Supreme Court: 'নিজের মত চাপিয়ে দিয়ে স্বামীকে লাট্টুর মতো ঘোরাবেন না!' স্বামী-স্ত্রীর মামলায় ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের! দাম্পত্য বাঁচাতে 'বড়' পরামর্শ

Last Updated:
Supreme Court: এই মামলায় বিচারপতি বি ভি নাগরত্না এবং বিচারপতি আর. মহাদেবনের বেঞ্চ বলে, 'স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্ক শুধুমাত্র অধিকার ও দায়িত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর মধ্যে বোঝাপড়া, শ্রদ্ধা ও মানসিক ভারসাম্যের প্রয়োজন।'
1/7
স্বামী-স্ত্রীদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পর্যবেক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট। স্বামী-স্ত্রীর একটি মামলার শুনানিতে স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলেন, 'স্বামীকে লাট্টুর মতো ঘোরাবেন না।' এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা দম্পতিকে সন্তানের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিতে এবং মধ্যস্থতার মাধ্যমে তাদের মতপার্থক্যগুলি সমাধানের চেষ্টা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
স্বামী-স্ত্রীদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পর্যবেক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট। স্বামী-স্ত্রীর একটি মামলার শুনানিতে স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলেন, 'স্বামীকে লাট্টুর মতো ঘোরাবেন না।' এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা দম্পতিকে সন্তানের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিতে এবং মধ্যস্থতার মাধ্যমে তাদের মতপার্থক্যগুলি সমাধানের চেষ্টা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
advertisement
2/7
এই মামলায় বিচারপতি বি ভি নাগরত্না এবং বিচারপতি আর. মহাদেবনের বেঞ্চ বলে, 'স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্ক শুধুমাত্র অধিকার ও দায়িত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর মধ্যে বোঝাপড়া, শ্রদ্ধা ও মানসিক ভারসাম্যের প্রয়োজন।'
এই মামলায় বিচারপতি বি ভি নাগরত্না এবং বিচারপতি আর. মহাদেবনের বেঞ্চ বলে, 'স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্ক শুধুমাত্র অধিকার ও দায়িত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর মধ্যে বোঝাপড়া, শ্রদ্ধা ও মানসিক ভারসাম্যের প্রয়োজন।'
advertisement
3/7
ওই মামলার ক্ষেত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী দিল্লিতে রেলে কর্মরত, আর স্ত্রী পটনায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্মী। দুজনে সরকারি চাকরি করেন। স্ত্রী বর্তমানে তাঁর বাপের বাড়ি পটনায় থাকেন এবং সন্তানদেরও নিজের সঙ্গে রেখেছেন। স্বামীর দাবি, শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, তাই তিনি সেখানে গিয়ে থাকতে পারেন না।
ওই মামলার ক্ষেত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী দিল্লিতে রেলে কর্মরত, আর স্ত্রী পটনায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্মী। দুজনে সরকারি চাকরি করেন। স্ত্রী বর্তমানে তাঁর বাপের বাড়ি পটনায় থাকেন এবং সন্তানদেরও নিজের সঙ্গে রেখেছেন। স্বামীর দাবি, শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, তাই তিনি সেখানে গিয়ে থাকতে পারেন না।
advertisement
4/7
স্বামী পাল্টা আদালতকে জানান, তিনি পটনায় আলাদা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে রাজি এবং সপ্তাহে একদিন সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে চান। সুপ্রিম কোর্ট এই প্রস্তাবকে যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করে স্ত্রীর আইনজীবীকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করতে। কিন্তু স্ত্রী সেই প্রস্তাবে রাজি হননি।
স্বামী পাল্টা আদালতকে জানান, তিনি পটনায় আলাদা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে রাজি এবং সপ্তাহে একদিন সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে চান। সুপ্রিম কোর্ট এই প্রস্তাবকে যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করে স্ত্রীর আইনজীবীকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করতে। কিন্তু স্ত্রী সেই প্রস্তাবে রাজি হননি।
advertisement
5/7
সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতেই স্ত্রী অনীহা প্রকাশ করলে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, 'একজন স্ত্রী হিসেবে তাঁরও দায়িত্ব আছে, কেবল নিজের মত চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। স্বামীকে লাট্টুর মতো ঘোরানো যায় না। শীর্ষ আদালত আরও মন্তব্য করেছে, 'মা-বাবার বিষয়টিও বিবেচনা করা উচিত। অনেক সময় দেখা যায়, শ্বশুর-শাশুড়িকে ঘর ছেড়ে যেতে হয়, কারণ পুত্রবধূ তাঁদের সঙ্গে থাকতে চান না।'
সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতেই স্ত্রী অনীহা প্রকাশ করলে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, 'একজন স্ত্রী হিসেবে তাঁরও দায়িত্ব আছে, কেবল নিজের মত চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। স্বামীকে লাট্টুর মতো ঘোরানো যায় না। শীর্ষ আদালত আরও মন্তব্য করেছে, 'মা-বাবার বিষয়টিও বিবেচনা করা উচিত। অনেক সময় দেখা যায়, শ্বশুর-শাশুড়িকে ঘর ছেড়ে যেতে হয়, কারণ পুত্রবধূ তাঁদের সঙ্গে থাকতে চান না।'
advertisement
6/7
বিচারপতিরা বলেন, দাম্পত্যে মতের অমিল হতেই পারে, কিন্তু যখন মা-বাবার মতের অমিলে সন্তানরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়, তখন দুই পক্ষেরই উচিত কিছুটা নমনীয় হওয়া। আদালত মনে করে, সন্তানদের মানসিক শান্তিই এই মামলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক।
বিচারপতিরা বলেন, দাম্পত্যে মতের অমিল হতেই পারে, কিন্তু যখন মা-বাবার মতের অমিলে সন্তানরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়, তখন দুই পক্ষেরই উচিত কিছুটা নমনীয় হওয়া। আদালত মনে করে, সন্তানদের মানসিক শান্তিই এই মামলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক।
advertisement
7/7
জানা গিয়েছে, এই দম্পতির বিয়ে হয় ২০১৪ সালে। তাঁদের একটি পাঁচ বছরের মেয়ে ও তিন বছরের ছেলে আছে। ২০২৩ সাল থেকে তাঁরা আলাদা থাকছেন। স্ত্রী মামলাটি পটনায় স্থানান্তর করার আবেদন জানান, কারণ তিনি ও তাঁর সন্তান বর্তমানে সেখানে থাকেন। আদালত শেষ পর্যন্ত পরামর্শ দেয়, এই কলহ আদালতের বাইরে মধ্যস্থতার মাধ্যমে মেটানোই সবচেয়ে ভাল পথ, যাতে অল্পবয়সী দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে না যায়। দুজনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা তাদের সন্তানদের উপরও প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে বলেও মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট।
জানা গিয়েছে, এই দম্পতির বিয়ে হয় ২০১৪ সালে। তাঁদের একটি পাঁচ বছরের মেয়ে ও তিন বছরের ছেলে আছে। ২০২৩ সাল থেকে তাঁরা আলাদা থাকছেন। স্ত্রী মামলাটি পটনায় স্থানান্তর করার আবেদন জানান, কারণ তিনি ও তাঁর সন্তান বর্তমানে সেখানে থাকেন। আদালত শেষ পর্যন্ত পরামর্শ দেয়, এই কলহ আদালতের বাইরে মধ্যস্থতার মাধ্যমে মেটানোই সবচেয়ে ভাল পথ, যাতে অল্পবয়সী দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে না যায়। দুজনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা তাদের সন্তানদের উপরও প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে বলেও মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট।
advertisement
advertisement
advertisement