মেরঠ হত্যাকাণ্ডে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য ! অবশেষে পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে সৌরভ রাজপুতকে খুনের আসল উদ্দেশ্য জানিয়েই দিল মুসকান
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Meerut murder case : পুলিশের কাছে মুসকান বলেছে যে, ২০২১ সালে সৌরভের সঙ্গে মুসকানের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা শুরু হয়েছিল। সেই সময়েই তার জীবনে প্রবেশ করেছিল সাহিল শুক্লা। আর নতুন প্রেমিকের সঙ্গেই ভবিষ্যৎ জীবনের স্বপ্ন কল্পনা করতে শুরু করে মুসকান।
Report: Umesh Srivastava: এবার উত্তরপ্রদেশের মেরঠের সৌরভ রাজপুত নৃশংস হত্যা মামলায় এল বড়সড় মোড়। এই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মুসকান রাস্তোগি পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এক গোপন সত্যি প্রকাশ্যে আনল। কিন্তু কী সেই সত্য। এখন সকলেই তা জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। আসলে স্বামী সৌরভ রাজপুতকে খুন করার পিছনে থাকা আসল কারণ ব্যাখ্যা করেছে মুসকান। অর্থাৎ স্বামীকে হত্যার কারণ প্রকাশ্যে এনেছে সে। আর গোটা ঘটনায় তার প্রেমিক সাহিল শুক্লার ভূমিকায় ব্যাখ্যা করেছে মুসকান।
advertisement
advertisement
পুলিশের কাছে মুসকান বলেছে যে, ২০২১ সালে সৌরভের সঙ্গে মুসকানের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা শুরু হয়েছিল। সেই সময়েই তার জীবনে প্রবেশ করেছিল সাহিল শুক্লা। আর নতুন প্রেমিকের সঙ্গেই ভবিষ্যৎ জীবনের স্বপ্ন কল্পনা করতে শুরু করে মুসকান। সে আরও জানিয়েছে যে, বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরেই সাহিলের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে। কিন্তু সেই প্রেমের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সৌরভ। শুধু তা-ই নয়, নিজের এক বিশেষ বন্ধুর সাহায্যে মুসকানের উপর অবিরাম নজর রাখতেন তিনি। যার জেরে মুসকানের রাগ আরও বেড়ে যায়।
advertisement
জেরায় মুসকান জানিয়েছে যে, খুনের রাতে অর্থাৎ ৩ মার্চ ২০২৫ তারিখ রাতে সৌরভের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে তার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। সৌরভের নজরবন্দি করে রেখেছিল তাকে। এমনকী বিবাহবিচ্ছেদ না দেওয়ার জেদও চেপে গিয়েছিল সৌরভের মাথায়। যার জেরে হাঁপিয়ে উঠেছিল মুসকান। সেই কারণে অভিশপ্ত ওই রাতেই সাহিলের সঙ্গে মিলে সৌরভকে খুন করে বসে মুসকান। অভিযুক্তের দাবি, তার জীবনে যেন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সৌরভ। সেই কারণে তাঁকে নিজের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল।
advertisement
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে পুলিশের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, প্রথমে মুসকান এবং সাহিল সৌরভকে ঘুমের ওষুধ দিয়েছিল। যার জেরে জ্ঞান ছিল না তাঁর। এরপর অচৈতন্য সৌরভের উপর ছুরি নিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ বসাতে থাকে মুসকান-সাহিল। খুনের পর মৃতদেহের গতি করার জন্য ছোট ছোট টুকরোয় তা কাটা হয়েছিল। এরপর নীল রঙের বড় ড্রামে দেহের সেই টুকরোগুলিকে রেখে সিমেন্ট দিয়ে বুজিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনার নৃশংসতায় কেঁপে উঠেছে মেরঠ তথা গোটা দেশ।
advertisement
