

দুর্গা পুজো মণ্ডপে আগে মেলার মতো ভিড় হত৷ কিন্তু এ বছরের ছবিটা সম্পূর্ণ অন্যরকম৷ কারণ মানুষ সংযমী হয়েছেন, ধৈর্যের পরীক্ষায় জয়ী হয়েছেন৷ তাই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতেও জয় সুনিশ্চিত বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ এ দিন দেশবাসীকে বিজয়া দশমী এবংদশেরার শুভেচ্ছা জানিয়ে মন কি বাত-এ একথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী৷Photo-File


দুর্গা পুজোয় কম ভিড়ের প্রশংসা করার পাশাপাশি একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, আগামী দিনে ধনতেরাস, দিওয়ালি, ইদ, ছট পুজো, ভাইফোঁটা, গুরুনানক জয়ন্তীর মতো যে যে উৎসবগুলি রয়েছে, তা উদযাপনের ক্ষেত্রেও মানুষকে একই ভাবে সংযমী হতে হবে৷


প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দশেরার এই সময়টি অসত্যের উপরে সত্যের জয়৷ কিন্তু এ বছর তা সঙ্কটের উপরে ধৈর্যের জয় বলেও প্রমাণিত হয়েছে৷ আপনারা সবাই সংযমী জীবনযাপন করছেন, সীমিত ভাবে উৎসব পালন করছেন, তার ফলে আমরা যে লড়াই লড়ছি তাতে জয় সুনিশ্চিত৷'Photo-File


দুর্গা পুজো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর এ বছর কলকাতা সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গেই দুর্গা পুজো মণ্ডপগুলি ফাঁকাই থেকেছে, রাস্তাতেও অনেক কম মানুষ পুজো উদযাপনে বেরিয়েছেন৷ কম ভিড়ের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আগে দুর্গা পুজোর সময় মায়ের দর্শন করতে পুজো প্যান্ডেলগুলিতে মেলার মতো ভিড় লেগে থাকত৷ কিন্তু এ বছর তা হয়নি৷ আগে দশেরাতেও বড় বড় মেলা হত, রামলীলার রীতি পালনও বড় আকর্ষণ ছিল, গুজরাতের নবরাত্রির আয়োজনে গরবার সুর চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ত৷ এবার সবকিছুতেই বিধিনিষেধ রয়েছে৷'


একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উৎসবের সময় কেনাকাটার সঙ্গে সঙ্গে বাজারের অর্থনীতিও চাঙ্গা হয়৷ তবে এ বছর কেনাকাটা করার সময় স্থানীয় পণ্য কেনার উপরই জোর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷Photo-File


পাশাপাশি উৎসবের আনন্দ, উল্লাসের মধ্যেও লকডাউনের কঠিন সময়কে ভুলে না যেতে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ সাফাইকর্মী, পরিচারক-পরিচারিকা, দুধওয়ালা, নিরাপত্তরক্ষীদের মতো যাঁরা নিরন্তর পরিষেবা দিয়ে যাঁরা লকডাউনের সময় মানুষের পাশে থেকেছেন, তাঁদেরকে উৎসবের সময় পরিবারের একজন ভেবে সামিল করে নিতে অনুরোধ করেছেন নরেন্দ্র মোদি৷