস্পরের পাত থেকে খাবার ভাগ করে নিতে অভ্যস্ত৷
দেশের যে কোনও প্রান্তে যেখানে একথালা ভাত-রুটি খেতে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ টাকা খরচ করতেই হয়, সেখানে এই বাম ক্যান্টিনে মাত্র ১২ টাকাতেই মেলে ভাত, রুটি, ডাল, তরকারি৷ পার্টির প্রবীণ নেতা থেকে শুরু করে হোল টাইমার, এমনকি, পদাতিক যোদ্ধারাও এখানে পরস্পরের পাত থেকে খাবার ভাগ করে নিতে অভ্যস্ত৷
advertisement
4/9
সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি প্রায় রোজই এখানে আসেন৷ খাবারের থালা হাতে নিতে নিতে তিনি বললেন, ‘‘যখন থেকে পার্টির হোল টাইমার হয়েছি, পার্টি হেডকোয়ার্টার্সে কাজ করতে শুরু করেছি, যবে থেকে পার্টিতে যোগ দিয়েছি, সেই ১৯৮৬ সাল থেকেই এখানে আসি৷ প্রায় ৪০ বছর হয়ে গেল৷’’
সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি প্রায় রোজই এখানে আসেন৷ খাবারের থালা হাতে নিতে নিতে তিনি বললেন, ‘‘যখন থেকে পার্টির হোল টাইমার হয়েছি, পার্টি হেডকোয়ার্টার্সে কাজ করতে শুরু করেছি, যবে থেকে পার্টিতে যোগ দিয়েছি, সেই ১৯৮৬ সাল থেকেই এখানে আসি৷ প্রায় ৪০ বছর হয়ে গেল৷’’
advertisement
5/9
ক্যান্টিনের রান্নাঘরে একটু চোখ বোলালেই দেখতে পাওয়া যাবে, এখানে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির বিশেষ আতিশায্য নেই৷ রয়েছে ২৩০ লিটারের একটা রেফ্রিজেরেটর আর ঠান্ডা পানীয় জল পাওয়ার একটি মেশিন৷ এছাড়া, রান্নার সরঞ্জাম, খাবার থালা, গ্রাস সবই সাধারণ স্টিলের৷ একটা ঊষা মিক্সার, দেওয়ালে একটা ঘড়ি৷ ব্যস৷
ক্যান্টিনের রান্নাঘরে একটু চোখ বোলালেই দেখতে পাওয়া যাবে, এখানে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির বিশেষ আতিশায্য নেই৷ রয়েছে ২৩০ লিটারের একটা রেফ্রিজেরেটর আর ঠান্ডা পানীয় জল পাওয়ার একটি মেশিন৷ এছাড়া, রান্নার সরঞ্জাম, খাবার থালা, গ্রাস সবই সাধারণ স্টিলের৷ একটা ঊষা মিক্সার, দেওয়ালে একটা ঘড়ি৷ ব্যস৷
advertisement
6/9
ডাইনিং হলেও ৩টে ডাইনিং টেবিল আর কটা চেয়ার৷ সেখানে বসেই নিজের নিজের খাবার খান, প্রবীণ নেতা থেকে পদাতিক কমরেডরা৷
ডাইনিং হলেও ৩টে ডাইনিং টেবিল আর কটা চেয়ার৷ সেখানে বসেই নিজের নিজের খাবার খান, প্রবীণ নেতা থেকে পদাতিক কমরেডরা৷
advertisement
7/9
তবে সবচেয়ে যে বিষয়টা নজর কাড়বে তা হল, ক্যান্টিনের দেওয়ালে টাঙানো A4 সাইজের একটা কাগজ৷ কার্ডবোর্ডে সাঁটানো৷ সেখানে টাঙানো রয়েছে নেতাদের বাকির খাতার তালিকা৷ যেমন ধরুন, সীতারাম ইয়েচুরির বাকি রয়েছে ১৩২ টাকা, পলিটব্যুরো সদস্য এ বিজয়ারাঘবের ২৪ টাকা, সবচেয়ে বেশি বাকি রয়েছে অশোক ধৌলের, ১ হাজার ১৬৫ টাকা৷
তবে সবচেয়ে যে বিষয়টা নজর কাড়বে তা হল, ক্যান্টিনের দেওয়ালে টাঙানো A4 সাইজের একটা কাগজ৷ কার্ডবোর্ডে সাঁটানো৷ সেখানে টাঙানো রয়েছে নেতাদের বাকির খাতার তালিকা৷ যেমন ধরুন, সীতারাম ইয়েচুরির বাকি রয়েছে ১৩২ টাকা, পলিটব্যুরো সদস্য এ বিজয়ারাঘবের ২৪ টাকা, সবচেয়ে বেশি বাকি রয়েছে অশোক ধৌলের, ১ হাজার ১৬৫ টাকা৷
advertisement
8/9
সপ্তাহে দুদিন আমিষ পদের মেনু থাকে ক্যান্টিনে৷ সোমবার হয় চিকেন৷ শুক্র ডিমের ঝোল৷ এছাড়া সকাল ১০টা, বিকেল সাড়ে ৩টে এবং সন্ধে ৬টায় তিন বার বিনামূল্যে চা-ও পাওয়া যায়৷
সপ্তাহে দুদিন আমিষ পদের মেনু থাকে ক্যান্টিনে৷ সোমবার হয় চিকেন৷ শুক্র ডিমের ঝোল৷ এছাড়া সকাল ১০টা, বিকেল সাড়ে ৩টে এবং সন্ধে ৬টায় তিন বার বিনামূল্যে চা-ও পাওয়া যায়৷
advertisement
9/9
গত ২২ বছর ধরে এই ক্যান্টিনের অ্যাকাউন্টস দেখাশোনা করেন বিহারের গরিব নাথ ঠাকুর৷ সকাল সকাল পাহাড়গঞ্জ বা কালীবাড়ি থেকে তিনিই নিয়ে আসেন সব্জি৷ শুধু সিপিএম নেতাকর্মীরাই নন, এই ক্যান্টিনে খেয়ে গিয়েছেন লালু প্রসাদ যাদব থেকে আই কে গুজরাল৷
গত ২২ বছর ধরে এই ক্যান্টিনের অ্যাকাউন্টস দেখাশোনা করেন বিহারের গরিব নাথ ঠাকুর৷ সকাল সকাল পাহাড়গঞ্জ বা কালীবাড়ি থেকে তিনিই নিয়ে আসেন সব্জি৷ শুধু সিপিএম নেতাকর্মীরাই নন, এই ক্যান্টিনে খেয়ে গিয়েছেন লালু প্রসাদ যাদব থেকে আই কে গুজরাল৷
advertisement
advertisement
advertisement