

দুনিয়ার অন্যতম সেরা যুদ্ধবিমান। ভারতীয় বায়ুসেনায় কাজ শুরু করে দিল রাফাল। আকাশে শক্তিবৃদ্ধির দিনই, কড়া বার্তা গেল সীমান্তপারের প্রতিবেশীদের জন্য।


আম্বালার আকাশে গর্জন। বেজিংয়ের কানে পৌঁছে দিল ভারত। যখন প্রতিদিন লাদাখ সীমান্তে চলছে চিনা উসকানি। পাকিস্তানও সুযোগ পেলেই ছোবল মারতে চায়। ঠিক এমন একটা সময়ে বৃহস্পতিবার, আম্বালা এয়ারবেসে সাজো সাজো রব। প্রথা মেনে, প্রথমে সর্বধর্ম প্রার্থণা। তারপর, এয়ার শো। উড়ে এল রাফাল। সঙ্গে তেজস। তেজ দেখাল ভারতীয় বায়ুসেনা। লা জবাব রাফাল যখন রানওয়ে ছুঁচ্ছে, তখন স্যালুট জানাচ্ছে জলকামান। আর কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে, লাদাখে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে অপেক্ষায় ভারতীয় জওয়ানরা। দিনে-রাতে নজরদারিতে। প্রয়োজনে মুখের মত জবাবে, রাফাল নাস্তানাবুদ করবে প্রতিপক্ষকে।


ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে এখন 'ব্রহ্মাস্ত্র' ৷ বায়ুসেনায় কাজ শুরু ৫ রাফাল যুদ্ধবিমানের ৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সুর বেঁধে দিলেন। বললেন, বায়ুসেনায় রাফালের অন্তর্ভুক্তি দেশের সীমান্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ। আকাশে শক্তিবৃদ্ধির দিন। কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত। ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বললেন, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবির প্রশ্নে পাশে আছে ফ্রান্স।


বায়ুসেনার ১৭ নম্বর গোল্ডেন অ্যারো স্কোয়াড্রনের অন্তর্ভুক্ত হল রাফাল। দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছাড়াও সাক্ষী থাকলেন, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আর কে এস ভদৌরিয়া এবং প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার, ফরাসি বিমানবাহিনীর উপপ্রধান এরিক অ্যটলে এবং রাফাল নির্মাতা সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের প্রতিনিধিরা।