Prashant Kishor News: বাংলা-বিহার-দু'জায়গাতেই কেন ভোটার তালিকায় নাম? 'আসল' কারণ জানিয়ে দিলেন প্রশান্ত কিশোর! সরাসরি গ্রেফতারি চ্যালেঞ্জ কমিশনকে
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Prashant Kishor News: প্রশান্ত কিশোরের জবাব, ''আমি ২০১৯ সাল থেকে আমার গ্রাম কোনারের একজন নিবন্ধিত ভোটার। কিন্তু আমি দু’বছর কলকাতায় কাটিয়েছি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই, সেখানেও রেকর্ড রয়েছে।’’
পটনা: বাংলা ও বিহার, দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম। আর তা নিয়েই এবার বিপাকে ভোটকুশলী তথা জন সুরজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর। জন সুরজ পার্টির সুপ্রিমোকে কারণ দর্শানোর নোটিস (শো-কজ) পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রশান্ত কিশোরকে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আর এই নোটিস ঘিরেই রীতিমতো উত্তপ্ত ভোটমুখী বিহারের রাজনীতি। এই ঘটনার জন্য নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করছে প্রশান্তের জন সুরজ দল ও আরজেডি। অন্যদিকে প্রশান্তকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না এনডিএ শিবিরও।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ''আমি যদি আইন ভেঙে থাকি, তবে নোটিস না পাঠিয়ে আমাকে গ্রেফতার করুন।’’ কিন্তু কেন বিহার, বাংলা- দু'জায়গাতে তাঁর নাম? প্রশান্ত কিশোরের জবাব, ''আমি ২০১৯ সাল থেকে আমার গ্রাম কোনারের একজন নিবন্ধিত ভোটার। কিন্তু আমি দু’বছর কলকাতায় কাটিয়েছি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই, সেখানেও রেকর্ড রয়েছে।’’
advertisement
advertisement
advertisement
প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১৭ ধারায় একব্যক্তি একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না। সেই আইনেরই ৩১ ধারায় নিয়ম উল্লঙ্ঘনে অর্থদণ্ড, ১ বছরের কারাদণ্ড বা উভয়েরই বিধান রয়েছে। এই নোটিস নিয়ে জন সুরজ পার্টির মুখপাত্র কুমার সৌরভ সিং বলেছেন, ‘এই ভুলের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এত ধুমধাম করে এসআইআর করার পরও যখন প্রশান্ত কিশোরের মতো মানুষের ক্ষেত্রে গাফিলতি থাকে, তখন বোঝাই যায় কমিশন কতটা কাজ করেছে।’
advertisement
advertisement
যদিও প্রশান্তকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিহারের ক্ষমতাসীন এনডিএ সরকার। জেডিইউ মুখপাত্র নীরজ কুমারের অভিযোগ, ‘ প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা দিল্লির, তিনি বিহারের বাসিন্দা কিন্তু ভোটার বাংলার। কেন এমনটা প্রয়োজন হয়েছিল? আমাদের সন্দেহ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার বিষয়ে গোপন ডিল করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর জন্যই হয়ত তিনি বাংলার ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করেছিলেন এবং নির্বাচনের পর পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে অবসর নিয়েছিলেন।’
