India Pakistan Tension: পাকিস্তানে ঢুকে পাক সেনাকে বিয়ে, ভারতের এই মহিলা গুপ্তচরের কাছে জব্দ হয়েছিল ইসলামাবাদ! দেশের স্বার্থে খুন করেন নিজের স্বামীকেও! চেনেন এই সাহসিনীকে?

Last Updated:
১৯৭১ সালেও এমনই এক সাহসিনীর কথা জানা যায়। যিনি একাই প্রায় হারিয়ে দিয়েছিলেন পাক সেনাদের।
1/9
 পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় বেছে বেছে পুরুষ পর্যটকদের হত্যা করার পরে ভারত শুরু করেছিল 'অপারেশন সিঁদুর'। অপারেশন শেষে সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দুই অসীম সাহসী কন্যা।
পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় বেছে বেছে পুরুষ পর্যটকদের হত্যা করার পরে ভারত শুরু করেছিল 'অপারেশন সিঁদুর'। অপারেশন শেষে সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দুই অসীম সাহসী কন্যা।
advertisement
2/9
বাঁদিক থেকে ভারতীয় সেনার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি, বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি এবং ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিং৷ ছবি- পিটিআই
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিং। ১৯৭১ সালেও এমনই এক সাহসিনীর কথা জানা যায়। যিনি একাই প্রায় হারিয়ে দিয়েছিলেন পাক সেনাদের।
advertisement
3/9
 গল্পের শুরু ১৯৬৯ সালে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় জম্মু ও কাশ্মীরের এক ছাত্রীকে হঠাৎই তাঁর বাবা বাড়িতে ডেকে পাঠান। বাবার শেষ ইচ্ছে ছিল মেয়েকে দেশের সেবায় প্রস্তুত করা। সেই মেয়েই পরবর্তীতে 'সেহমত' নামে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। যিনি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
গল্পের শুরু ১৯৬৯ সালে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় জম্মু ও কাশ্মীরের এক ছাত্রীকে হঠাৎই তাঁর বাবা বাড়িতে ডেকে পাঠান। বাবার শেষ ইচ্ছে ছিল মেয়েকে দেশের সেবায় প্রস্তুত করা। সেই মেয়েই পরবর্তীতে 'সেহমত' নামে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। যিনি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
advertisement
4/9
 হরিন্দর সিং সিক্কার উপন্যাস 'কলিং সেহমত' অনুযায়ী, সেহমতের বাবা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা 'র'-এ কাজ করতেন। ব্যবসার কারণে সীমান্তের ওপারে তাঁর যোগাযোগ ছিল। এই কারণে, ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের সময়, তিনি পাকিস্তান থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য 'র'-কে দিয়েছিলেন। ক্যানসার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যেখানে চিকিৎসা সম্ভব ছিল না। তখন তিনি চেয়েছিলেন তাঁর মেয়ে দেশের জন্য কাজ করুক।
হরিন্দর সিং সিক্কার উপন্যাস 'কলিং সেহমত' অনুযায়ী, সেহমতের বাবা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা 'র'-এ কাজ করতেন। ব্যবসার কারণে সীমান্তের ওপারে তাঁর যোগাযোগ ছিল। এই কারণে, ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের সময়, তিনি পাকিস্তান থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য 'র'-কে দিয়েছিলেন। ক্যানসার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যেখানে চিকিৎসা সম্ভব ছিল না। তখন তিনি চেয়েছিলেন তাঁর মেয়ে দেশের জন্য কাজ করুক।
advertisement
5/9
 সেই সময় মাত্র ২০ বছর বয়সী সেহমত স্নাতক করছিলেন। শাস্ত্রীয় নৃত্য এবং বেহালা বাজানোও শিখছিলেন। বাবার ইচ্ছে পূরণে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে গুপ্তচর হয়েছিলেন। তাঁকে একটি মিশনে পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছিল। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা কী পরিকল্পনা হচ্ছে তা খুঁজে বার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই মিশনের জন্য সেহমতকে পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা ইকবাল সৈয়দকে বিয়েও করতে হয়েছিল।
সেই সময় মাত্র ২০ বছর বয়সী সেহমত স্নাতক করছিলেন। শাস্ত্রীয় নৃত্য এবং বেহালা বাজানোও শিখছিলেন। বাবার ইচ্ছে পূরণে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে গুপ্তচর হয়েছিলেন। তাঁকে একটি মিশনে পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছিল। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা কী পরিকল্পনা হচ্ছে তা খুঁজে বার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই মিশনের জন্য সেহমতকে পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা ইকবাল সৈয়দকে বিয়েও করতে হয়েছিল।
advertisement
6/9
 ইকবালের বাবা ব্রিগেডিয়ার পারভেজ সৈয়দও সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন। সেহমতকে বলা হয়েছিল, তাঁকে সেনা কর্মকর্তাদের কথোপকথন শুনতে হবে। মোর্স কোডের মাধ্যমে জরুরি বার্তা পাঠানো এবং গ্রহণ করার জন্য প্রাথমিক প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছিল।
ইকবালের বাবা ব্রিগেডিয়ার পারভেজ সৈয়দও সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন। সেহমতকে বলা হয়েছিল, তাঁকে সেনা কর্মকর্তাদের কথোপকথন শুনতে হবে। মোর্স কোডের মাধ্যমে জরুরি বার্তা পাঠানো এবং গ্রহণ করার জন্য প্রাথমিক প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছিল।
advertisement
7/9
ভারতে আপনি যে ডিম প্রতি পিস ৬ বা সাত টাকায় কিনছেন সেটি পাকিস্তানে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ২৫ থেকে ২৭ টাকায়। চিনির কেজি ১৮০ টাকার কাছাকাছি সেখানে।
অল্প সময়েই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের আশ্বাস অর্জন করে নেন। আর্মি স্কুলে বাচ্চাদের নাচ শেখানোর কাজও পেয়ে যান। এর ফলে পাক সেনার গোপন তথ্যের নাগাল সহজেই পেয়ে যান সহমত।
advertisement
8/9
 ১৯৭১ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ প্রায় নিশ্চিত। সেই সময় ভারতের কাছে ছিল রণতরী 'আইএনএস বিক্রান্ত'। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে এই রণতরী কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পাকিস্তান বঙ্গোপসাগরে মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজটিকে আক্রমণ করার পরিকল্পনা করেছিল। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ক্ষেপণাস্ত্র-সজ্জিত সাবমেরিন পিএনএস গাজীকে। সেহমত এই বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন। তিনি পিএনএস গাজীর অবস্থানের তথ্য ভারতকে দেন। নৌবাহিনী তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করে বিশাখাপত্তনম বন্দরের কাছে পাকিস্তানি সাবমেরিনটি ধ্বংস করে দেয়।
১৯৭১ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ প্রায় নিশ্চিত। সেই সময় ভারতের কাছে ছিল রণতরী 'আইএনএস বিক্রান্ত'। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে এই রণতরী কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পাকিস্তান বঙ্গোপসাগরে মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজটিকে আক্রমণ করার পরিকল্পনা করেছিল। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ক্ষেপণাস্ত্র-সজ্জিত সাবমেরিন পিএনএস গাজীকে। সেহমত এই বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন। তিনি পিএনএস গাজীর অবস্থানের তথ্য ভারতকে দেন। নৌবাহিনী তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করে বিশাখাপত্তনম বন্দরের কাছে পাকিস্তানি সাবমেরিনটি ধ্বংস করে দেয়।
advertisement
9/9
রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। তার আগে আজ ভারতীয় দল খেলছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এখনও পর্যন্ত হয়েছে মাত্র দুটি ম্যাচ। এখন পরিস্থিতি যা সেই বিচারে বলা যায়, কোন দলের ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা আপাতত বেশি!
সৈয়দ পরিবারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আবদুলের সন্দেহ হয়েছিল সেহমতের হাবেভাবে। সেহমত তাঁকে ট্রাক দিয়ে পিষে হত্যা করেছিলেন। স্বামী ইকবালও সত্যি জানতে পেরে যাওয়ায় তাঁকেও হত্যা করা হয়েছিল। গর্ভবতী অবস্থায় সে নিরাপদে ভারতে ফিরে আসে। বাকি জীবন পাঞ্জাবের মালেরকোটলায় কাটানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সহমত ২০১৮ সালে মারা যান। তাঁর আসল পরিচয় আজও গোপন রাখা হয়েছে।
advertisement
advertisement
advertisement