Neeraj Chopra : খেলার জন্য বিসর্জন লম্বা চুল, ফ্যাশনদুরস্ত নীরজ একজন পশুপ্রেমী

অলিম্পিক্স থেকে দেশকে প্রথম বার ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড স্বর্ণপদক উপহার দিয়ে নীরজ চোপড়া এখন খবরের চুম্বক৷ খেলার বাইরে নীরজ একজন পশুপ্রেমী ৷ সামাজিক মাধ্যমে মাঝে মাঝেই জীবজন্তুদের সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করেন ৷ হরিয়ানার পানিপথের খাণ্ডরা গ্রামের বাসিন্দা নীরজের জন্ম ১৯৯৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর ৷ দয়ানন্দ অ্যাংলো বৈদিক কলেজের প্রাক্তনী নীরজ এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ৷ খেলোয়াড়, ছাত্র নীরজের আরও একটি পরিচয় আছে ৷ তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সুবেদার ৷ ১৭ জনের একান্নবর্তী পরিবারে নীরজ থাকেন ৷ তাঁর বাবা পেশায় কৃষক ৷ মা, গৃহবধূ ৷ অল্প বয়স থেকেই নীরজ স্থূলকায় ছিলেন ৷ ওজন কমানোর জন্যই তাঁকে খেলতে পাঠানো হয় ৷ প্রথমে তিনি শুধুই দৌড় অনুশীলন করতেন ৷ অনুশীলনরত সিনিয়রদের দেখে তিনি আকৃষ্ট হন জ্যাভলিন থ্রোয়িংয়ে ৷ প্রথম থেকেই তাঁর দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে যান কোচ জয়বীর চৌধুরী ৷ প্রাক্তন জ্যাভলিন থ্রোয়ার জয়বীরের কাছে দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ নেন নীরজ ৷ এখন নীরজ প্রশিক্ষণ নেন জার্মান কোচ উয়ে হনের কাছে ৷ অলিম্পিক্সের আগে নীরজ স্বর্ণপদক পেয়েছেন বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ, সাউথ এশিয়ান গেমস, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, কমনওয়েলথ গেমস, এশিয়ান গেমস, ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ থেকেও ৷ এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি রুপো জয় করেছিলেন ৷ বর্শা ছোড়া অনুশীলনের পাশাপাশি নীরজ খুবই ফ্যাশনদুরস্ত ৷ নীরজের লম্বা চুল ছিল ৷ কিন্তু অলিম্পিক্সের আগে তিনি চুল ছোট করে কেটে ফেলেন ৷ যাতে খেলায় মনসংযোগ করতে অসুবিধে না হয় ৷ নীরজ যে জ্যাভলিন ব্যবহার করেন তার নাম ভালহালা ৷ কার্বনের তৈরি এই বর্শা স্টিলের তুলনায় অনেক বেশি মজবুত ৷ ২০১৮ সালে অর্জুন পুরস্কারে সম্মানিত হন নীরজ ৷ চাপমুক্ত হয়ে খেলাই তাঁর কাছে সাফল্যের মূলমন্ত্র ৷ নীরজ মায়ের হাতের ক্ষীর খেতে খুব ভালবাসতেন ৷ কিন্তু এখন ডায়েট মেনে খাদ্যাভ্যাসের জন্য ক্ষীর থেকে দূরেই থাকতে হয় ৷ তিনি অবশ্য নিরামিষাশী ৷ নীরজ জানিয়েছেন প্রথম প্রথম বাড়ির খাবার মিস করলেও এখন আর সে সব মনে হয় না ৷ এখন তাঁর কাছে জ্যাভলিনই পাখির চোখ ৷

Neeraj Chopra : খেলার জন্য বিসর্জন লম্বা চুল, ফ্যাশনদুরস্ত নীরজ একজন পশুপ্রেমী

ছবি

লেটেস্ট খবর