মধুচন্দ্রিমা হত্যা রহস্যেও সেই 'ট্রলিব্যাগ'...! ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিল তদন্তের মোড়, জানেন কী ছিল 'ট্রলির' মধ্যে? শুনলেই চমকাবেন!
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Meghalaya Honeymoon Murder: কিছুদিন আগেই বাংলায় তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল ট্রলিব্যাগ কেস। এখানে আত্মীয়াকে হত্যার পর তাঁর দেহ ট্রলিব্যাগে লোপাট করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পরে যায় মা-মেয়ে। এবার মেঘালয়ের রাজা রঘুবংশী হত্যা মামলাতেও একটি স্যুটকেস উঠে এসেছে যা একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিয়েছে ঘটনা প্রক্রিয়াকে।
advertisement
advertisement
advertisement
ঘটনাক্রম উল্লেখ করে পুলিশ জানিয়েছে, সদ্যবিবাহিত রাজা রঘুবংশী এবং সোনম রঘুবংশী গত ২২ মে মেঘালয়ের পূর্ব খাসি জেলার সোহরায় একটি হোমস্টেতে গিয়ে ওঠেন। কিন্তু সেখানে তাঁদের আগাম বুকিং না-থাকায় কোনও ঘর ফাঁকা ছিল না। তাই ওই হোমস্টেতে ট্রলি ব্যাগ রেখে নংরিয়াত গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন যে, ৩০০০ সিঁড়ি টপকে ওই গ্রামে পৌঁছনোর জন্যই রাজা এবং সোনম সঙ্গে থাকা ব্যাগটি হোমস্টেতে রেখে গিয়েছিলেন।
advertisement
২৩ মে সোহরায় ফিরে ওয়েইসডং জলপ্রপাত দেখতে যান রাজা এবং সোনম। ২ জুন কিন্তু ওই জলপ্রপাতের কাছ থেকেই রাজার দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তের সূত্র ধরে রহস্যের জট খুলতে সোহরার ওই হোমস্টেতে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকেই মেলে রাজা-সোনমের রেখে যাওয়া ওই ট্রলিব্যাগটি। ট্রলিব্যাগ খুলে তদন্তকারীরা দেখেন, তার ভিতরে রয়েছে একটি মঙ্গলসূত্র এবং একটি আংটি।
advertisement
এখানেই গল্পে ট্যুইস্ট। তদন্তকারীদের পর্যবেক্ষণ ছিল, বিবাহিত মহিলারা বিয়ের ঠিক পরেই সাধারণত বিয়ের মাঙ্গলিক এই চিহ্নগুলি কাছ ছাড়া করেন না। কারণ ভারতীয় শাস্ত্র ও লোকায়ত অনুসারে এই দু’টি জিনিসকে পবিত্র বলে মনে করেন তাঁরা। কোনও পরিস্থিতিতেই এগুলো ফেলে আসতে চান না। তাই ট্রলিব্যাগ থেকে এই দু’টি জিনিস মিলতেই ‘নিখোঁজ’ সোনমের দিকে তদন্তের অভিমুখ ঘুরে যায়।
advertisement
এই প্রসঙ্গে মেঘালয় পুলিশের ডিজি আই নোংরাং সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, “আমরা সোহরার হোমস্টে থেকে সোনমের মঙ্গলসূত্র এবং আংটি উদ্ধার করি। একজন বিবাহিত মহিলা গয়না ফেলে যাচ্ছেন, এটাই তাঁকে সন্দেহ করার জোরালো কারণ বলে আমরা মনে করি। সেইমতো তদন্ত এগোয়।”শিলং পুলিশের দল রাজা রঘুবংশী হত্যা মামলা নিয়ে সোনমকে ক্রমাগত জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই সবের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল রাজার হত্যার পর স্ত্রী সোনম কি ইনদওরে এসেছিলেন? এ বিষয়ে এসিপি পুনম চাঁদ যাদব বলেন যে আমরা শিলং পুলিশের কাছ থেকে এই ধরণের তথ্য পাওয়ার জন্য কাজ করব। আমরা এখনও পর্যন্ত এই ধরণের কোনও তথ্য পাইনি।
advertisement
advertisement
advertisement
সোনমকে বুধবার শিলঙের আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। পুলিশ ১০ দিনের হেফাজতের দাবি জানালেও তাঁকে আপাতত আট দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে, সোনম বা অন্য অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হবে বৃহস্পতিবার। খুনের ঘটনার সঙ্গে সোনমের জড়িত থাকার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি দাবি পুলিশের।
