বাবার কাছে থাকতে টাকা চাইছে মেয়ে, সুপ্রিম কোর্ট মা-কে বলল, 'মেয়েকে নষ্ট করছেন, এর ফল ভুগতে হবে আপনাকে!' বিরাট কাণ্ড আদালতে

Last Updated:
Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ রীতিমতো কড়া ভাষায় মন্তব্য করে বলেছে, মেয়ের মাথা খাচ্ছেন মা।
1/8
আজব মামলা সুপ্রিম কোর্টে। বাবার সঙ্গে থাকতে এক কোটি টাকা চেয়েছিল ১২ বছরের মেয়ে। সেই ঘটনায় মা'কে ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট।
আজব মামলা সুপ্রিম কোর্টে। বাবার সঙ্গে থাকতে এক কোটি টাকা চেয়েছিল ১২ বছরের মেয়ে। সেই ঘটনায় মা'কে ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট।
advertisement
2/8
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ রীতিমতো কড়া ভাষায় মন্তব্য করে বলেছে, মেয়ের মাথা খাচ্ছেন মা। কিশোরীর কেরিয়ারও নষ্ট করছেন বলে রীতিমতো ভর্ৎসনা করেছে ভারতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ রীতিমতো কড়া ভাষায় মন্তব্য করে বলেছে, মেয়ের মাথা খাচ্ছেন মা। কিশোরীর কেরিয়ারও নষ্ট করছেন বলে রীতিমতো ভর্ৎসনা করেছে ভারতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।
advertisement
3/8
শুনানি চলাকালীন বিচারপতি জানতে পারেন, ১২ বছরের মেয়ে তার বাবাকে মারধর করে। শুধু তাই নয়, ‘আমাকে রাখতে চাইলে এক কোটি টাকা দাও’ বলে হুমকিও দিয়েছে সে। এর পরেই মা-এর উদ্দেশে এমন মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি গাভাই।
শুনানি চলাকালীন বিচারপতি জানতে পারেন, ১২ বছরের মেয়ে তার বাবাকে মারধর করে। শুধু তাই নয়, ‘আমাকে রাখতে চাইলে এক কোটি টাকা দাও’ বলে হুমকিও দিয়েছে সে। এর পরেই মা-এর উদ্দেশে এমন মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি গাভাই।
advertisement
4/8
মূল সমস্যা বাবা-মায়ের মধ্যে। দুজনের মধ্যে প্রবল অশান্তি। এখন মেয়ে কার হেফাজতে থাকবে, এই নিয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। এর আগে মেয়েকে নিজের কাছে রাখতে চেয়ে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাবা। মামলায় জিতেও গিয়েছিলেন। কোর্ট জানিয়ে দেয়, বাবার কাছেই মেয়ে থাকবে।
মূল সমস্যা বাবা-মায়ের মধ্যে। দুজনের মধ্যে প্রবল অশান্তি। এখন মেয়ে কার হেফাজতে থাকবে, এই নিয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। এর আগে মেয়েকে নিজের কাছে রাখতে চেয়ে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাবা। মামলায় জিতেও গিয়েছিলেন। কোর্ট জানিয়ে দেয়, বাবার কাছেই মেয়ে থাকবে।
advertisement
5/8
কিন্তু মা তাতে রাজি হননি। তিনি স্বামীর কাছে মেয়েকে পাঠাননি। মায়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বাবা। কিন্তু হাই কোর্ট বাবার আবেদন খারিজ করে দেয়। তখন অন্য কোনও উপায় না দেখে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন তিনি।
কিন্তু মা তাতে রাজি হননি। তিনি স্বামীর কাছে মেয়েকে পাঠাননি। মায়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বাবা। কিন্তু হাই কোর্ট বাবার আবেদন খারিজ করে দেয়। তখন অন্য কোনও উপায় না দেখে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন তিনি।
advertisement
6/8
বাবার আইনজীবী পিআর পটওয়ালিয়া আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল মেয়েকে চোখের দেখাও দেখতে পান না। আদালতে তিনি আরও জানান, মেয়ে বাবার সঙ্গে যেতে রাজি নয়। মেয়ে বলে, বাবা তার মাকে হয়রান করছেন। বাবাকে আগে এক কোটি টাকা দিতে হবে। না হলে সে বাবার কাছে যাবে না। এমনকী, স্কুলের নথি থেকেও অভিভাবক হিসেবে বাবার নাম মুছে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আইনজীবী।
বাবার আইনজীবী পিআর পটওয়ালিয়া আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল মেয়েকে চোখের দেখাও দেখতে পান না। আদালতে তিনি আরও জানান, মেয়ে বাবার সঙ্গে যেতে রাজি নয়। মেয়ে বলে, বাবা তার মাকে হয়রান করছেন। বাবাকে আগে এক কোটি টাকা দিতে হবে। না হলে সে বাবার কাছে যাবে না। এমনকী, স্কুলের নথি থেকেও অভিভাবক হিসেবে বাবার নাম মুছে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আইনজীবী।
advertisement
7/8
বাবার আইনজীবী আদালতের কাছে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের আর্জি জানান। মায়ের আইনজীবী অনুভা আগরওয়ালও মধ্যস্থতাকারীর নিয়োগের পক্ষে মত দেন। তখনই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি গাভাই মায়ের উদ্দেশে মন্তব্য করেন, ‘নিজেদের অশান্তিতে অযথা মেয়েকে টেনে আনছেন। ওর পড়াশোনা নষ্ট হচ্ছে। ভবিষ্যৎ খারাপ হচ্ছে। মেয়ের মন বিষিয়ে দিচ্ছেন আপনি। এর ফল একদিন ভুগতে হবে।’
বাবার আইনজীবী আদালতের কাছে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের আর্জি জানান। মায়ের আইনজীবী অনুভা আগরওয়ালও মধ্যস্থতাকারীর নিয়োগের পক্ষে মত দেন। তখনই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি গাভাই মায়ের উদ্দেশে মন্তব্য করেন, ‘নিজেদের অশান্তিতে অযথা মেয়েকে টেনে আনছেন। ওর পড়াশোনা নষ্ট হচ্ছে। ভবিষ্যৎ খারাপ হচ্ছে। মেয়ের মন বিষিয়ে দিচ্ছেন আপনি। এর ফল একদিন ভুগতে হবে।’
advertisement
8/8
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, 'আপনি আপনার সন্তানের কেরিয়ার নষ্ট করছেন। আপনি ওর মাথা খাচ্ছেন। একদিন এটা ফেরত আসবে।' সেইসঙ্গে উভয়পক্ষই রাজি থাকায় উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ঋতু বাহরিকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছেন, দু'পক্ষের মধ্যে যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখবেন মধ্যস্থতাকারী।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, 'আপনি আপনার সন্তানের কেরিয়ার নষ্ট করছেন। আপনি ওর মাথা খাচ্ছেন। একদিন এটা ফেরত আসবে।' সেইসঙ্গে উভয়পক্ষই রাজি থাকায় উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ঋতু বাহরিকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছেন, দু'পক্ষের মধ্যে যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখবেন মধ্যস্থতাকারী।
advertisement
advertisement
advertisement