Meerut Murder Case: রাতে হচ্ছে না ঘুম, খাবারেও অরুচি! জেলের মধ্যে কী করে দিন কাটছে মুসকান-সাহিলের?

Last Updated:
গত বুধবার ধৃতদের আদালতে পেশ করার পরে তাঁদের তাঁদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ইতিমধ্যেই তাঁদের চৌধুরি চরণ সিং জেলা কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেখানে কেমন আছেন তাঁরা?
1/8
 মেরঠে মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতকে হত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে তাঁর স্ত্রী মুসকান রাস্তোগি এবং তাঁর প্রেমিক সাহিল শুক্ল। (প্রতীকী ছবি)
মেরঠে মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতকে হত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে তাঁর স্ত্রী মুসকান রাস্তোগি এবং তাঁর প্রেমিক সাহিল শুক্ল। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
2/8
 গত বুধবার ধৃতদের আদালতে পেশ করার পরে তাঁদের তাঁদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ইতিমধ্যেই তাঁদের চৌধুরি চরণ সিং জেলা কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেখানে কেমন আছেন তাঁরা? (প্রতীকী ছবি)
গত বুধবার ধৃতদের আদালতে পেশ করার পরে তাঁদের তাঁদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ইতিমধ্যেই তাঁদের চৌধুরি চরণ সিং জেলা কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেখানে কেমন আছেন তাঁরা? (প্রতীকী ছবি)
advertisement
3/8
তবে চিনকিকে হোয়াটসঅ্যাপে কে মেসেজ পাঠাল? সন্দেহের তীর মুসকান এবং সাহিলের দিকেই। জানা গিয়েছে, ৮ মার্চ চিনকি নিজেই সৌরভকে মেসেজ করেন, জানতে চান, মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে যায়নি কেন? উত্তরে বলা হয়েছিল, যেখানে তিনি গিয়েছেন, সেখানে -১০ ডিগ্রি তাপমাত্র। ওই ঠান্ডার মধ্যে মেয়েকে নিয়ে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়ত।
জেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, মানসিক ভাবে দুজনেই চরম বিপর্যস্ত। তাঁরা কেউই ঠিক মতন ঘুমোতে পারছেন না। খাবারও খাচ্ছেন না কেউই।
advertisement
4/8
জানা গিয়েছে, হত্যার পর সৌরভের মোবাইল ফোন মুসকানের কাছেই ছিল। তিনিই সৌরভের নম্বার থেকে তাঁর ভাই ও বোনকে মেসেজ পাঠাতেন বা উত্তর দিতেন। যাতে কারও সন্দেহ না হয়। মেরঠ পুলিশের মতে, মুসকান সৌরভকে খুন করতে চেয়েছিল, তবে সাহিলকে বিয়ে করতে রাজি ছিল না। অন্য দিকে, সাহিল শুধুমাত্র মুসকানের ভালবাসা পাওয়ার জন্যই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর,অনেকেই এই আচরণকে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা বোধ বলে মনে করলেও জেল কর্তৃপক্ষের মত, তাঁরা দুজনেই মাদক সেবন করতেন। জেলে তা না পাওয়ার দরুন এখন দেহে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা 'ড্রাগ উইথড্রয়াল সিম্পটম' দেখা দিচ্ছে।
advertisement
5/8
মুসকান রাস্তোগীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেম ছিল সৌরভের। দু’জনে বিয়েও করেন। তাঁদের এক মেয়েও রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পাল্টে যান মুসকান। সাহিল শুক্লার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। আর ত্রিকোণ প্রেমের বলি হন সৌরভ।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর,অনেকেই এই আচরণকে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা বোধ বলে মনে করলেও জেল কর্তৃপক্ষের মত, তাঁরা দুজনেই মাদক সেবন করতেন। জেলে তা না পাওয়ার দরুন এখন দেহে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা 'ড্রাগ উইথড্রয়াল সিম্পটম' দেখা দিচ্ছে।
advertisement
6/8
‘মেয়ে বলল, বাবা ড্রামের ভিতরে’, কীভাবে মিলল সৌরভ রাজপুতের দেহ?
ইতিমধ্যেই, জেলের চিকিৎসক তাঁদের জন্য বেশ কিছু ওষুধ দিয়েছেন তাঁদের সমস্যা সমাধানের জন্য। তদন্ত করে জানা গিয়েছে দুজনেই দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মাদক এবং মদে আসক্ত ছিলেন।
advertisement
7/8
প্রেসক্রিপশনে কী লেখা ছিল? গত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে শারদা রোডে এক চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিল মুসকান। সেখানে গিয়ে জানায় যে, সে মানসিক অবসাদে ভুগছে। তাই ঘুমের ওষুধ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। কারণ মুসকান জানত যে, এই সমস্ত ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া পাওয়া যাবে না। চিকিৎসকও সম্মত হয়ে ঘুমের ওষুধ প্রেসক্রাইব করে দেন। এরপর মুসকান কিছু ঘুমের ওষুধের কিছু বিশেষ লবণ বা রাসায়নিকের নাম গুগলে সার্চ করে। ফলে নিজের ইচ্ছেমতো সেগুলির নামও প্রেসক্রিপশনে লিখিয়ে নিয়েছিল সে। এরপর সে নিজের প্রেমিক সাহিলের সসঙ্গে খৈরনগরে পৌঁছে ঘুমের ওষুধ এবং নার্কোটিক ড্রাগস কেনে। পুলিশের সন্দেহ, প্রেসক্রিপশনে লেখা লবণের মধ্যে diazepam অথবা alprazolam ওষুধ রয়েছে। যা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন করে দিতে পারে, এমনকী সংজ্ঞাহীনও করে দিতে পারে।
তাঁরা জেলে আসার পর থেকে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতেও এখনও পর্যন্ত কেউ আসেনি। ফলে এই নিঃসঙ্গতাও এমন আচরণের জন্য দায়ী হতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
advertisement
8/8
সৌরভ রাজপুতকে প্রথমে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন মুসকান এবং তাঁর প্রেমিক সাহিল। তারপর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ভরেন ড্রামে। সিমেন্ট দিয়ে আটকে দেন ড্রামের মুখ। তদন্তে জানা গিয়েছে, ৮০০ টাকা দিয়ে মাংস কাটার ছুরি কিনেছিলেন মুসকান এবং সাহিল। কিনেছিলেন ৩০০ টাকার একটা রেজারও। তাঁদের হাতিয়ার ছিল ডাক্তারের একটি প্রেসক্রিপশন। নবম শ্রেণী ফেল মুসকানের বুদ্ধি দেখে অবাক হয়ে গিয়েছে পুলিশও।
গত ৪ মার্চ সৌরভ রাজপুতকে অচেতন করে প্রেমিক সাহিলের সঙ্গে মিলে হত্যা করেন তাঁর স্ত্রী মুসকান। এরপরে সৌরভের দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে বাথরুমের ড্রামে ভরে তাঁরা হিমাচলের মানালিতে পালিয়ে যান।
advertisement
advertisement
advertisement