

রাজনীতিতে এসে ঝড় তুলেছেন৷ তাঁর জন্যই নীতীশ কুমারের গদি টলমল৷ রাজনীতির ময়দানে অল্প সময়ে চূড়ান্ত সফল হলেও বাইশ গজে কিন্তু তেজস্বী যাদব চরম ব্যর্থ হয়েছিলেন৷ বলা ভাল, ব্যােট- বলে এঁটে উঠতে না পেরেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন ত্যাগ করে রাজনীতিতেই মন দিতে হয় লালুপ্রসাদ যাদবের ছোট ছেলেকে৷ Photo-Facebook/Tejashwi Yadav


ছোট থেকেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তেজস্বী৷ বাবা লালুপ্রসাদ যাদব তখন বিহারের রাজনীতিতে শেষ কথা, মা রাবড়ি দেবীও মুখ্যমন্ত্রী৷ তার উপর লালু ক্রিকেট প্রশাসনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন৷ তাই তেজস্বীর ক্রিকেটার হওয়ার প্রস্তুতি চলতে থাকে জোর কদমে৷ কিন্তু শুরু থেকেই ব্যাটে বলে পারফরম্যান্স তাঁর হয়ে কথা বলেনি৷


মিডল অর্ডারে ডান হাতে ব্যাট করতেন তেজস্বী, সঙ্গে করতেন স্পিন বোলিং৷ তবে তেজস্বীর ক্ষেত্রে পারফরম্যান্স শেষ কথা হয়নি৷ এ নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি৷ কারণ প্রথমে ঝাড়খণ্ডের হয়ে রাজ্য দলে, তার পর আইপিএল দল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস-এও সুযোগ পেয়ে যান তেজস্বী৷ বাবার প্রভাবেই তেজস্বী সুযোগ পাচ্ছেন, এমন অভিযোগও উঠেছিল সেই সময়৷ দিল্লির অনুর্ধ্ব ১৯ দলেও খেলেন তিনি৷ ২০০৮ সালে ভারতের অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ দলের স্ট্যান্ডবাই ক্রিকেটার ছিলেন তেজস্বী৷


ক্রিকেটার হিসেবে ঝাড়খণ্ডের হয়ে একটি ফার্স্ট ক্লাস, দু'টি লিস্ট এ এবং চারটি টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন তেজস্বী৷ ২০০৯ এবং ২০১০ সালে এই সুযোগ পান তিনি৷ প্রথম শ্রেণির একমাত্র ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ২০ রান করেন লালু পুত্র৷ সর্বোচ্চ ১৯৷


লিস্ট ও-র দু'টি ম্যাচে তিনি করেন ১৪ রান৷ একটি মাত্র টি টোয়েন্টিতে ৩ রান করেই আউট হন তিনি৷ বল হাতেও খুব একটা সফল হননি তেজস্বী৷ লিস্ট এ-র দু'টি ম্যাচ খেলে একটি উইকেট নিতে সফল হন তিনি৷


এরকম পারফরম্যান্স করেও অবশ্য আইপিএল-এ দিল্লি ডেয়ারডেভিলস দলে সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন তেজস্বী৷ চার মরশুম দিল্লি দলে থাকলেও আইপিএল-এ প্রথম একাদশে খেলা হয়নি তাঁর৷ ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নপূরণ মুশকিল, তা বুঝতে পেরেই রাজনীতিতে চলে আসেন তেজস্বী৷ ২০১৫ সালে লালু-নীতীশের জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হন তিনি৷ তার পর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে৷