India Pakistan Tension: পাকিস্তানে ঢুকে পাক সেনাকে বিয়ে, ভারতের এই মহিলা গুপ্তচরের কাছে জব্দ হয়েছিল ইসলামাবাদ! দেশের স্বার্থে খুন করেন নিজের স্বামীকেও! চেনেন এই সাহসিনীকে?
- Published by:Soumendu Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
১৯৭১ সালেও এমনই এক সাহসিনীর কথা জানা যায়। যিনি একাই প্রায় হারিয়ে দিয়েছিলেন পাক সেনাদের।
advertisement
advertisement
advertisement
হরিন্দর সিং সিক্কার উপন্যাস 'কলিং সেহমত' অনুযায়ী, সেহমতের বাবা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা 'র'-এ কাজ করতেন। ব্যবসার কারণে সীমান্তের ওপারে তাঁর যোগাযোগ ছিল। এই কারণে, ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের সময়, তিনি পাকিস্তান থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য 'র'-কে দিয়েছিলেন। ক্যানসার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যেখানে চিকিৎসা সম্ভব ছিল না। তখন তিনি চেয়েছিলেন তাঁর মেয়ে দেশের জন্য কাজ করুক।
advertisement
সেই সময় মাত্র ২০ বছর বয়সী সেহমত স্নাতক করছিলেন। শাস্ত্রীয় নৃত্য এবং বেহালা বাজানোও শিখছিলেন। বাবার ইচ্ছে পূরণে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে গুপ্তচর হয়েছিলেন। তাঁকে একটি মিশনে পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছিল। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা কী পরিকল্পনা হচ্ছে তা খুঁজে বার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই মিশনের জন্য সেহমতকে পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা ইকবাল সৈয়দকে বিয়েও করতে হয়েছিল।
advertisement
advertisement
advertisement
১৯৭১ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ প্রায় নিশ্চিত। সেই সময় ভারতের কাছে ছিল রণতরী 'আইএনএস বিক্রান্ত'। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে এই রণতরী কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পাকিস্তান বঙ্গোপসাগরে মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজটিকে আক্রমণ করার পরিকল্পনা করেছিল। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ক্ষেপণাস্ত্র-সজ্জিত সাবমেরিন পিএনএস গাজীকে। সেহমত এই বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন। তিনি পিএনএস গাজীর অবস্থানের তথ্য ভারতকে দেন। নৌবাহিনী তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করে বিশাখাপত্তনম বন্দরের কাছে পাকিস্তানি সাবমেরিনটি ধ্বংস করে দেয়।
advertisement
সৈয়দ পরিবারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আবদুলের সন্দেহ হয়েছিল সেহমতের হাবেভাবে। সেহমত তাঁকে ট্রাক দিয়ে পিষে হত্যা করেছিলেন। স্বামী ইকবালও সত্যি জানতে পেরে যাওয়ায় তাঁকেও হত্যা করা হয়েছিল। গর্ভবতী অবস্থায় সে নিরাপদে ভারতে ফিরে আসে। বাকি জীবন পাঞ্জাবের মালেরকোটলায় কাটানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সহমত ২০১৮ সালে মারা যান। তাঁর আসল পরিচয় আজও গোপন রাখা হয়েছে।